জেলের ভাতই খেতে হল লতিফ সিদ্দিকীকে
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ২৬ নম্বর সেলে
(ডিভিশন সেল) বই আর পত্রিকা পড়ে কাটছে সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর সময়।
কারারক্ষীদের ডেকে নানা ফরমায়েশ দিচ্ছেন। মঙ্গলবার বিকালে কারাগারে
প্রবেশের পর বুধবার সকালেই প্রথম তিনি কারাগারের খাবারের স্বাদ গ্রহণ করেন।
সকালে দুটি আটার রুটি, সবজি-ডাল দিয়ে নাস্তা করেন। দুপুরে বাসা থেকে খাবার
পাঠানো হলেও তাকে কারাগারের খাবারই খেতে হয়েছে। ভাত, রুই মাছ, ঘন ডাল আর
সবজি দিয়ে সেরেছেন দুপুরের খাবার। এর আগে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কারা
হাসপাতালের একজন চিকিৎসক সাবেক এ মন্ত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চিকিৎসক জানান, লতিফ সিদ্দিকী সুস্থ আছেন।
নিয়ম অনুযায়ী কারাগারে প্রবেশের পরদিন সকালে বন্দির মাথার চুল কাটার রেওয়াজ থাকলেও লতিফ সিদ্দিকী তাতে অসম্মতি জানান। সকালে কারারক্ষীরা একজন বন্দিকে (নাপিত) নিয়ে ২৬ নম্বর সেলে (প্রথম শ্রেণীর বন্দির সুবিধাপ্রাপ্ত সেল) গেলে তিনি চুল কাটাতে রাজি হননি। তবে কারা সূত্র বলেছে, লতিফ সিদ্দিকীর চুল কাটার মতো বড় হয়নি। এটি একটি রেওয়াজ। জেলকোডে এমন কিছুর উল্লেখ নেই।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী বুধবার যুগান্তরকে বলেন, সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে বুধবার সকালে একজন আইনজীবী ও তার ব্যক্তিগত কর্মচারী দেখা করেছেন। তবে বুধবার পরিবারের কেউ দেখা করতে কারাগারে আসেননি। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেছার আলম জানান, সকালে লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে তার আইনজীবী ও ব্যক্তিগত কর্মচারী প্রায় আধা ঘণ্টা কথা বলেন। এ সময় আইনগত বিভিন্ন বিষয়ে লতিফ সিদ্দিকী তার আইনজীবীকে নির্দেশনা দেন।
কারা সূত্র বলেছে, সাক্ষাতের সময় লতিফ সিদ্দিকীর ব্যক্তিগত কর্মচারী কারা কর্তৃপক্ষের কাছে দুপুরের খাবার, প্রচুর ফল, পোশাকভর্তি একটি সুটকেস এবং বেশ কিছু বই সরবরাহ করেন। কারা কর্তৃপক্ষ খাবার ছাড়া বাকি সবকিছুই লতিফ সিদ্দিকীর সেলে পৌঁছে দেয়। এই সেলের পাশের কক্ষেই আছেন বনখেকো হিসেবে পরিচিত সাবেক প্রধান বন কর্মকর্তা ওসমান গনি। তার সঙ্গে লতিফ সিদ্দিকীর দেখাও হয়েছে।
কারা সূত্র বলেছে, লতিফ সিদ্দিকীর জন্য দুপুরে বাসা থেকে পাবদা মাছ, মুরগির মাংস, ডাল আর সবজি পাঠানো হয়। তবে সে খাবার গ্রহণ করা হয়নি। এ বিষয়ে জেল সুপার ফরমান আলী বলেন, বিশেষ দিন ছাড়া (ঈদ বা অন্য কোনো বিশেষ দিবস) কারাগারে আটক কোনো বন্দিকে বাইরের খাবার দেয়ার নিয়ম নেই।
নিয়ম অনুযায়ী কারাগারে প্রবেশের পরদিন সকালে বন্দির মাথার চুল কাটার রেওয়াজ থাকলেও লতিফ সিদ্দিকী তাতে অসম্মতি জানান। সকালে কারারক্ষীরা একজন বন্দিকে (নাপিত) নিয়ে ২৬ নম্বর সেলে (প্রথম শ্রেণীর বন্দির সুবিধাপ্রাপ্ত সেল) গেলে তিনি চুল কাটাতে রাজি হননি। তবে কারা সূত্র বলেছে, লতিফ সিদ্দিকীর চুল কাটার মতো বড় হয়নি। এটি একটি রেওয়াজ। জেলকোডে এমন কিছুর উল্লেখ নেই।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী বুধবার যুগান্তরকে বলেন, সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে বুধবার সকালে একজন আইনজীবী ও তার ব্যক্তিগত কর্মচারী দেখা করেছেন। তবে বুধবার পরিবারের কেউ দেখা করতে কারাগারে আসেননি। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেছার আলম জানান, সকালে লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে তার আইনজীবী ও ব্যক্তিগত কর্মচারী প্রায় আধা ঘণ্টা কথা বলেন। এ সময় আইনগত বিভিন্ন বিষয়ে লতিফ সিদ্দিকী তার আইনজীবীকে নির্দেশনা দেন।
কারা সূত্র বলেছে, সাক্ষাতের সময় লতিফ সিদ্দিকীর ব্যক্তিগত কর্মচারী কারা কর্তৃপক্ষের কাছে দুপুরের খাবার, প্রচুর ফল, পোশাকভর্তি একটি সুটকেস এবং বেশ কিছু বই সরবরাহ করেন। কারা কর্তৃপক্ষ খাবার ছাড়া বাকি সবকিছুই লতিফ সিদ্দিকীর সেলে পৌঁছে দেয়। এই সেলের পাশের কক্ষেই আছেন বনখেকো হিসেবে পরিচিত সাবেক প্রধান বন কর্মকর্তা ওসমান গনি। তার সঙ্গে লতিফ সিদ্দিকীর দেখাও হয়েছে।
কারা সূত্র বলেছে, লতিফ সিদ্দিকীর জন্য দুপুরে বাসা থেকে পাবদা মাছ, মুরগির মাংস, ডাল আর সবজি পাঠানো হয়। তবে সে খাবার গ্রহণ করা হয়নি। এ বিষয়ে জেল সুপার ফরমান আলী বলেন, বিশেষ দিন ছাড়া (ঈদ বা অন্য কোনো বিশেষ দিবস) কারাগারে আটক কোনো বন্দিকে বাইরের খাবার দেয়ার নিয়ম নেই।
No comments