সিরাজদিখানে ছেলেকে জিম্মি করে মাকে ধর্ষণ
ছেলেকে জিম্মি করে মাকে ধর্ষণ করেছে সন্ত্রাসীরা। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় এ ঘটনায় সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর ধর্ষক জামাল হোসেন (২৬)-কে আটক করেছে পুলিশ। সে একই গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে। গতকাল বুধবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত ১৩ই নভেম্বর বাড়িতে সাড়ে ৪ বছর বয়সী ছেলে হাছিবুল হাসানকে নিয়ে তার মা ঘুমিয়ে ছিলেন। একা পেয়ে আওলাদ হোসেন (৩৫), জামাল হোসেন (২৬) ও আনিস নামে ৩ যুবক রাত ৮টায় বাড়ির পেছনে অবস্থান নিয়ে গৃহকর্তার নাম ধরে ডাকতে থাকে। ঘর থেকে মা বের হলে অস্ত্র উঁচিয়ে তারা ঘরে ঢুকে ছেলেকে জিম্মি করে মাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের শিকার ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, ছেলের গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে আনিছ ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে। আর তাদের সহযোগীরা পালাক্রমে আমাকে ধর্ষণ করে। ওদের দু’জন ধর্ষণ করেছে। একজন করেনি। ধর্ষণের এক পর্যায়ে গৃহবধূ অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। রাতে তার স্বামী কাজ সেরে ঘরে এলে সব কিছু জানতে পারেন। পরের দিন স্থানীয় কয়েক জনকে এ ঘটনা জানানো হয়। এ ব্যাপারে সিরাজদিখান থানার এসআই সাজ্জাদ হোসেন জানান, ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতা খাসমহল বালুচর গ্রামের আরব আলীর ছেলে আওলাদ হোসেন (৩৫), বালুচর গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে জামাল ও মো. আনিসকে আসামি করে সিরাজদিখান থানায় মামলা করেছেন। ধর্ষিতার স্বামী জানান, আমি বালুচর বাজারে খাবার হোটেলের কর্মচারী। ঘটনার দিন আমার ছেলেকে নিয়ে আমার স্ত্রী ঘরে ঘুমিয়েছিল। এই সুযোগে ওরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। মামলা করার পর ধর্ষকরা আমাকে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে। সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এক ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য দু’জনকে শিগগিরই আটক করা সম্ভব হবে।
No comments