মংলাবন্দরে ঘোষণার চেয়ে তিনগুণ টাইলস আমদানি
মংলা ইপিজেডে নির্মাণাধীন মুনস্টার পলিমার
লিমিটেড নামের একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান শুল্কমুক্ত পণ্য আমদানির সুযোগ নিয়ে
ঘোষণার চেয়ে প্রায় তিনগুণ টাইলস চীন থেকে আমদানি করেছে। গোপনে কাস্টমস
কর্তৃপক্ষকে প্রভাব ও ঘুষ দিয়ে ম্যানেজ করে পণ্য ছাড়ানোর চেষ্টা করছে
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। এ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক আর্থিক এবং
রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন মংলা শুল্ক কর্তৃপক্ষ। বিধি
মোতাবেক জরিমানা করতে তারা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মংলা কাস্টমস হাউসের অ্যাপ্রেজিং শাখায় দাখিলকৃত বিল অব এন্টিতে (নং ৯৩০৪ তাং ৫ নভেম্বর, ২০১৪) আমদানিকারক মুনস্টার পলিমার লিমিটেড ঘোষণা দেয়, তারা ১২ হাজার ৪৫০ বর্গমিটার টাইলস এনেছে। মংলা শুল্ক ও শুল্ক গোয়েন্দাদের যৌথ কায়িক পরীক্ষায় ধরা পড়ে যে, ২৫টি কনটেইনারে টাইলস এসেছে ৩১ হাজার ৪২৩ দশমিক ৩৬ বর্গমিটার। এ টাইলস আমদানিতে ১৫৪ শতাংশ আমদানি শুল্ক ধার্য আছে। কিন্তু ইপিজেডে অবকাঠামো নির্মাণের সুযোগে সেই শুল্ক মওকুফ পাওয়ার কথা। আবার শুল্ক বিধির ১৯৬৯-এর ৩২ ধারায় মিথ্যা ঘোষণার জন্য ওই পণ্যের শুল্কায়নযোগ্য মূল্যের ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করার বিধান রয়েছে। কিন্তু মুনস্টার পলিমার লিমিটড প্রতিষ্ঠানটি খুলনার বহুল আলোচিত লকপুর গ্র“প অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। যার চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি এসএম আমজাদ হোসেন। তিনি নতুন অনুমোদন পাওয়া একটি বেসরকারি ব্যাংকেরও চেয়ারম্যান এবং এ ব্যাংকের পরিচালনা পর্যদের মধ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার আবদুল খালেকসহ প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও রয়েছেন। এ কারণে ঘোষণার চেয়ে অতিরিক্ত আমদানি করার বিষয়ে মংলা কাস্টমস কমিশনার কেএম অহিদুল আলম এবং শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পরিচালক মোকাদ্দেস হোসেন দুই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মংলা কাস্টমস কমিশনার কেএম অহিদুল আলম যুগান্তরকে বলেন, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আইনের বিধি অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেবে। এ বিষয় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা কাজ করছেন। তবে আমদানিকারক কিছু টাইলস বেশি আনতে পারেন ভেঙে যাওয়ার জন্য। বেশি আনলে কাস্টমসের বিধি অনুযায়ী শুল্ক দিয়ে ছাড় করানোর সুযোগ আছে।
এ ব্যাপারে মংলা কাস্টমস হাউসের শুল্কায়ন কর্মকর্তা আবদুল মালেক যুগান্তরকে জানান, আমদানিকারক ঘোষণার চেয়ে অনেক বেশি টাইলস আমদানি করেছেন।
তিনি জানান, মুনস্টার পলিমার লিমিটেডের ঘোষণায় আছে ১২ হাজার ৪৫০ বর্গমিটার। সেখানে তারা এনেছেন ৩১ হাজার ৪২৩ দশমিক ৩৬ বর্গমিটার টাইলস। তিনি আরও জানান, এই টাইলস দেশে ব্যবহারের উপযোগী কিনা, তা যাচাই করতে দুই দফা বিএসটিআই কর্তৃপক্ষের কাছে নমুনা পাঠানো হয়েছে।
তবে খুলনা শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পরিচালক সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন যুগান্তরকে জানান, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের ঘোষণা দেয়া ছিল ১২ হাজার ৪৫০ বর্গমিটার। কিন্তু মংলা কাস্টমস ও শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ কায়িক পরীক্ষায় টাইলস পাওয়া গেছে ৩১ হাজার ৪২৩ দশমিক ৩৬ বর্গমিটার। যা প্রায় তিনগুণের মতো। এটি জালিয়াতি ছাড়া কিছু নয়।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়টি রাজস্ব বোর্ডের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ ও শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানেন। সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন জানান, এ ঘোষণার অতিরিক্ত টাইলস আনার জন্য শুল্ক আইনে ৪০০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক এবং ব্যক্তিগত জরিমানার বিধান রয়েছে।
মুনস্টার পলিমার আল আরাফা ব্যাংকের ঢাকা মতিঝিল শাখায় চীন থেকে টাইলস আমদানির জন্য দুই লাখ ৩৮ হাজার ডলারের এলসি খোলে এবং সেখানে ১২ হাজার ৪৫০ বর্গমিটার টাইলস আমদানির কথা বলা হয়। আবার আমদানিকারক এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট একই গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হওয়ায় বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে ছিল। এ ব্যাপারে লকপুর গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হাবিবুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, টাইলস আমদানির বিষয়টি শুনেছেন। তবে বিষয়টি আরও খোঁজ নিয়ে জানাবেন বলে জানান তিনি।
পরে আবারও তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি সরাসরি তাদের চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসেন ড্রিল করছেন। এ প্রতিনিধিকে তাদের চেয়ারম্যান আমজাদ সাহেব খুলনায় এলে তার সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মংলা কাস্টমস হাউসের অ্যাপ্রেজিং শাখায় দাখিলকৃত বিল অব এন্টিতে (নং ৯৩০৪ তাং ৫ নভেম্বর, ২০১৪) আমদানিকারক মুনস্টার পলিমার লিমিটেড ঘোষণা দেয়, তারা ১২ হাজার ৪৫০ বর্গমিটার টাইলস এনেছে। মংলা শুল্ক ও শুল্ক গোয়েন্দাদের যৌথ কায়িক পরীক্ষায় ধরা পড়ে যে, ২৫টি কনটেইনারে টাইলস এসেছে ৩১ হাজার ৪২৩ দশমিক ৩৬ বর্গমিটার। এ টাইলস আমদানিতে ১৫৪ শতাংশ আমদানি শুল্ক ধার্য আছে। কিন্তু ইপিজেডে অবকাঠামো নির্মাণের সুযোগে সেই শুল্ক মওকুফ পাওয়ার কথা। আবার শুল্ক বিধির ১৯৬৯-এর ৩২ ধারায় মিথ্যা ঘোষণার জন্য ওই পণ্যের শুল্কায়নযোগ্য মূল্যের ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করার বিধান রয়েছে। কিন্তু মুনস্টার পলিমার লিমিটড প্রতিষ্ঠানটি খুলনার বহুল আলোচিত লকপুর গ্র“প অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। যার চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি এসএম আমজাদ হোসেন। তিনি নতুন অনুমোদন পাওয়া একটি বেসরকারি ব্যাংকেরও চেয়ারম্যান এবং এ ব্যাংকের পরিচালনা পর্যদের মধ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার আবদুল খালেকসহ প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও রয়েছেন। এ কারণে ঘোষণার চেয়ে অতিরিক্ত আমদানি করার বিষয়ে মংলা কাস্টমস কমিশনার কেএম অহিদুল আলম এবং শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পরিচালক মোকাদ্দেস হোসেন দুই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মংলা কাস্টমস কমিশনার কেএম অহিদুল আলম যুগান্তরকে বলেন, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আইনের বিধি অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেবে। এ বিষয় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা কাজ করছেন। তবে আমদানিকারক কিছু টাইলস বেশি আনতে পারেন ভেঙে যাওয়ার জন্য। বেশি আনলে কাস্টমসের বিধি অনুযায়ী শুল্ক দিয়ে ছাড় করানোর সুযোগ আছে।
এ ব্যাপারে মংলা কাস্টমস হাউসের শুল্কায়ন কর্মকর্তা আবদুল মালেক যুগান্তরকে জানান, আমদানিকারক ঘোষণার চেয়ে অনেক বেশি টাইলস আমদানি করেছেন।
তিনি জানান, মুনস্টার পলিমার লিমিটেডের ঘোষণায় আছে ১২ হাজার ৪৫০ বর্গমিটার। সেখানে তারা এনেছেন ৩১ হাজার ৪২৩ দশমিক ৩৬ বর্গমিটার টাইলস। তিনি আরও জানান, এই টাইলস দেশে ব্যবহারের উপযোগী কিনা, তা যাচাই করতে দুই দফা বিএসটিআই কর্তৃপক্ষের কাছে নমুনা পাঠানো হয়েছে।
তবে খুলনা শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পরিচালক সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন যুগান্তরকে জানান, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের ঘোষণা দেয়া ছিল ১২ হাজার ৪৫০ বর্গমিটার। কিন্তু মংলা কাস্টমস ও শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ কায়িক পরীক্ষায় টাইলস পাওয়া গেছে ৩১ হাজার ৪২৩ দশমিক ৩৬ বর্গমিটার। যা প্রায় তিনগুণের মতো। এটি জালিয়াতি ছাড়া কিছু নয়।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়টি রাজস্ব বোর্ডের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ ও শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানেন। সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন জানান, এ ঘোষণার অতিরিক্ত টাইলস আনার জন্য শুল্ক আইনে ৪০০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক এবং ব্যক্তিগত জরিমানার বিধান রয়েছে।
মুনস্টার পলিমার আল আরাফা ব্যাংকের ঢাকা মতিঝিল শাখায় চীন থেকে টাইলস আমদানির জন্য দুই লাখ ৩৮ হাজার ডলারের এলসি খোলে এবং সেখানে ১২ হাজার ৪৫০ বর্গমিটার টাইলস আমদানির কথা বলা হয়। আবার আমদানিকারক এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট একই গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হওয়ায় বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে ছিল। এ ব্যাপারে লকপুর গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হাবিবুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, টাইলস আমদানির বিষয়টি শুনেছেন। তবে বিষয়টি আরও খোঁজ নিয়ে জানাবেন বলে জানান তিনি।
পরে আবারও তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি সরাসরি তাদের চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসেন ড্রিল করছেন। এ প্রতিনিধিকে তাদের চেয়ারম্যান আমজাদ সাহেব খুলনায় এলে তার সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
No comments