সার্ক দেশগুলোর প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ by শেষ কান্ত ক্যাফেল
দক্ষিণ এশিয়ার জনসংখ্যা ১৭০ কোটি, যার ৭০ শতাংশেরও বেশি বসবাস করে দারিদ্র্যের মধ্যে। পানি, খনিজ পদার্থ, বন, উৎপাদনশীল উর্বর ভূমি এবং পরিশ্রমী মানুষসহ বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ থাকা সত্ত্বেও এ অঞ্চল রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্বল নেতৃত্ব, প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারে অক্ষমতা এবং ঘন ঘন দুর্যোগ- এসব কারণে অনুন্নত রয়ে গেছে।
দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) সব সদস্য রাষ্ট্র জল-আবহাওয়াজনিত এবং ভূতাত্ত্বিক ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বন্যা, ভূমিধস, খরা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, সুনামি ইতাদি। অর্থনৈতিক ঝুঁকি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। এর কারণ, এসব দুর্যোগে ক্ষতির ব্যাপকতা ও মাত্রা অনেক বেশি। এর ফলে সবচেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ। এর পরে রয়েছে যথাক্রমে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও নেপাল। দারিদ্র্য, মাত্রাতিরিক্ত জনসংখ্যা এবং প্রস্তুতির অভাবকে এ অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি বৃদ্ধির জন্য দায়ী করা যেতে পারে। বহুবিধ মৃত্যুসূচকে (মাল্টিপল মরালিটি ইনডেক্স) মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশ ও ভারতে এবং সবচেয়ে কম
মালদ্বীপ ও ভুটানে। ভারত, আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং নেপাল ও শ্রীলংকার কিছু অংশ খরাপ্রবণ। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলংকায় নিয়মিত বন্যা হয়। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলংকায়। ভূমিধসের ঘটনা ঘটে ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, ভুটান ও শ্রীলংকার পার্বত্য অঞ্চলে। মালদ্বীপ, বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার উপকূলীয় এলাকাগুলো তলিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে দুর্বল স্বাস্থ্য শিক্ষা, সচেতনতা ও স্বাস্থ্য সুবিধার অভাবে এ অঞ্চলের মানুষের রোগাক্রান্ত হওয়ার হারও বেশি। সাম্প্রতিক ওয়ার্ল্ড ডিজাস্টার রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি এ অঞ্চলে।
নদীর পানির স্তর বৃদ্ধিজনিত ‘বন্যা’ হল এ অঞ্চলের সবচেয়ে ঘনঘন দেখা দেয়া, উচ্চ ক্ষয়ক্ষতি সৃষ্টিকারী এবং ব্যাপক বিস্তৃত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ২০০৮ সালে নেপাল ও ভারতে কোশি নদীর বন্যা; ২০০৯, ২০১০ ও ২০১৪ সালে পাকিস্তান ও ভারতে বন্যায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। স্থানচ্যুত হয়েছে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ, যার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ শত শত কোটি ডলার। বন্যার বিপর্যয়-ঝুঁকি নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশে কেন্দ্রীভূত। উদাহরণস্বরূপ, বিশ্বে বন্যার কারণে যত লোকের মৃত্যু হয়, তার ৭৫ শতাংশ ঘটে শুধু বাংলাদেশ, ভারত ও চীনে। ভূমিধসে মৃত্যুর দিক থেকে শীর্ষ দশে রয়েছে নেপালে। ভূমিধস দক্ষিণ এশিয়ায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যুর প্রধান কারণ না হলেও ভূমিধসের ঘটনায় নিহত, আঘাতপ্রাপ্ত ও স্থানচ্যুত হওয়ার হার এ অঞ্চলে অনেক বেশি। খরা একটি নীরব ঘাতক এবং জীবিকার ওপর এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। প্রধান প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে খরার কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সার্কভুক্ত প্রায় সব দেশই খরা আক্রান্ত। ভূমিকম্প দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বিপর্যয়কর প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর অন্যতম। এ অঞ্চলের অধিকাংশ ভূমিকম্পের উৎপত্তি টেকটনিক।
দক্ষিণ এশিয়ায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। এর পরের অবস্থান যথাক্রমে ভারত ও পাকিস্তানের। গত ৩০ বছরে এসব দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগে অন্তত ২ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। নগরায়ন, পরিবেশের অবক্ষয় এবং শক্তিশালী শাসনের অভাব এ অঞ্চলের দেশগুলোর ঝুঁকি বাড়িয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসের (ডিআরআর) জন্য একটি আঞ্চলিক রোডম্যাপ এবং এ অঞ্চলের উন্নয়ন খাতগুলোয় একে প্রধান উপজীব্য করতে একটি কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। শ্রীলংকা ও বাংলাদেশে এজন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়েছে এবং তাদের এ সংক্রান্ত ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। তবে সার্কের অন্য দেশগুলোয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে এবং গঠন করা হয়েছে বিশেষ সংস্থা।
সার্কভুক্ত সব দেশেই ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য আইনি কাঠামো ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা গড়ে তোলা হয়েছে। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা সব দেশে সমান নয়। এক্ষেত্রে সক্ষমতা ও যোগাযোগ স্থাপনের দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে আছে ভারত, শ্রীলংকা, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ।
ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা ও বাংলাদেশে জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। ভারতের একাদশতম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় সব উন্নয়ন খাতে ডিআরআরকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এবং সব মন্ত্রণালয়কে একে খাতোয়ারি পরিকল্পনায় একীভূত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তবে উদ্যোগগুলো সফলভাবে বাস্তবায়নের কোনো উপযুক্ত প্রক্রিয়া নেই। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে ডিআরআর সংক্রান্ত সম্পদের অভাব রয়েছে। প্রতিটি পর্যায়ে সমন্বয়ের বিষয়টিও একটি চ্যালেঞ্জস্বরূপ। একটি দেশে দক্ষ ও কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি গড়ে তোলার পূর্বশর্ত হল যথাযথ ও প্রাসঙ্গিক নীতিমালা, কৌশল ও কাঠামো প্রণয়ন এবং এগুলোর কার্যকর বাস্তবায়ন। ২০০৫ সালে কোবে সম্মেলনের পর সার্ক অঞ্চলে এ সংক্রান্ত বহু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে উদ্যোগ ও বাস্তবায়নের মধ্যে রয়ে গেছে বিরাট ফারাক। এ কারণে দেশগুলোর উচিত একটি ত্রুটিহীন দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি গড়ে তোলার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সুসমন্বয় প্রতিষ্ঠা করা।
নেপালের সংবাদপত্র দ্য হিমালয়ান টাইমস থেকে ভাষান্তরিত
শেষ কান্ত ক্যাফেল : ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয়কারী
দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) সব সদস্য রাষ্ট্র জল-আবহাওয়াজনিত এবং ভূতাত্ত্বিক ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বন্যা, ভূমিধস, খরা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, সুনামি ইতাদি। অর্থনৈতিক ঝুঁকি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। এর কারণ, এসব দুর্যোগে ক্ষতির ব্যাপকতা ও মাত্রা অনেক বেশি। এর ফলে সবচেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ। এর পরে রয়েছে যথাক্রমে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও নেপাল। দারিদ্র্য, মাত্রাতিরিক্ত জনসংখ্যা এবং প্রস্তুতির অভাবকে এ অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি বৃদ্ধির জন্য দায়ী করা যেতে পারে। বহুবিধ মৃত্যুসূচকে (মাল্টিপল মরালিটি ইনডেক্স) মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশ ও ভারতে এবং সবচেয়ে কম
মালদ্বীপ ও ভুটানে। ভারত, আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং নেপাল ও শ্রীলংকার কিছু অংশ খরাপ্রবণ। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলংকায় নিয়মিত বন্যা হয়। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলংকায়। ভূমিধসের ঘটনা ঘটে ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, ভুটান ও শ্রীলংকার পার্বত্য অঞ্চলে। মালদ্বীপ, বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার উপকূলীয় এলাকাগুলো তলিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে দুর্বল স্বাস্থ্য শিক্ষা, সচেতনতা ও স্বাস্থ্য সুবিধার অভাবে এ অঞ্চলের মানুষের রোগাক্রান্ত হওয়ার হারও বেশি। সাম্প্রতিক ওয়ার্ল্ড ডিজাস্টার রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি এ অঞ্চলে।
নদীর পানির স্তর বৃদ্ধিজনিত ‘বন্যা’ হল এ অঞ্চলের সবচেয়ে ঘনঘন দেখা দেয়া, উচ্চ ক্ষয়ক্ষতি সৃষ্টিকারী এবং ব্যাপক বিস্তৃত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ২০০৮ সালে নেপাল ও ভারতে কোশি নদীর বন্যা; ২০০৯, ২০১০ ও ২০১৪ সালে পাকিস্তান ও ভারতে বন্যায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। স্থানচ্যুত হয়েছে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ, যার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ শত শত কোটি ডলার। বন্যার বিপর্যয়-ঝুঁকি নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশে কেন্দ্রীভূত। উদাহরণস্বরূপ, বিশ্বে বন্যার কারণে যত লোকের মৃত্যু হয়, তার ৭৫ শতাংশ ঘটে শুধু বাংলাদেশ, ভারত ও চীনে। ভূমিধসে মৃত্যুর দিক থেকে শীর্ষ দশে রয়েছে নেপালে। ভূমিধস দক্ষিণ এশিয়ায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যুর প্রধান কারণ না হলেও ভূমিধসের ঘটনায় নিহত, আঘাতপ্রাপ্ত ও স্থানচ্যুত হওয়ার হার এ অঞ্চলে অনেক বেশি। খরা একটি নীরব ঘাতক এবং জীবিকার ওপর এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। প্রধান প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে খরার কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সার্কভুক্ত প্রায় সব দেশই খরা আক্রান্ত। ভূমিকম্প দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বিপর্যয়কর প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর অন্যতম। এ অঞ্চলের অধিকাংশ ভূমিকম্পের উৎপত্তি টেকটনিক।
দক্ষিণ এশিয়ায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। এর পরের অবস্থান যথাক্রমে ভারত ও পাকিস্তানের। গত ৩০ বছরে এসব দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগে অন্তত ২ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। নগরায়ন, পরিবেশের অবক্ষয় এবং শক্তিশালী শাসনের অভাব এ অঞ্চলের দেশগুলোর ঝুঁকি বাড়িয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসের (ডিআরআর) জন্য একটি আঞ্চলিক রোডম্যাপ এবং এ অঞ্চলের উন্নয়ন খাতগুলোয় একে প্রধান উপজীব্য করতে একটি কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। শ্রীলংকা ও বাংলাদেশে এজন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়েছে এবং তাদের এ সংক্রান্ত ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। তবে সার্কের অন্য দেশগুলোয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে এবং গঠন করা হয়েছে বিশেষ সংস্থা।
সার্কভুক্ত সব দেশেই ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য আইনি কাঠামো ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা গড়ে তোলা হয়েছে। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা সব দেশে সমান নয়। এক্ষেত্রে সক্ষমতা ও যোগাযোগ স্থাপনের দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে আছে ভারত, শ্রীলংকা, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ।
ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা ও বাংলাদেশে জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। ভারতের একাদশতম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় সব উন্নয়ন খাতে ডিআরআরকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এবং সব মন্ত্রণালয়কে একে খাতোয়ারি পরিকল্পনায় একীভূত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তবে উদ্যোগগুলো সফলভাবে বাস্তবায়নের কোনো উপযুক্ত প্রক্রিয়া নেই। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে ডিআরআর সংক্রান্ত সম্পদের অভাব রয়েছে। প্রতিটি পর্যায়ে সমন্বয়ের বিষয়টিও একটি চ্যালেঞ্জস্বরূপ। একটি দেশে দক্ষ ও কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি গড়ে তোলার পূর্বশর্ত হল যথাযথ ও প্রাসঙ্গিক নীতিমালা, কৌশল ও কাঠামো প্রণয়ন এবং এগুলোর কার্যকর বাস্তবায়ন। ২০০৫ সালে কোবে সম্মেলনের পর সার্ক অঞ্চলে এ সংক্রান্ত বহু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে উদ্যোগ ও বাস্তবায়নের মধ্যে রয়ে গেছে বিরাট ফারাক। এ কারণে দেশগুলোর উচিত একটি ত্রুটিহীন দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি গড়ে তোলার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সুসমন্বয় প্রতিষ্ঠা করা।
নেপালের সংবাদপত্র দ্য হিমালয়ান টাইমস থেকে ভাষান্তরিত
শেষ কান্ত ক্যাফেল : ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয়কারী
No comments