তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় পাচ্ছে সেনাবাহিনী by মোশতাক আহমেদ
তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তিনটিই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, সরকারের উচ্চপর্যায়ের সবুজসংকেত পেয়ে এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এ জন্য প্রক্রিয়াও শুরু করেছে ইউজিসি। প্রস্তাবিত তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো: বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, কুমিল্লা; বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, কাদেরাবাদ-নাটোর এবং বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, সৈয়দপুর।
ইতিমধ্যেই এই তিনটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, কোষাধ্যক্ষ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ প্রথম শ্রেণির বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। গত ২৮ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে এই বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের আগে জনবল নিয়োগের এই বিজ্ঞপ্তি নজরে আসায় ইউজিসি আর বিজ্ঞপ্তি প্রচার না করতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরামর্শ দিয়েছে বলে ইউজিসির একটি সূত্র জানিয়েছে।
ইউজিসির দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, এখন প্রস্তাবিত এই বিশ্ববিদ্যালয়-গুলোর ব্যাপারে শিগগিরই সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেটি সারসংক্ষেপ আকারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর আদেশ জারি করা হবে। জানতে চাইলে শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। এর বাইরে তিনি কিছু বলেননি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির কয়েকজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, যেহেতু সরকারের উচ্চপর্যায় ইতিবাচক, তাই আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়াগুলো দ্রুত শেষ করে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হবে। আইনানুয়ায়ী মন্ত্রণালয়ে আবেদনের পর প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ইউজিসি সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ সুযোগ-সুবিধা আছে কি না, তা যাচাই করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করে। এরপর অনুমোদন দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে ইউজিসির পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) মো. সামছুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, এখন কমিটি গঠন করে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করা হবে। ইউজিসির কর্মকর্তারা মনে করেন, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামোগত সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তাই অনুমোদন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তবে এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের কিছুটা হেরফের হতে পারে। এর কারণ হিসেবে ইউজিসির একজন কর্মকর্তা বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী শাখা ক্যাম্পাস নিষিদ্ধ। এখন একই নামে একাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হলে সে ক্ষেত্রে মনে হতে পারে আউটার ক্যাম্পাসের আদলেই হচ্ছে। সে জন্য নাম সামান্য হেরফের হতে পারে।
এর আগে সর্বশেষ ‘সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। কুমিল্লার কোটবাড়িতে অবস্থিত প্রস্তাবিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে আছেন ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু। তিনি বর্তমানে অনুমিত হিসাব-সস্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। এ নিয়ে মহাজোট ও বর্তমান সরকারের আমলে এখন পর্যন্ত ২৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে কয়েকটি বাদে প্রায় সবগুলোর পেছনেই মন্ত্রী, সাংসদসহ ক্ষমতাসীন দলের লোকজন জড়িত।
বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ২৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে অন্তত ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় দলীয় বিবেচনায় অনুমোদন দেওয়া হয়। এমনকি জোট সরকারের শেষ কর্মদিবসেও চট্টগ্রামে বাড়ি বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকায় বেসরকারি একটি সংস্থাকে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে দেশে এখন ৮০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। নতুন তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় হলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৮৩তে দাঁড়াবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, আরও ১৩৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে ইউজিসি সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রায় ১০০টির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে। আবেদন করা প্রস্তাবিত এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে ক্ষমতাসীন দলের ব্যক্তিরা যেমন আছেন, তেমনি আছেন বিভিন্ন ব্যবসায়ীও।
ইতিমধ্যেই এই তিনটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, কোষাধ্যক্ষ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ প্রথম শ্রেণির বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। গত ২৮ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে এই বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের আগে জনবল নিয়োগের এই বিজ্ঞপ্তি নজরে আসায় ইউজিসি আর বিজ্ঞপ্তি প্রচার না করতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরামর্শ দিয়েছে বলে ইউজিসির একটি সূত্র জানিয়েছে।
ইউজিসির দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, এখন প্রস্তাবিত এই বিশ্ববিদ্যালয়-গুলোর ব্যাপারে শিগগিরই সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেটি সারসংক্ষেপ আকারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর আদেশ জারি করা হবে। জানতে চাইলে শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। এর বাইরে তিনি কিছু বলেননি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির কয়েকজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, যেহেতু সরকারের উচ্চপর্যায় ইতিবাচক, তাই আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়াগুলো দ্রুত শেষ করে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হবে। আইনানুয়ায়ী মন্ত্রণালয়ে আবেদনের পর প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ইউজিসি সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ সুযোগ-সুবিধা আছে কি না, তা যাচাই করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করে। এরপর অনুমোদন দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে ইউজিসির পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) মো. সামছুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, এখন কমিটি গঠন করে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করা হবে। ইউজিসির কর্মকর্তারা মনে করেন, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামোগত সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তাই অনুমোদন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তবে এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের কিছুটা হেরফের হতে পারে। এর কারণ হিসেবে ইউজিসির একজন কর্মকর্তা বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী শাখা ক্যাম্পাস নিষিদ্ধ। এখন একই নামে একাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হলে সে ক্ষেত্রে মনে হতে পারে আউটার ক্যাম্পাসের আদলেই হচ্ছে। সে জন্য নাম সামান্য হেরফের হতে পারে।
এর আগে সর্বশেষ ‘সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। কুমিল্লার কোটবাড়িতে অবস্থিত প্রস্তাবিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে আছেন ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু। তিনি বর্তমানে অনুমিত হিসাব-সস্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। এ নিয়ে মহাজোট ও বর্তমান সরকারের আমলে এখন পর্যন্ত ২৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে কয়েকটি বাদে প্রায় সবগুলোর পেছনেই মন্ত্রী, সাংসদসহ ক্ষমতাসীন দলের লোকজন জড়িত।
বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ২৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে অন্তত ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় দলীয় বিবেচনায় অনুমোদন দেওয়া হয়। এমনকি জোট সরকারের শেষ কর্মদিবসেও চট্টগ্রামে বাড়ি বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকায় বেসরকারি একটি সংস্থাকে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে দেশে এখন ৮০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। নতুন তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় হলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৮৩তে দাঁড়াবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, আরও ১৩৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে ইউজিসি সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রায় ১০০টির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে। আবেদন করা প্রস্তাবিত এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে ক্ষমতাসীন দলের ব্যক্তিরা যেমন আছেন, তেমনি আছেন বিভিন্ন ব্যবসায়ীও।
No comments