ঝুঁকির জীবন, অভ্যাস উপেক্ষার by কমল জোহা খান
(জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই কারওয়ান বাজার রেলগেট ও রেললাইন দিয়ে চলাচল করছেন। ছবি: মনিরুল আলম) দিনটি ছিল ২৫ নভেম্বর সকাল সাতটা। রাজধানীর কারওয়ান বাজার রেললাইন দিয়ে অসংখ্য মানুষের ভিড়ে মাথায় সবজিভর্তি ঝুড়ি নিয়ে মগবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন কুটি মিয়া। রেললাইনে হাঁটতে ভয় লাগে না? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ট্রেন আইলে আইব। মরণ আইলে আইব। কিন্তু সদাই নিয়া মগবাজার যাইতে এক ঘণ্টা লাগব। রেললাইনে হাঁটলে লাগব আধা ঘণ্টা।’ অথচ কারওয়ান বাজার রেলগেটের পাশে মাছবাজারে ১১ সেপ্টেম্বরের ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান চারজন।
ট্রেন দুর্ঘটনার পর মাছবাজারটি উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু মানুষের ভিড় আছে আগের মতোই। এর সঙ্গে বেড়েছে ট্রেন চলাচল। তাই থেকেই যাচ্ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। রেলগেটে দায়িত্বরত কর্মী, ব্যবসায়ী ও ট্রাফিক সদস্যরা এমন আশঙ্কা নিয়েই কাজ করছেন প্রতিদিন। এ পথে প্রতিদিন গড়ে ৮০টি ট্রেন আসা-যাওয়া করে।
সরেজমিনে আরও দেখা গেছে, সূর্য ওঠার আগেই কারওয়ান বাজার রেলগেটের ওপর দিয়ে মানুষের ছুটে চলা শুরু হয়। খুচরা ব্যবসায়ীদের মাথায় থাকে কারওয়ান বাজার থেকে কেনা ঝুড়িভর্তি সবজি, মুরগি কিংবা মাছসহ নানা পণ্য। আর বাজার করতে আসা অসংখ্য সাধারণ মানুষ কিংবা কর্মজীবীরা তো আছেনই। সহজে গন্তব্যে যেতে সবাই ঝুঁকি মাথায় নিয়ে হাঁটছেন রেললাইন ধরে।
এত মানুষের ভিড়। এর মধ্যেই ১০-১৫ মিনিট পরপর তীব্র গতিতে একেকটি ট্রেন আসা-যাওয়া করছে। সিগন্যালের ঘণ্টা বাজলেও রেললাইন থেকে সরে যাওয়ার তাগাদা কারও মধ্যে থাকে না। দায়িত্বরত আনসার সদস্যরাও পথচারীদের সতর্ক করেন না। তাঁরা নিজেরাই উল্টো রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতায় ব্যস্ত থাকেন। ট্রেনটি একেবারে কাছাকাছি না আসা পর্যন্ত পথচারীরা রেললাইন থেকে সরছেন না।
বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কারওয়ান বাজার রেলগেটে যান চলাচল বাড়তে থাকে। তাই সোনারগাঁও ক্রসিং ও মগবাজার হয়ে আসা বাস-প্রাইভেট কার নিয়ম ভেঙে রেললাইনের ওপরই ইউটার্ন নিতে থাকে। শুধু তা-ই নয়, রেলগেটের চারটি ব্যারিকেড ফেলার পরও অনেক মোটরসাইকেলচালক নিয়ম উপেক্ষা করে পথ চলতে ব্যস্ত।
এ প্রসঙ্গে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ এমদাদ হোসেন বলেন, ‘নিয়ম নাই। কিন্তু আমরা ঠেকাতে পারি না। আর যদি ঠেকাই তাহলে রাস্তার দুই পাশে যানজট হবে।’
কারওয়ান বাজার রেলগেটের গেটম্যান মো. রেজাউলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই রেলক্রসিং হয়ে প্রতিদিন ৮০টি ট্রেন আসা-যাওয়া করে। সেই হিসাবে গড়ে ১৮ মিনিট পর পর একটি করে ট্রেন এই রেলগেট পার হয়।
ক্ষোভের সঙ্গে রেজাউল বলেন, ‘এখানে মাছবাজার উচ্ছেদ হলেও মানুষ রেললাইন দিয়ে এখন বেশি হাঁটছে। ট্রেন চলতাছে বেশি। রেললাইনের পাশে বস্তির লোকও বাড়ছে। তাই এখন বিপদও বাড়ছে।’
ট্রেন দুর্ঘটনার পর মাছবাজারটি উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু মানুষের ভিড় আছে আগের মতোই। এর সঙ্গে বেড়েছে ট্রেন চলাচল। তাই থেকেই যাচ্ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। রেলগেটে দায়িত্বরত কর্মী, ব্যবসায়ী ও ট্রাফিক সদস্যরা এমন আশঙ্কা নিয়েই কাজ করছেন প্রতিদিন। এ পথে প্রতিদিন গড়ে ৮০টি ট্রেন আসা-যাওয়া করে।
সরেজমিনে আরও দেখা গেছে, সূর্য ওঠার আগেই কারওয়ান বাজার রেলগেটের ওপর দিয়ে মানুষের ছুটে চলা শুরু হয়। খুচরা ব্যবসায়ীদের মাথায় থাকে কারওয়ান বাজার থেকে কেনা ঝুড়িভর্তি সবজি, মুরগি কিংবা মাছসহ নানা পণ্য। আর বাজার করতে আসা অসংখ্য সাধারণ মানুষ কিংবা কর্মজীবীরা তো আছেনই। সহজে গন্তব্যে যেতে সবাই ঝুঁকি মাথায় নিয়ে হাঁটছেন রেললাইন ধরে।
এত মানুষের ভিড়। এর মধ্যেই ১০-১৫ মিনিট পরপর তীব্র গতিতে একেকটি ট্রেন আসা-যাওয়া করছে। সিগন্যালের ঘণ্টা বাজলেও রেললাইন থেকে সরে যাওয়ার তাগাদা কারও মধ্যে থাকে না। দায়িত্বরত আনসার সদস্যরাও পথচারীদের সতর্ক করেন না। তাঁরা নিজেরাই উল্টো রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতায় ব্যস্ত থাকেন। ট্রেনটি একেবারে কাছাকাছি না আসা পর্যন্ত পথচারীরা রেললাইন থেকে সরছেন না।
বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কারওয়ান বাজার রেলগেটে যান চলাচল বাড়তে থাকে। তাই সোনারগাঁও ক্রসিং ও মগবাজার হয়ে আসা বাস-প্রাইভেট কার নিয়ম ভেঙে রেললাইনের ওপরই ইউটার্ন নিতে থাকে। শুধু তা-ই নয়, রেলগেটের চারটি ব্যারিকেড ফেলার পরও অনেক মোটরসাইকেলচালক নিয়ম উপেক্ষা করে পথ চলতে ব্যস্ত।
এ প্রসঙ্গে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ এমদাদ হোসেন বলেন, ‘নিয়ম নাই। কিন্তু আমরা ঠেকাতে পারি না। আর যদি ঠেকাই তাহলে রাস্তার দুই পাশে যানজট হবে।’
কারওয়ান বাজার রেলগেটের গেটম্যান মো. রেজাউলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই রেলক্রসিং হয়ে প্রতিদিন ৮০টি ট্রেন আসা-যাওয়া করে। সেই হিসাবে গড়ে ১৮ মিনিট পর পর একটি করে ট্রেন এই রেলগেট পার হয়।
ক্ষোভের সঙ্গে রেজাউল বলেন, ‘এখানে মাছবাজার উচ্ছেদ হলেও মানুষ রেললাইন দিয়ে এখন বেশি হাঁটছে। ট্রেন চলতাছে বেশি। রেললাইনের পাশে বস্তির লোকও বাড়ছে। তাই এখন বিপদও বাড়ছে।’
No comments