রোডমার্চ প্রমাণ করেছে সরকারের জনপ্রিয়তা নেই

ভুল ও বিপর্যয়ের পথ ছেড়ে সরকার সমঝোতার পথে ফিরে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে সরকারকে জনগণের অভিপ্রায় অনুধাবনের আহ্বান জানান তিনি। শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পন্থায় সরকার বদলের যে পথ সরকার রুদ্ধ করেছে, জনগণের দাবি অনুযায়ী সে পথ খুলে দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিরোধীদলীয় নেতা। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনের বাধা অপসারণ করে যত দ্রুত সম্ভব সরকারের পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। তার দাবি, রোডমার্চ প্রমাণ করেছে, সরকারের বিন্দুমাত্র জনসমর্থন নেই।


গতকাল বুধবার রাতে এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এসব কথাবলেন। বিবৃতিতে বিএনপিরনেতৃত্বাধীন চার দল ও সমমনা রাজনৈতিক দলের সিলেট অভিমুখে রোডমার্চে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে কর্মসূচি সফল করায় ওই অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে অভিনন্দন জানান তিনি।
রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে সিলেট পর্যন্ত দীর্ঘ যাত্রাপথে জনগণের জাগরণ ও প্রবল জনজোয়ার অভিভূত। খালেদা জিয়া বলেন, এই বিপুল ভালোবাসা আমাকে আরও একবার কৃতজ্ঞতা বন্ধনে আবদ্ধ করল। কৃতজ্ঞতার এ ঋণ জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে শোধ করার চেষ্টা করা হবে। তিনি দাবি করেন, বর্তমানে ব্যর্থ, অত্যাচারী ও দুর্বিনীত শাসকদের বিন্দুমাত্র জনসমর্থন নেই। তাদের কোনো গণভিত্তি নেই। সরকারের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। এ বিপুল জনজোয়ার প্রমাণ করে, 'গণবিরোধী' সরকারের এক মুহূর্তও ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই।
খালেদা জিয়া আরও বলেন, 'ব্যর্থ শাসকরা যতই মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র ও নিপীড়ন করুন না কেন_ আগামী দিনগুলো হবে দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক শক্তিরই। জনতার কণ্ঠে বিজয়ের তূর্যনিনাদ শুনতে পাচ্ছি। জনগণকে চিনে ও বুঝে এবং তাদের হৃদস্পন্দন ও মনের ভাষা পড়ে আমার এ দৃঢ় বিশ্বাস প্রবল হয়েছে।'
সিলেট অভিমুখে রোডমার্চ সফল করায় বিএনপিসহ চার দল, সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, সমমনা দল এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান
খালেদা জিয়া। পাশাপাশি নানা প্রতিকূলতার মধ্যে সংবাদ পরিবেশন করায় সাংবাদিকদেরও ধন্যবাদ জানান তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, 'সরকারের বৈরী আচরণ সত্ত্বেও প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তব্যরত যেসব সদস্য শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন, তারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।'
তিনি বলেন, এ কর্মসূচির কারণে অনেকের কষ্ট হয়েছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ছন্দপতন ঘটেছে। সে কথা আমার জানা আছে। দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সচেতন মানুষ বৃহত্তর কল্যাণের স্বার্থে ব্যক্তিগত ক্ষয়ক্ষতি মেনে নিতে এবং ত্যাগ স্বীকার করতে কখনোই পিছপা হয় না।
আগামী দিনের কর্মসূচিগুলোও একইভাবে সফল করার জন্য দল-মত নির্বিশেষে সব দেশপ্রেমিক নাগরিক, বিশেষ করে যুবসমাজের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, সত্য ও ন্যায়ের পথে তাদের বিজয় অবিশ্যম্ভাবী।

No comments

Powered by Blogger.