তিস্তা ও স্থলসীমান্ত চুক্তি কার্যকরে চেষ্টা করছি : মোদি
বাংলাদেশের
সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি দ্রুত কার্যকর করতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র
মোদি। পাশাপাশি জানিয়েছেন, তিস্তা চুক্তি সই বিষয়ে জটিলতাও যত দ্রুত সম্ভব
সমাধান করবেন। এ বিষয়ে ভারতের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা হচ্ছে।
বুধবার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী
অধিবেশনের পর শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে নরেন্দ্র মোদি এসব আশ্বাস দেন। দুই
প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বর্ধমানের জঙ্গি সমস্যা সমাধানে দুই দেশের
গোয়েন্দাদের তথ্য বিনিয়ম করার সিদ্ধান্তও হয়েছে। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট ড.
আশরাফ ঘানি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক করেন।
গতকাল বিকালে কাঠমান্ডুর হোটেল ক্রাউন প্লাজা সয়েলটিতে পর্যায়ক্রমে এসব
দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল
সোবহান চৌধুরী কাঠমান্ডুর হোটেল র্যাডিসনে সার্ক মিডিয়া সেন্টারে বৈঠকগুলো
সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
তিনি জানান, বৈঠকে তিস্তা চুক্তি সই ও স্থলসীমান্ত চুক্তি কার্যকরে কী অগ্রগতি হয়েছে তা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জবাবে মোদি বলেছেন, স্থলসীমান্তের ব্যাপারে রিপোর্ট এলেই তা গৃহীত হবে। যারা বিরোধিতা করেছিল তাদের সঙ্গেও ঐকমত্য হচ্ছে। তিস্তা চুক্তির বিষয়েও আলোচনা হচ্ছে।
মোদি বাংলাদেশ সফরে এলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে নিয়ে আসবেন বলে জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, মমতার আপত্তির কারণেই তিন বছর ধরে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি আটকে আছে। ভারতের কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় থাকতে সে দেশের পার্লামেন্টে স্থলসীমান্ত চুক্তি কার্যকরে প্রস্তাব তোলা হলেও ওই সময়ের বিরোধী দল বিজেপি বিরোধিতা করেছিল।
ইকবাল সোবহান জানান, বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শুরু হয়। ৩টা ৪০ মিনিটে তা শেষ হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ উপস্থিত ছিলেন।
এটি ছিল দুই প্রতিবেশী দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে দ্বিতীয় বৈঠক। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানেও তিস্তা চুক্তি ও স্থলসীমান্ত চুক্তি কার্যকরে আন্তরিকতার কথা জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রফতানি, ট্রানজিট ব্যবহার এবং সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা হয়।
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে তার কাছে এর কৌশল জানতে চান। প্রধানমন্ত্রী সবিস্তারে তা জানান এবং আফগান প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ ও বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান নিয়ে জানতে চান নাওয়াজ শরিফ। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে এজন্য অভিনন্দনও জানান। নওয়াজ বলেন, জঙ্গিবাদের কারণে তার দেশের ১০৩ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।
ইকবাল সোবহান চৌধুরীর ব্রিফিংয়ের সময় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব শামীম চৌধুরী এবং উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন উপস্থিত ছিলেন।
তিনি জানান, বৈঠকে তিস্তা চুক্তি সই ও স্থলসীমান্ত চুক্তি কার্যকরে কী অগ্রগতি হয়েছে তা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জবাবে মোদি বলেছেন, স্থলসীমান্তের ব্যাপারে রিপোর্ট এলেই তা গৃহীত হবে। যারা বিরোধিতা করেছিল তাদের সঙ্গেও ঐকমত্য হচ্ছে। তিস্তা চুক্তির বিষয়েও আলোচনা হচ্ছে।
মোদি বাংলাদেশ সফরে এলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে নিয়ে আসবেন বলে জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, মমতার আপত্তির কারণেই তিন বছর ধরে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি আটকে আছে। ভারতের কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় থাকতে সে দেশের পার্লামেন্টে স্থলসীমান্ত চুক্তি কার্যকরে প্রস্তাব তোলা হলেও ওই সময়ের বিরোধী দল বিজেপি বিরোধিতা করেছিল।
ইকবাল সোবহান জানান, বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শুরু হয়। ৩টা ৪০ মিনিটে তা শেষ হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ উপস্থিত ছিলেন।
এটি ছিল দুই প্রতিবেশী দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে দ্বিতীয় বৈঠক। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানেও তিস্তা চুক্তি ও স্থলসীমান্ত চুক্তি কার্যকরে আন্তরিকতার কথা জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রফতানি, ট্রানজিট ব্যবহার এবং সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা হয়।
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে তার কাছে এর কৌশল জানতে চান। প্রধানমন্ত্রী সবিস্তারে তা জানান এবং আফগান প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ ও বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান নিয়ে জানতে চান নাওয়াজ শরিফ। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে এজন্য অভিনন্দনও জানান। নওয়াজ বলেন, জঙ্গিবাদের কারণে তার দেশের ১০৩ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।
ইকবাল সোবহান চৌধুরীর ব্রিফিংয়ের সময় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব শামীম চৌধুরী এবং উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন উপস্থিত ছিলেন।
No comments