নানা খবরে চাঙ্গা শেয়ারবাজার
আগের তিন দিনের ধারাবাহিকতায় দরপতন দিয়ে শুরু হয়েছিল গতকালের লেনদেন। ৩০ মিনিটেই ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জের সূচক পড়ে যায় ১৫০ পয়েন্ট। এরপর নাটকীয়ভাবে বাড়তে থাকে বেশির ভাগ কম্পানির শেয়ারের দাম। দিন শেষে ডিএসইর সূচক ৬৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৫৩৫৯.৬২-এ। মঙ্গলবার রাতে অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এসইসির চেয়ারম্যানের ইতিবাচক বৈঠক, গতকাল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠকেও প্রাপ্তির যোগ থাকবে_এসব খবর প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে বলে বাজার সংশ্লিষ্টদের ধারণা।দিনের শুরুতে বাজার পড়তে শুরু করলে মতিঝিলের রাস্তায় নেমে আসে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ।
আগের দিনের মতোই তাঁরা বিক্ষোভ সমাবেশ করে রাস্তা অবরোধ করে রাখেন। শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বাজার ঠিক না হওয়া পর্যন্ত লেনদেন স্থগিত করার দাবিও জানানো হয়। গত কয়েক দিনের অব্যাহত দরপতনে মার্জিন ঋণ সমন্বয় করার জন্য অনেক ব্রোকারেজ হাউস ট্রিগার সেল করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোকসানা পারভীন নামের এক বিনিয়োগকারী বলেন, জিএমএফ সিকিউরিটিজ লিমিটেড আমাকে না জানিয়েই বিনিয়োগ করা ৫০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে পথে বসিয়েছে।
এ বিষয়ে এসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন বলেন, ফোর্সড সেল না করার জন্য আমরা অনুরোধ করেছি। তার পরও যদি কোনো ব্রোকারেজ হাউস এটি করেছে_এমন অভিযোগ পেলে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সপ্তাহের প্রথম তিন দিনে ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জে (ডিএসই) ৪৩৪.৪৯ পয়েন্ট সূচক পড়ে যায়। গতকালও সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সূচক কমে যায় প্রায় ১৫০ পয়েন্ট। এর পর থেকেই সূচক কিছুটা বাড়তে থাকে। আর দিন শেষে আগের দিনের চেয়ে ৬৬.৩১ পয়েন্ট বেড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কশিনের (এসইসি) বৈঠক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকের উদ্যোগসহ বেশ কিছু ইতিবাচক খবরে বাজার কিছুটা চাঙ্গা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন বলেন, গত কয়েক দিন বাজার নিম্নমুখী ধারার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চলছে। বাজার পরিস্থিতি উন্নয়নে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সরকারের সর্বোচ্চ মহল শেয়ারবাজার নিয়ে আন্তরিক রয়েছে।
এদিকে গতকাল দিনভর ডিএসই ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। সংগঠনটি সকাল সাড়ে ১১টায় ডিএসই ভবনের সামনে তাদের পূর্ব ঘোষিত প্রতীকী অনশন শুরু করে। এ সময় মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলা সাড়ে ৩টার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। কয়েক মাস ধরে শেয়ার াজারে দরপতন হলেও গতকালই প্রথম রাস্তায় নেমে এসেছিলেন পলাশ আহমেদ নামের এক বিনিয়োগকারী। মতিঝিলের লংকাবাংলা সিকিউরিটিজে লেনদেন করা এই বিনিয়োগকারী বলেন, 'আমরা ব্যবসা করতে এসেছি, আন্দোলন করতে নয়। সমাজে আমাদের একটা অবস্থান রয়েছে। চাইলেও রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে পারি না। তার পরও আজ রাস্তায় নেমেছি।' তাঁর মতে, দৈনিক কারবার বন্ধ করতে হবে। সকালে কিনে বিকেলে বেচা বন্ধ না করলে বাজার ঠিক হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমানে যে অবস্থা তাতে বিনিয়োগকারীরা নিঃস্ব হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে লেনদেন স্থগিত করা প্রয়োজন ।
গতকাল লেনদেন হওয়া ২৫৩টি কম্পানির মধ্যে ২১৮টির দাম বেড়েছে। ২৮টি কম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। আর বাকি সাতটি কম্পানির শেয়ারে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিকে সূচক ও বেশির ভাগ কম্পানির শেয়ারের দাম বাড়লেও কমে গেছে লেনদেনের পরিমাণ। গতকাল ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জে (ডিএসই) ৩১৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা মঙ্গলবার থেকে ২২ কোটি ১৮ লাখ টাকা কম।
এ বিষয়ে এসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন বলেন, ফোর্সড সেল না করার জন্য আমরা অনুরোধ করেছি। তার পরও যদি কোনো ব্রোকারেজ হাউস এটি করেছে_এমন অভিযোগ পেলে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সপ্তাহের প্রথম তিন দিনে ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জে (ডিএসই) ৪৩৪.৪৯ পয়েন্ট সূচক পড়ে যায়। গতকালও সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সূচক কমে যায় প্রায় ১৫০ পয়েন্ট। এর পর থেকেই সূচক কিছুটা বাড়তে থাকে। আর দিন শেষে আগের দিনের চেয়ে ৬৬.৩১ পয়েন্ট বেড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কশিনের (এসইসি) বৈঠক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকের উদ্যোগসহ বেশ কিছু ইতিবাচক খবরে বাজার কিছুটা চাঙ্গা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন বলেন, গত কয়েক দিন বাজার নিম্নমুখী ধারার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চলছে। বাজার পরিস্থিতি উন্নয়নে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সরকারের সর্বোচ্চ মহল শেয়ারবাজার নিয়ে আন্তরিক রয়েছে।
এদিকে গতকাল দিনভর ডিএসই ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। সংগঠনটি সকাল সাড়ে ১১টায় ডিএসই ভবনের সামনে তাদের পূর্ব ঘোষিত প্রতীকী অনশন শুরু করে। এ সময় মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলা সাড়ে ৩টার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। কয়েক মাস ধরে শেয়ার াজারে দরপতন হলেও গতকালই প্রথম রাস্তায় নেমে এসেছিলেন পলাশ আহমেদ নামের এক বিনিয়োগকারী। মতিঝিলের লংকাবাংলা সিকিউরিটিজে লেনদেন করা এই বিনিয়োগকারী বলেন, 'আমরা ব্যবসা করতে এসেছি, আন্দোলন করতে নয়। সমাজে আমাদের একটা অবস্থান রয়েছে। চাইলেও রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে পারি না। তার পরও আজ রাস্তায় নেমেছি।' তাঁর মতে, দৈনিক কারবার বন্ধ করতে হবে। সকালে কিনে বিকেলে বেচা বন্ধ না করলে বাজার ঠিক হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমানে যে অবস্থা তাতে বিনিয়োগকারীরা নিঃস্ব হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে লেনদেন স্থগিত করা প্রয়োজন ।
গতকাল লেনদেন হওয়া ২৫৩টি কম্পানির মধ্যে ২১৮টির দাম বেড়েছে। ২৮টি কম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। আর বাকি সাতটি কম্পানির শেয়ারে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিকে সূচক ও বেশির ভাগ কম্পানির শেয়ারের দাম বাড়লেও কমে গেছে লেনদেনের পরিমাণ। গতকাল ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জে (ডিএসই) ৩১৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা মঙ্গলবার থেকে ২২ কোটি ১৮ লাখ টাকা কম।
No comments