ছেলেকে জিম্মি করে মাকে গণধর্ষণ
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে সাড়ে চার বছরের
ছেলেকে জিম্মি করে তার সামনেই মাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে সন্ত্রাসীরা। এ
ঘটনায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় সিরাজদিখান থানায় মামলার পর একজনকে আটক করেছে
পুলিশ। জানা যায়, ১৩ নভেম্বর ছোট্ট ছেলেকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন ওই মা।
রাত ৮টার দিকে দূর সম্পর্কের আত্মীয় আওলাদ হোসেন, জামাল হোসেন ও আনিছ দরজায়
দাঁড়িয়ে গৃহকর্তার নাম ধরে ডাকতে থাকে। গৃহবধূ দরজা খুলতেই তারা ঘরে ঢুকে
দরজা আটকে দেয়। এরপর ধারালো অস্ত্রের মুখে তার ছেলেকে জিম্মি করে মুখে কাপড়
গুঁজে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ওই গৃহবধূ জানান, তার ছেলের গলায় ধারালো
অস্ত্র ধরে আনিছ দাঁড়িয়ে থাকে। আর তার সহযোগীরা পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে।
একপর্যায়ে তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। এরপর ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। রাতে স্বামী
এলে সব খুলে বলেন তিনি। পরদিন তার স্বামী স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে এ
ব্যাপারে কথা বললে তারা চুপচাপ মীমাংসা করে ফেলার পরামর্শ দেন। কয়েক দিন
ভাবনাচিন্তার পর অবশেষে তিনি মামলা করেন।
এ ব্যাপারে সিরাজদিখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন রোমন জানান, ধর্ষিতাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জামাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্ষিতার স্বামী বলেন, ঘটনার দিন আমার মেয়ে তার মামার বাড়ি ছিল আর ছেলেকে নিয়ে আমার স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন। মামলা তুলে না নিলে ধর্ষকরা সপরিবারে আমাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি প্রশাসন) মো. ইয়ারদৌস হাসান ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।
এ ব্যাপারে সিরাজদিখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন রোমন জানান, ধর্ষিতাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জামাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্ষিতার স্বামী বলেন, ঘটনার দিন আমার মেয়ে তার মামার বাড়ি ছিল আর ছেলেকে নিয়ে আমার স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন। মামলা তুলে না নিলে ধর্ষকরা সপরিবারে আমাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি প্রশাসন) মো. ইয়ারদৌস হাসান ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।
No comments