চিনি আমদানিতে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত!
অবশেষে মিলমালিকদের চাপে পরিশোধিত চিনি আমদানির ওপর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়! আন্তর্জাতিক বাজারে হঠাৎ চিনির দাম কমে যাওয়ায় মিলমালিকদের আগে আমদানি করা বেশি দামের চিনির তুলনায় আমদানিকারকরা এখন কম দামে চিনি বিক্রি করছেন। ফলে বাজারে চিনির দাম কিছুটা কমেছিল। বেশি দামে পরিবেশকরা মিলগুলো থেকে চিনি সংগ্রহ করছেন না। এ অবস্থায় মিলমালিকরা পরিশোধিত চিনি আমদানি বন্ধ করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চাপ দিচ্ছিল।
তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পরিশোধিত চিনি আমদানি বন্ধ না করে আমদানির ওপর নির্দিষ্ট পরিমাণ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে!গতকাল ভোজ্য তেল ও চিনির মিলমালিকদের দুটি সমিতির সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা এক বৈঠকে বসে এ সিদ্ধান্ত নেন! তবে কবে থেকে কী পরিমাণ শুল্ক আরোপ করা হবে, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখবে বলে জানান বাণিজ্যসচিব মো. গোলাম হোসেন।বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বেলা সাড়ে ৩টা থেকে শুরু হওয়া ওই বৈঠক চলে প্রায় ৫টা পর্যন্ত। পরে বাণিজ্যসচিব ওই বৈঠকে আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। বৈঠকে ভোজ্য তেল ও চিনির দাম বাড়ানো বা কমানোর বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান তিনি।
সচিব মো. গোলাম হোসেন বলেন, ভোজ্য তেল ও চিনি সরবরাহ ও বিপণনের জন্য পরিবেশক প্রথা চালু করা হলেও আমদানিকারকরা কোনো পরিবেশক নিয়োগ দেননি। পরিবেশক প্রথা চালু হওয়ার পর থেকে মিলগুলোর পণ্য সরবরাহে স্বচ্ছতা এসেছে; কিন্তু আমদানিকারকদের ক্ষেত্রে এখনো স্বচ্ছতা আসেনি। এটা থেকে বের হয়ে আসার জন্য বৈঠকে পরিশোধিত চিনি আমদানির ওপর কিছু শুল্ক আরোপ করা বা স্থানীয় মিলমালিকদের জন্য সুরক্ষামূলক কিছু উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখবে।
সচিব জানান, দেশে চাহিদার তুলনায় ভোজ্য তেল ও চিনি মিলগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা বেশি। বিশেষ করে চিনির মিলগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা চাহিদার প্রায় দ্বিগুণ। তাই মিলমালিকরা চিনি রপ্তানির অনুমতি চেয়েছেন। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না বলে মিলমালিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, মিলমালিকদের বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল হলেই কেবল রপ্তানি করার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে। তাই রপ্তানির চিন্তা করার আগে বাজার স্থিতিশীল রাখতে মিলমালিকদের প্রতি অনুরোধ করেছে মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্যসচিব আরো জানান, বৈঠকে বিদ্যমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমাদের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভোজ্য তেল ও চিনির মিলমালিকরা পর্যাপ্ত পরিবেশক নিয়োগ করছেন না। অথচ শেষ দিন পর্যন্ত মিলমালিক ও তাঁদের সমিতির সঙ্গে আলোচনা করেই পরিবেশক প্রথা চালু করা হয়েছে।
সচিব বলেন, ভোজ্য তেল ও চিনি পরিশোধনের ক্ষেত্রে ফসফরাস এসিডের প্রয়োজন হয়। আর তা আমদানি করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি প্রয়োজন হয়। মূলত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি পাওয়ার পরই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানির অনুমতি দেয়। মিলমালিকরা বলছেন, তাঁদের এই অনুমতি পেতে দেরি হচ্ছে। এ অবস্থায় আমদানি নীতিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হবে, যাতে একটি মন্ত্রণালয়ের সম্মতির পরই তা আমদানির সুযোগ পান মিলমালিকরা।
বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমান, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. শওকত আলী ওয়ারছী, সিনিয়র সহকারী সচিব মনির হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান, মেঘনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মোস্তফা, আবদুল মোনেম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন মোনেম, আবদুর রউফ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সচিব মো. গোলাম হোসেন বলেন, ভোজ্য তেল ও চিনি সরবরাহ ও বিপণনের জন্য পরিবেশক প্রথা চালু করা হলেও আমদানিকারকরা কোনো পরিবেশক নিয়োগ দেননি। পরিবেশক প্রথা চালু হওয়ার পর থেকে মিলগুলোর পণ্য সরবরাহে স্বচ্ছতা এসেছে; কিন্তু আমদানিকারকদের ক্ষেত্রে এখনো স্বচ্ছতা আসেনি। এটা থেকে বের হয়ে আসার জন্য বৈঠকে পরিশোধিত চিনি আমদানির ওপর কিছু শুল্ক আরোপ করা বা স্থানীয় মিলমালিকদের জন্য সুরক্ষামূলক কিছু উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখবে।
সচিব জানান, দেশে চাহিদার তুলনায় ভোজ্য তেল ও চিনি মিলগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা বেশি। বিশেষ করে চিনির মিলগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা চাহিদার প্রায় দ্বিগুণ। তাই মিলমালিকরা চিনি রপ্তানির অনুমতি চেয়েছেন। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না বলে মিলমালিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, মিলমালিকদের বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল হলেই কেবল রপ্তানি করার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে। তাই রপ্তানির চিন্তা করার আগে বাজার স্থিতিশীল রাখতে মিলমালিকদের প্রতি অনুরোধ করেছে মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্যসচিব আরো জানান, বৈঠকে বিদ্যমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমাদের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভোজ্য তেল ও চিনির মিলমালিকরা পর্যাপ্ত পরিবেশক নিয়োগ করছেন না। অথচ শেষ দিন পর্যন্ত মিলমালিক ও তাঁদের সমিতির সঙ্গে আলোচনা করেই পরিবেশক প্রথা চালু করা হয়েছে।
সচিব বলেন, ভোজ্য তেল ও চিনি পরিশোধনের ক্ষেত্রে ফসফরাস এসিডের প্রয়োজন হয়। আর তা আমদানি করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি প্রয়োজন হয়। মূলত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি পাওয়ার পরই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানির অনুমতি দেয়। মিলমালিকরা বলছেন, তাঁদের এই অনুমতি পেতে দেরি হচ্ছে। এ অবস্থায় আমদানি নীতিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হবে, যাতে একটি মন্ত্রণালয়ের সম্মতির পরই তা আমদানির সুযোগ পান মিলমালিকরা।
বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমান, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. শওকত আলী ওয়ারছী, সিনিয়র সহকারী সচিব মনির হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান, মেঘনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মোস্তফা, আবদুল মোনেম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন মোনেম, আবদুর রউফ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
No comments