ফার্গুসন সংকটে বিপাকে ওবামা
ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের ফার্গুসন শহর। সেই উত্তাপ গিয়ে লাগছে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার গদিতে। দেশের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্টের আমলে নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ তরুণকে গুলি করে হত্যার পর অভিযোগ থেকে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের অব্যাহতি ভালো চোখে দেখা হচ্ছে না। এ ঘটনা বর্ণবৈষম্যের চিরায়ত বিষয়টিকেই সামনে নিয়ে এসেছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তি ও সংকটে পড়েছেন ওবামা। তাঁর প্রতি কৃষ্ণাঙ্গদের আস্থা টলছে। এটি বোঝার পরও নিজেকে সাদা-কালো সব মানুষের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে চাইছেন তিনি।
৯ আগস্ট পুলিশের গুলিতে নিহত হন ১৭ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ মাইকেল বাউন। নিরস্ত্র ব্রাউনকে বিনা প্রয়োজনে গুলি করে হত্যার অভিযোগে তখনই প্রতিবাদ শুরু হয়। এরপর এ ঘটনায় গ্র্যান্ড জুরি হত্যাকারী পুলিশের শ্বেতাঙ্গ সদস্য ড্যারেন উইলসনকে অভিযুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নিলে স্থানীয় সময় গত সোমবার রাতে ফার্গুসনে ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়। বোস্টন, নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলস, ডালাস, আটলান্টা অঙ্গরাজ্যসহ অন্যান্য নগরেও বিক্ষোভ হয়। দেশজুড়ে দেখা দেয় গণবিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামাল দিতে আধা সামরিক বাহিনীর দুই হাজারেরও বেশি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর জে নিক্সন। ফার্গুসন শহরের সেন্ট লুইস শহরতলি থেকে চার শতাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।
ফার্গুসনে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন ওবামা। তিনি বলেন, এ ধরনের কাজ যাঁরা করেছেন, তাঁরা অপরাধী। তাঁদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
ওবামার এ কথা কৃষ্ণাঙ্গদের ক্ষুব্ধ করেছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওবামা নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে এই কৃষ্ণাঙ্গদের অবদান আছে। বর্ণবৈষম্যসহ নানা বৈষম্যের শিকার এই জনগোষ্ঠী ভেবেছিল, ওবামা তাদের কষ্ট বুঝতে পারবেন। তাদের উন্নয়নে কাজ করবেন। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের পর ওবামার প্রতি তাদের আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে।
বর্ণবাদ উসকে উঠতে পারে, এমন ভাবনা থেকে ওবামা এখন পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি কোনো পক্ষে না গিয়ে নিজেকে সবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে সামনে রাখতে চাইছেন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
তবে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়ে এবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুলিশ সদস্য ড্যারেন উইলসন বলেছেন, ‘আমি জানি, আমি সঠিক কাজ করেছি।’ তাঁর এমন বক্তব্য কৃষ্ণাঙ্গদের আরও ক্ষুব্ধ করে তুলছে। এমন পরিস্থিতিতে ওবামার এই কৌশল কতটা কার্যকর হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
৯ আগস্ট পুলিশের গুলিতে নিহত হন ১৭ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ মাইকেল বাউন। নিরস্ত্র ব্রাউনকে বিনা প্রয়োজনে গুলি করে হত্যার অভিযোগে তখনই প্রতিবাদ শুরু হয়। এরপর এ ঘটনায় গ্র্যান্ড জুরি হত্যাকারী পুলিশের শ্বেতাঙ্গ সদস্য ড্যারেন উইলসনকে অভিযুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নিলে স্থানীয় সময় গত সোমবার রাতে ফার্গুসনে ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়। বোস্টন, নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলস, ডালাস, আটলান্টা অঙ্গরাজ্যসহ অন্যান্য নগরেও বিক্ষোভ হয়। দেশজুড়ে দেখা দেয় গণবিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামাল দিতে আধা সামরিক বাহিনীর দুই হাজারেরও বেশি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর জে নিক্সন। ফার্গুসন শহরের সেন্ট লুইস শহরতলি থেকে চার শতাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।
ফার্গুসনে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন ওবামা। তিনি বলেন, এ ধরনের কাজ যাঁরা করেছেন, তাঁরা অপরাধী। তাঁদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
ওবামার এ কথা কৃষ্ণাঙ্গদের ক্ষুব্ধ করেছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওবামা নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে এই কৃষ্ণাঙ্গদের অবদান আছে। বর্ণবৈষম্যসহ নানা বৈষম্যের শিকার এই জনগোষ্ঠী ভেবেছিল, ওবামা তাদের কষ্ট বুঝতে পারবেন। তাদের উন্নয়নে কাজ করবেন। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের পর ওবামার প্রতি তাদের আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে।
বর্ণবাদ উসকে উঠতে পারে, এমন ভাবনা থেকে ওবামা এখন পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি কোনো পক্ষে না গিয়ে নিজেকে সবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে সামনে রাখতে চাইছেন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
তবে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়ে এবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুলিশ সদস্য ড্যারেন উইলসন বলেছেন, ‘আমি জানি, আমি সঠিক কাজ করেছি।’ তাঁর এমন বক্তব্য কৃষ্ণাঙ্গদের আরও ক্ষুব্ধ করে তুলছে। এমন পরিস্থিতিতে ওবামার এই কৌশল কতটা কার্যকর হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
No comments