স্বামী ও স্ত্রীর প্রতারণার ফাঁদ by আল আমিন
প্রথমে ছিলেন ভুয়া জন্ডিসের চিকিৎসক আজিজুল হাকিম। চিকিৎসার নামে প্রতারণা করেছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। তার ঠকবাজি সাধারণ মানুষ বুঝে ফেলায় এরপর হলেন গ্রিল মিস্ত্রি। এরপর খুলে বসেন ডিজিটাল বাংলা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামের এনজিও। ওই প্রতিষ্ঠানের নিজে পরিচালক হলেন। আর স্ত্রী লুবনাকে তার প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ দেন ম্যানেজার হিসেবে। অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে কয়েক বছর ধরে তাদের কাছে প্রায় কোটি টাকা নিয়ে এখন স্বামী ও স্ত্রী উধাও। ঘটনাটি রাজধানীর সূত্রাপুর থানাধীন ভিক্টোরিয়া পার্কের পানির ট্যাঙ্কির পাশের সিটি করেপোরেশন মার্কেট এলাকায়। প্রতারিত লোকজন সূত্রাপুর থানায় ২৫শে অক্টোবর একটি জিডি (নং ৯০১) করেছেন। সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর চন্দন কোঠার কমিউনিটি সেন্টারের পাশের ১৫০/৩ নম্বর বাড়িতে ডিজিটাল বাংলা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামের ওই এনজিও প্রতিষ্ঠা করেন আজিজুল হাকিম। তাকে সহযোগিতা করেন তার স্ত্রী লুবনা। তিনি ওই এলাকা এবং তার কর্মক্ষেত্র সূত্রাপুর থানাধীন ভিক্টোরিয়া পার্কের পাশের সিটি করপোরেশন মার্কেট এলাকার প্রায় ৬৫০০ লোককে সদস্য করেন। প্রায় দুই বছর ১০০০ সদস্যকে জমা দেয়ার টাকারও লাভও দিয়েছেন। কিন্তু, অনেক সদস্যকে দেননি। ওই সদস্যরা তাকে টাকা দেয়ার চাপ দিলে গত অক্টোবর মাসে ওই প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া প্রায় কোটি টাকা নিয়ে আজিজুল হাকিম তার স্ত্রীকে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান।
সিটি করপোরেশন মার্কেটের গ্রিলের দোকানি আবদুল কাদের জানান, আজিজুল হাকিমের পিতার নাম আবুল কাসেম। গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ থানার মির্জাপুর এলাকায়। অষ্টম শ্রেণী পযর্ন্ত পড়াশোনা করার পর আর এগোতে পারেনি। গ্রামের বাড়ি থেকে চলে আসে। এরপর দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর চন্দন কোঠার কমিউনিটি সেন্টারের পাশের ১৫০/৩ নম্বর বাড়িতে ভাড়ায় ওঠে। জুরাইনের জন্ডিসের চিকিৎসা দেয়ার নামে চেম্বার খুলে বসে। তখন অনেকে তার প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এলাকাবাসীর চাপের কারণে তিনি ওই চেম্বার বন্ধ করতে বাধ্য হন। এরপর আজিজুল ভিক্টোরিয়া পার্কের পানির টাঙ্কির পাশে বিসমিল্লাহ ইজ্ঞিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ নামে একটি দোকান দেন। দোকানটি খুব একটা ভাল চলছিল না। দোকানে থাকাকালে পাশের কাজী নজরুল ইসলাম কলেজের শিক্ষার্থী লুবনা নামে এক মেয়ের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তাদের দু’জনের বিয়ে হয়।
ওই মার্কেটের আরেক দোকানি আজম আলী জানান, আজিজুলকে অনেক ভাল মানুষ বলে আমরা জানতাম। মার্কেট এলাকায় তার দোকান থাকায় তাকে বিশ্বাসও করতাম। একদিন তিনি আমাদের বলেন, তিনি একটি কো-অপারেটিভ সোসাইটি খুলেছেন। ওই সমিতিতে একটি হিসাব খুললে শতকরা ১১% মুনাফা দেয়া হবে। তার কথায় বিশ্বাস করে এই মার্কেটের আমিসহ প্রায় ২০ জন একটি হিসাব খুলি। আমার হিসাব নম্বর ২৮৩। প্রায় ১ লাখ টাকা আমার জমা হয়েছিল। আজিজুল ও তার স্ত্রী আমাদের কাছে প্রতি সপ্তাহে এসে টাকা নিয়ে যেতো। গত অক্টোবর মাস থেকে তারা আমাদের কাছে আসেনি। তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এতে আমাদের সন্দেহ হয়। এরপরেই আমরা থানায় একটি জিডি করি। গ্রিল মিস্ত্রি বাবু জানান, আজিজুলের কথায় বিশ্বাস করে আমরা তার প্রতিষ্ঠানের সদস্য হয়েছিলাম। কিন্তু, সে আমাদের এভাবে প্রতারণা করে পালাবে তা ভাবতেও পারেনি। সূত্রাপুর থানার ওসি খলিলুর রহমান পাটোয়ারী জানান, কো-অপারেটিভ সোসাইটির নামে প্রতারণার অভিযোগ এনে থানায় অনেকেই জিডি করেছেন। বিষয়গুলো তদন্ত ও দোষীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সিটি করপোরেশন মার্কেটের গ্রিলের দোকানি আবদুল কাদের জানান, আজিজুল হাকিমের পিতার নাম আবুল কাসেম। গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ থানার মির্জাপুর এলাকায়। অষ্টম শ্রেণী পযর্ন্ত পড়াশোনা করার পর আর এগোতে পারেনি। গ্রামের বাড়ি থেকে চলে আসে। এরপর দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর চন্দন কোঠার কমিউনিটি সেন্টারের পাশের ১৫০/৩ নম্বর বাড়িতে ভাড়ায় ওঠে। জুরাইনের জন্ডিসের চিকিৎসা দেয়ার নামে চেম্বার খুলে বসে। তখন অনেকে তার প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এলাকাবাসীর চাপের কারণে তিনি ওই চেম্বার বন্ধ করতে বাধ্য হন। এরপর আজিজুল ভিক্টোরিয়া পার্কের পানির টাঙ্কির পাশে বিসমিল্লাহ ইজ্ঞিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ নামে একটি দোকান দেন। দোকানটি খুব একটা ভাল চলছিল না। দোকানে থাকাকালে পাশের কাজী নজরুল ইসলাম কলেজের শিক্ষার্থী লুবনা নামে এক মেয়ের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তাদের দু’জনের বিয়ে হয়।
ওই মার্কেটের আরেক দোকানি আজম আলী জানান, আজিজুলকে অনেক ভাল মানুষ বলে আমরা জানতাম। মার্কেট এলাকায় তার দোকান থাকায় তাকে বিশ্বাসও করতাম। একদিন তিনি আমাদের বলেন, তিনি একটি কো-অপারেটিভ সোসাইটি খুলেছেন। ওই সমিতিতে একটি হিসাব খুললে শতকরা ১১% মুনাফা দেয়া হবে। তার কথায় বিশ্বাস করে এই মার্কেটের আমিসহ প্রায় ২০ জন একটি হিসাব খুলি। আমার হিসাব নম্বর ২৮৩। প্রায় ১ লাখ টাকা আমার জমা হয়েছিল। আজিজুল ও তার স্ত্রী আমাদের কাছে প্রতি সপ্তাহে এসে টাকা নিয়ে যেতো। গত অক্টোবর মাস থেকে তারা আমাদের কাছে আসেনি। তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এতে আমাদের সন্দেহ হয়। এরপরেই আমরা থানায় একটি জিডি করি। গ্রিল মিস্ত্রি বাবু জানান, আজিজুলের কথায় বিশ্বাস করে আমরা তার প্রতিষ্ঠানের সদস্য হয়েছিলাম। কিন্তু, সে আমাদের এভাবে প্রতারণা করে পালাবে তা ভাবতেও পারেনি। সূত্রাপুর থানার ওসি খলিলুর রহমান পাটোয়ারী জানান, কো-অপারেটিভ সোসাইটির নামে প্রতারণার অভিযোগ এনে থানায় অনেকেই জিডি করেছেন। বিষয়গুলো তদন্ত ও দোষীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
No comments