কারাগারে যেমন আছেন লতিফ সিদ্দিকী by নুরুজ্জামান লাবু
কারাগারের ডিভিশন সেলে বসে বই আর পত্রিকা পড়েই কাটছে লতিফ সিদ্দিকীর সময়। কখনও খুলে বসছেন টেলিভিশন। খাচ্ছেন কারা কর্তৃপক্ষের সরবরাহ করা খাবার। স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে কথা বলছেন কারারক্ষীদের সঙ্গে। মাঝে-মধ্যেই কারারক্ষীদের ডেকে বিভিন্ন ফরমায়েশ দিচ্ছেন। গতকাল তার সঙ্গে একজন আইনজীবী ও বাসার কর্মচারী দেখা করেছেন। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে কথা বলেছেন তাদের সঙ্গে। কথা হয়েছ মামলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। কর্মচারী বাসা থেকে ফল আর পোশাক নিয়ে পৌঁছে দিয়েছেন তার কাছে। তবে পরিবারের সদস্যরা কেউ দেখা করেননি তার সঙ্গে। কারা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী বলেন, লতিফ সিদ্দিকী এমপি হিসেবে প্রথম শ্রেণীর বন্দির সুবিধা ভোগ করছেন। এ ছাড়া তার বাসার একজন কর্মচারী ও একজন আইনজীবী তার সঙ্গে দেখা করেছেন। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তিনি সুস্থ আছেন।
গত ২৮শে সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে হজ নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন এক সময়ের দোর্দ- প্রতাপশালী আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। এ নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়। আন্দোলনের ঘোষণা দেয় হেফাজতে ইসলামসহ ধর্মপন্থি ইসলামী দলগুলো। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের ১৮টি জেলায় তার বিরুদ্ধে ২৪টি মামলা হয়। এরপর টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় তাকে। বহিষ্কার করা হয় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য পদ থেকেও। এ ঘটনার পর লতিফ সিদ্দিকী যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতের কলকাতায় গিয়ে অবস্থান করেন। গত রোববার রাতে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে হঠাৎ করেই ঢাকায় হাজির হন তিনি। এরপর দু’দিন অজ্ঞাতবাসে থাকার পর মঙ্গলবার দুপুরে ধানমন্ডি থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
সূত্র জানায়, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ২৬ নম্বর ডিভিশন সেলে আছেন লতিফ সিদ্দিকী। গতকাল সকালে তাকে কারাগার থেকে সরবরাহ করা আটার রুটি ও সবজি-ডাল দিয়ে নাস্তা দেয়া হয়। দুপুরে বাসা থেকে খাবার পাঠানো হলেও তাকে কারাগারের খাবারই খেতে হয়েছে। রুই মাছ, ডাল, সবজি দিয়েই দুপুরের খাবার সেরেছেন তিনি। এর আগে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কারা হাসপাতালের একজন চিকিৎসক সাবেক এ মন্ত্রীরস্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। এর পর চিকিৎসক জানান, লতিফ সিদ্দিকী সুস্থ আছেন। নিয়ম অনুযায়ীড় কারাগারে প্রবেশের পরদিন সকালে বন্দির চুল কাটার রেওয়াজ থাকলেও লতিফ সিদ্দিকী তাতে অসম্মতি জানান।
সূত্র জানায়, গতকাল দুপুরে সাক্ষাতের সময় লতিফ সিদ্দিকীর ব্যক্তিগত কর্মচারী কারা কর্তৃপক্ষের কাছে দুপুরের খাবার, প্রচুর ফল, কাপড় ভর্তি একটি সুটকেস এবং অনেক বই সরবরাহ করেন। তবে কারা কর্তৃপক্ষ খাবার ছাড়া আর সব কিছুই লতিফ সিদ্দিকীর সেলে পাঠিয়ে দেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেছার আলম জানান, বিশেষ দিন ছাড়া (ঈদ বা অন্য কোন বিশেষ দিবস) কারাগারে আটক কোন বন্দিকে বাইরের খাবার দেয়ার নিয়ম নেই।
গত ২৮শে সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে হজ নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন এক সময়ের দোর্দ- প্রতাপশালী আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। এ নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়। আন্দোলনের ঘোষণা দেয় হেফাজতে ইসলামসহ ধর্মপন্থি ইসলামী দলগুলো। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের ১৮টি জেলায় তার বিরুদ্ধে ২৪টি মামলা হয়। এরপর টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় তাকে। বহিষ্কার করা হয় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য পদ থেকেও। এ ঘটনার পর লতিফ সিদ্দিকী যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতের কলকাতায় গিয়ে অবস্থান করেন। গত রোববার রাতে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে হঠাৎ করেই ঢাকায় হাজির হন তিনি। এরপর দু’দিন অজ্ঞাতবাসে থাকার পর মঙ্গলবার দুপুরে ধানমন্ডি থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
সূত্র জানায়, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ২৬ নম্বর ডিভিশন সেলে আছেন লতিফ সিদ্দিকী। গতকাল সকালে তাকে কারাগার থেকে সরবরাহ করা আটার রুটি ও সবজি-ডাল দিয়ে নাস্তা দেয়া হয়। দুপুরে বাসা থেকে খাবার পাঠানো হলেও তাকে কারাগারের খাবারই খেতে হয়েছে। রুই মাছ, ডাল, সবজি দিয়েই দুপুরের খাবার সেরেছেন তিনি। এর আগে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কারা হাসপাতালের একজন চিকিৎসক সাবেক এ মন্ত্রীরস্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। এর পর চিকিৎসক জানান, লতিফ সিদ্দিকী সুস্থ আছেন। নিয়ম অনুযায়ীড় কারাগারে প্রবেশের পরদিন সকালে বন্দির চুল কাটার রেওয়াজ থাকলেও লতিফ সিদ্দিকী তাতে অসম্মতি জানান।
সূত্র জানায়, গতকাল দুপুরে সাক্ষাতের সময় লতিফ সিদ্দিকীর ব্যক্তিগত কর্মচারী কারা কর্তৃপক্ষের কাছে দুপুরের খাবার, প্রচুর ফল, কাপড় ভর্তি একটি সুটকেস এবং অনেক বই সরবরাহ করেন। তবে কারা কর্তৃপক্ষ খাবার ছাড়া আর সব কিছুই লতিফ সিদ্দিকীর সেলে পাঠিয়ে দেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেছার আলম জানান, বিশেষ দিন ছাড়া (ঈদ বা অন্য কোন বিশেষ দিবস) কারাগারে আটক কোন বন্দিকে বাইরের খাবার দেয়ার নিয়ম নেই।
No comments