সড়ক আটকে ধান মাড়াই
(রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের দুদুখান পাড়া এলাকার গোয়ালন্দ-ফরিদপুর-তাড়াইল সড়ক আটকে গত মঙ্গলবার থেকে ধান মাড়াই করা হচ্ছে। এতে খড় ও ধুলা উড়ায় বিপাকে পড়েছেন পথচারীরা l প্রথম আলো) রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দুদুখান পাড়া এলাকার সড়ক আটকে ধান মাড়াইয়ের যন্ত্র বসিয়ে ব্যবসা করায় বেকায়দায় পড়ছেন পথচারীরা। ফরিদপুরের দুর্গাপুর গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি এ ব্যবসা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা বলেন, উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের দুদুখান পাড়া এলাকায় গোয়ালন্দ-ফরিদপুর-তাড়াইল সড়ক আটকে ফরিদপুরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের জুলহাস শেখ (৪৫), কাসেম মীর (৫০) ও মান্নান মীর (৪০) গত মঙ্গলবার ধান মাড়াইয়ের যন্ত্রটি বসান। সড়কে ধান মাড়াই করায় খড় ও ধুলাবালিতে পথচারীদের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে কয়েক শ বাস ও পথচারী চলাচল করেন।
সরেজমিনে গতকাল বুধবার দেখা যায়, মালিকসহ কয়েকজন নারী ও পুরুষ মাড়াই কাজে ব্যস্ত। আরেকজন কয়েক ফুট ওপরের পাইপ দিয়ে যন্ত্রে পিষ্ট হওয়া ধুলা জড়ানো খড় আলাদা করছেন। মাড়াই করতে আসা নারী-পুরুষ মিলে ধান ও খড় পৃথক করছেন। আর এ সময় বের হওয়া খড় ও ধুলায় পথচারীদের পোশাক নষ্ট হচ্ছে।
দক্ষিণ উজানচর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোজাফফর আহমেদ ওই সড়ক পার হওয়ার সময় বলেন, ‘এভাবে পুরো সড়ক আটকে যদি ধান মাড়াই করা হয় তাহলে মানুষজন চলাচল করবে কীভাবে? এতে ধুলাবালিও নাকে-মুখে ঢুকছে।’
গোয়ালন্দের ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা এক হাতে মুখ চাপা দিয়ে অন্য হাতে মোটরসাইকেল চালিয়ে পার হওয়ার সময়ে বলেন, এভাবে ধান মাড়াই করা হলে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া লাগবে।
যন্ত্রের মালিক জুলহাস শেখ ও কাসেম মীর বলেন, আশপাশে কোথাও জায়গা না থাকায় সড়কের ওপর ধান মাড়াই করছেন। প্রতিদিন প্রায় ৫০ মণ করে ধান মাড়াই করছেন তাঁরা। প্রতি মণ মাড়াই করে তিন কেজি করে ভাড়া পান।
সাহাজদ্দিন মাতুব্বর পাড়া থেকে মাড়াই করতে এসেছেন কৃষক লুৎফর মোল্লা। তিনি বলেন, প্রায় এক বিঘা জমির ধান এনেছেন। সনাতন পদ্ধতিতে গরু দিয়ে ধান মাড়াই করতে অনেক সময় লাগবে তাই এখানে এসেছেন।
উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মৃধা বলেন, ‘এ ধরনের বিষয় আমাদের জানা নেই। খোঁজ নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করব।’
সরেজমিনে গতকাল বুধবার দেখা যায়, মালিকসহ কয়েকজন নারী ও পুরুষ মাড়াই কাজে ব্যস্ত। আরেকজন কয়েক ফুট ওপরের পাইপ দিয়ে যন্ত্রে পিষ্ট হওয়া ধুলা জড়ানো খড় আলাদা করছেন। মাড়াই করতে আসা নারী-পুরুষ মিলে ধান ও খড় পৃথক করছেন। আর এ সময় বের হওয়া খড় ও ধুলায় পথচারীদের পোশাক নষ্ট হচ্ছে।
দক্ষিণ উজানচর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোজাফফর আহমেদ ওই সড়ক পার হওয়ার সময় বলেন, ‘এভাবে পুরো সড়ক আটকে যদি ধান মাড়াই করা হয় তাহলে মানুষজন চলাচল করবে কীভাবে? এতে ধুলাবালিও নাকে-মুখে ঢুকছে।’
গোয়ালন্দের ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা এক হাতে মুখ চাপা দিয়ে অন্য হাতে মোটরসাইকেল চালিয়ে পার হওয়ার সময়ে বলেন, এভাবে ধান মাড়াই করা হলে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া লাগবে।
যন্ত্রের মালিক জুলহাস শেখ ও কাসেম মীর বলেন, আশপাশে কোথাও জায়গা না থাকায় সড়কের ওপর ধান মাড়াই করছেন। প্রতিদিন প্রায় ৫০ মণ করে ধান মাড়াই করছেন তাঁরা। প্রতি মণ মাড়াই করে তিন কেজি করে ভাড়া পান।
সাহাজদ্দিন মাতুব্বর পাড়া থেকে মাড়াই করতে এসেছেন কৃষক লুৎফর মোল্লা। তিনি বলেন, প্রায় এক বিঘা জমির ধান এনেছেন। সনাতন পদ্ধতিতে গরু দিয়ে ধান মাড়াই করতে অনেক সময় লাগবে তাই এখানে এসেছেন।
উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মৃধা বলেন, ‘এ ধরনের বিষয় আমাদের জানা নেই। খোঁজ নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করব।’
No comments