শুরুতেই এআইআইবির ঋণ চাইবে বাংলাদেশ
চীনের বিশ্বব্যাংকখ্যাত এশিয়ান
ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) গঠনতন্ত্র তৈরিতে অংশ
নিচ্ছে বাংলাদেশ। আগামীকাল ২৮ নভেম্বর চীনের কুনমিংয়ে গঠনতন্ত্র তৈরির
বিষয়ে প্রথম সভা বসবে। ২০১৬-তে যাত্রা শুরুর পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে কাজ।
আনুষ্ঠানিক যাত্রার পরই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ সুবিধা পেতে
চায়। এজন্য প্রকল্প তৈরির প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে। ব্যাংকটি এশিয়ায়
অবকাঠামো খাতে ঋণ সুবিধা দেবে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে এসব
তথ্য জানা গেছে।
ইআরডি সূত্র জানায়, ব্যাংকটি ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিল নিয়ে যাত্রা শুরু করবে। এ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়ার পর চীনের সঙ্গে ২১টি দেশের সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশও আছে। আগামীকালের বৈঠকে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব আসিফ-উজ-জামান ও উপসচিব ড. একেএম মতিউর রহমান বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিচ্ছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসিফ-উজ-জামান বলেন, গঠনতন্ত্র তৈরির জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের টাস্কফোর্সও গঠন করা হবে। এক মাসের মধ্যে ওই গঠনতন্ত্রের খসড়া তৈরির কাজ শেষ হবে। এরপর খসড়ায় সব দেশের মতামত নেয়া হবে। গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করে আগামী বছরের শেষদিকে এ ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হবে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ এই ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা নেয়া চিন্তা করছে।
ব্যাংকটির গঠনতন্ত্র তৈরিতে ২১ দেশের মতামত নেয়া হবে। এরপর একজন অভিজ্ঞ আইনজীবী নিয়োগ করে ২০১৫ সালের মধ্যেই এটি চূড়ান্ত করা হবে। সূত্র জানায়, এ গঠনতন্ত্র তৈরিতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা নিচ্ছে চীন। বিশ্বব্যাংকে দীর্ঘ ৩০ বছর আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ছিলেন নেটালি লিসটেন স্টেইন। আইনজীবী নিয়োগ দেয়ার এক্ষেত্রে তাকেই ভাবা হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকও তার নামই সুপারিশ করেছে।
তথ্যানুসারে ব্যাংকটির কাজ এগিয়ে নেয়ার জন্য চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে একটি সাময়িক সচিবালয় স্থাপন করা হবে। সেখানে বসেই প্রতিদিনে কাজ চলবে। এজন্য সাড়ে তিন হেক্টর জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। সচিবালয় স্থাপনের জন্য ৩০০ কোটি ডলার সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে চীন। বাংলাদেশী টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা।
এশিয়ার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রাথমিকভাবে ৫০ বিলিয়ন ডলার তহবিল নিয়ে যাত্রা শুরু করবে এ ব্যাংকটি। এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ও ইউরোপের সঙ্গে স্থলপথের সংযোগ স্থাপন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে অর্থায়ন করাই হবে প্রস্তাবিত এই ব্যাংকের প্রধান লক্ষ্য। ব্যাংকটিতে সিংহভাগ তহবিলের জোগান দেবে এর মূল উদ্যোক্তা চীন। প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিকভাবে ইউরোপ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক সংযোগ স্থাপনকারী সিল্ক রোড-এর মতো নতুন আরেকটি মহাসড়ক নির্মাণের ওপর জোর দেবে। পাশাপাশি চীনের রাজধানী বেইজিং থেকে উপসাগরীয় দেশ ইরাকের রাজধানী বাগদাদ পর্যন্ত সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপনসহ এই অঞ্চলে নানা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থের জোগান দেবে।
বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে পৌঁছতে হলে এখন থেকে আগামী ২০২১ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ, সড়ক, বন্দর, টেলিযোগাযোগ, পয়ঃনিষ্কাশন ও সেচ এই ছয় খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এজন্য দশ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ হওয়া দরকার। সে হিসাবে প্রতি বছর বিনিয়োগ হওয়া উচিত এক হাজার কোটি ডলার। কিন্তু এখন প্রতি বছর অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ হচ্ছে ৪০০ কোটি ডলার। সে হিসাবে ঘাটতি রয়েছে ৬০০ কোটি ডলার। সরকারের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের যে ঘাটতি রয়েছে তা পূরণ করতে হলে এখন শেষ ভরসা চীনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া এআইআই ব্যাংক। ব্যাংকটি যেহেতু অবকাঠামো খাতে ঋণ দেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, ভবিষ্যতে এখান থেকে বাংলাদেশ সুফল পাবে বলে আশা করছেন নীতিনির্ধারকরা।
ইআরডি সূত্র জানায়, ব্যাংকটি ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিল নিয়ে যাত্রা শুরু করবে। এ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়ার পর চীনের সঙ্গে ২১টি দেশের সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশও আছে। আগামীকালের বৈঠকে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব আসিফ-উজ-জামান ও উপসচিব ড. একেএম মতিউর রহমান বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিচ্ছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসিফ-উজ-জামান বলেন, গঠনতন্ত্র তৈরির জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের টাস্কফোর্সও গঠন করা হবে। এক মাসের মধ্যে ওই গঠনতন্ত্রের খসড়া তৈরির কাজ শেষ হবে। এরপর খসড়ায় সব দেশের মতামত নেয়া হবে। গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করে আগামী বছরের শেষদিকে এ ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হবে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ এই ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা নেয়া চিন্তা করছে।
ব্যাংকটির গঠনতন্ত্র তৈরিতে ২১ দেশের মতামত নেয়া হবে। এরপর একজন অভিজ্ঞ আইনজীবী নিয়োগ করে ২০১৫ সালের মধ্যেই এটি চূড়ান্ত করা হবে। সূত্র জানায়, এ গঠনতন্ত্র তৈরিতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা নিচ্ছে চীন। বিশ্বব্যাংকে দীর্ঘ ৩০ বছর আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ছিলেন নেটালি লিসটেন স্টেইন। আইনজীবী নিয়োগ দেয়ার এক্ষেত্রে তাকেই ভাবা হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকও তার নামই সুপারিশ করেছে।
তথ্যানুসারে ব্যাংকটির কাজ এগিয়ে নেয়ার জন্য চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে একটি সাময়িক সচিবালয় স্থাপন করা হবে। সেখানে বসেই প্রতিদিনে কাজ চলবে। এজন্য সাড়ে তিন হেক্টর জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। সচিবালয় স্থাপনের জন্য ৩০০ কোটি ডলার সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে চীন। বাংলাদেশী টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা।
এশিয়ার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রাথমিকভাবে ৫০ বিলিয়ন ডলার তহবিল নিয়ে যাত্রা শুরু করবে এ ব্যাংকটি। এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ও ইউরোপের সঙ্গে স্থলপথের সংযোগ স্থাপন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে অর্থায়ন করাই হবে প্রস্তাবিত এই ব্যাংকের প্রধান লক্ষ্য। ব্যাংকটিতে সিংহভাগ তহবিলের জোগান দেবে এর মূল উদ্যোক্তা চীন। প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিকভাবে ইউরোপ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক সংযোগ স্থাপনকারী সিল্ক রোড-এর মতো নতুন আরেকটি মহাসড়ক নির্মাণের ওপর জোর দেবে। পাশাপাশি চীনের রাজধানী বেইজিং থেকে উপসাগরীয় দেশ ইরাকের রাজধানী বাগদাদ পর্যন্ত সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপনসহ এই অঞ্চলে নানা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থের জোগান দেবে।
বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে পৌঁছতে হলে এখন থেকে আগামী ২০২১ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ, সড়ক, বন্দর, টেলিযোগাযোগ, পয়ঃনিষ্কাশন ও সেচ এই ছয় খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এজন্য দশ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ হওয়া দরকার। সে হিসাবে প্রতি বছর বিনিয়োগ হওয়া উচিত এক হাজার কোটি ডলার। কিন্তু এখন প্রতি বছর অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ হচ্ছে ৪০০ কোটি ডলার। সে হিসাবে ঘাটতি রয়েছে ৬০০ কোটি ডলার। সরকারের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের যে ঘাটতি রয়েছে তা পূরণ করতে হলে এখন শেষ ভরসা চীনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া এআইআই ব্যাংক। ব্যাংকটি যেহেতু অবকাঠামো খাতে ঋণ দেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, ভবিষ্যতে এখান থেকে বাংলাদেশ সুফল পাবে বলে আশা করছেন নীতিনির্ধারকরা।
No comments