ইসরায়েল ও হামাসের বন্দি-বিনিময় চুক্তি
ইসরায়েল ও হামাস বন্দি-বিনিময় চুক্তিতে রাজি হয়েছে। এতে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী দল হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি সার্জেন্ট গিলাত শালিত আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই মুক্তি পাবেন। বিপরীতে ইসরায়েলে আটক ফিলিস্তিনিদের মধ্যে এক হাজার ২৭ জনকে ছেড়ে দেওয়া হবে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত মঙ্গলবার রাতে এ চুক্তির কথা ঘোষণা করেন।তবে চুক্তিটি কবে কোথায় সই হয়েছে, কবে থেকে কার্যকর হবে অথবা কোথায় কিভাবে বন্দি-বিনিময় সম্পন্ন হবে, সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত ভাষণে নেতানিয়াহু বলেন, 'গিলাত শালিতের মুক্তির ব্যাপারে হামাসের সঙ্গে কষ্টসাধ্য আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। তিনি (শালিত) কয়েক দিনের মধ্যেই দেশে ফিরবেন।' এ চুক্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে মঙ্গলবার জরুরি ভিত্তিতে ইসরায়েলি মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক হয়। সেখানে তিন ঘণ্টার উত্তপ্ত আলোচনা শেষে ২৬-৩ ভোটে চুক্তির পক্ষে রায় দেয় পরিষদ। কট্টর জাতীয়তাবাদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যানসহ অন্য দুই জাতীয়তাবাদী মন্ত্রী এর বিপক্ষে ভোট দেন।
২০০৬ সালের ২৫ জুন ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের আন্তসীমান্ত সংঘর্ষের সময় শালিতকে নিজেদের কবজায় নেয় হামাস। এরপর একাধিকবার তাঁর মুক্তির ব্যাপারে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা ভেস্তে যায়। আটকের পর ইসরায়েলে রীতিমতো জাতীয় বীরে পরিণত হয়েছেন শালিত।
চুক্তির ঘোষণায় গত মঙ্গলবার গাজা ও ইসরায়েলে আনন্দ প্রকাশ করতে অনেক মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। শালিতের মুক্তির দাবিতে তাঁর বাবা-মা নোয়াম শালিত ও আভিভা শালিত গত বছরের জুন থেকে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বাসভবনের বাইরে তাঁবু গেড়ে বসবাস করছেন। ছেলের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা সেখান থেকে যাবেন না বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন। মঙ্গলবার রাতে সেখানে তাঁদের অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী জড়ো হয়ে পুরো রাত নাচগান করেন। অন্যদিকে এ চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে গাজার রাস্তায় রাস্তায় হাজারো মানুষের ঢল নামে বলে জানিয়েছে হামাস।
হামাসের প্রধান খালেদ মেশাল দামেস্ক থেকে চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সিরিয়ায় নির্বাসিত এ নেতা চুক্তিটিকে ফিলিস্তিনের বিজয় হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, 'হামাস ও ইসরায়েলে একটি বন্দি-বিনিময় চুক্তিতে রাজি হয়েছে, যার অধীনে এক হাজার ২৭ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে ২৭ জন নারী। দুই দফায় তাঁদের মুক্তি দেওয়া হবে।' খালেদ জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ৪৫০ জনকে ছেড়ে দেবে ইসরায়েল। বাকি ৫৫০ জন দুই মাসের মধ্যে ছাড়া পাবেন।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসও বন্দি-বিনিময় চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। চুক্তির মধ্যস্থতাকারীদের একজন সায়েব এরাকাত আব্বাসকে উদ্ধৃত বলেন, এ চুক্তি ফিলিস্তিনিদের জাতীয় অর্জন। ভেনিজুয়েলা থেকে টেলিফোনে এএফপিকে এ কথা জানান তিনি।
তবে এ চুক্তির আওতায় মুুক্তি পাওয়ার তালিকায় ফিলিস্তিনি শীর্ষ পর্যায়ের অনেকেই নেই। ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত ইন্টারনাল ইনটেলিজেন্স সার্ভিসের প্রধান ইয়োরাম কোহেন জানান, শীর্ষ পর্যায়ের যে কয়জন মুক্তি পাবেন না, তাঁদের মধ্যে ফাতাহ নেতা মারওয়ান রাগৌতি, আহমেদ সাদাত ও হামাস নেতা আবদুল্লাহ বারগোতি রয়েছেন। ২০০১ সালে ইসরায়েলি পর্যটনমন্ত্রীকে হত্যার জন্য নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সাদাতের বিরুদ্ধে। এদিকে গতকাল বুধবার ইসরায়েলের বেশির ভাগ পত্রপত্রিকায় চুক্তির উদ্যোগের প্রশংসা করা হয়েছে। তবে দু-একজন সমালোচক এই বলে সতর্ক করেছেন, এ চুক্তি ইসরায়েলকে দুর্বল প্রতিপন্ন করবে। পাশাপাশি জঙ্গি হামলা বাড়ার আশঙ্কাও করেছেন তাঁরা। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
২০০৬ সালের ২৫ জুন ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের আন্তসীমান্ত সংঘর্ষের সময় শালিতকে নিজেদের কবজায় নেয় হামাস। এরপর একাধিকবার তাঁর মুক্তির ব্যাপারে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা ভেস্তে যায়। আটকের পর ইসরায়েলে রীতিমতো জাতীয় বীরে পরিণত হয়েছেন শালিত।
চুক্তির ঘোষণায় গত মঙ্গলবার গাজা ও ইসরায়েলে আনন্দ প্রকাশ করতে অনেক মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। শালিতের মুক্তির দাবিতে তাঁর বাবা-মা নোয়াম শালিত ও আভিভা শালিত গত বছরের জুন থেকে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বাসভবনের বাইরে তাঁবু গেড়ে বসবাস করছেন। ছেলের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা সেখান থেকে যাবেন না বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন। মঙ্গলবার রাতে সেখানে তাঁদের অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী জড়ো হয়ে পুরো রাত নাচগান করেন। অন্যদিকে এ চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে গাজার রাস্তায় রাস্তায় হাজারো মানুষের ঢল নামে বলে জানিয়েছে হামাস।
হামাসের প্রধান খালেদ মেশাল দামেস্ক থেকে চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সিরিয়ায় নির্বাসিত এ নেতা চুক্তিটিকে ফিলিস্তিনের বিজয় হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, 'হামাস ও ইসরায়েলে একটি বন্দি-বিনিময় চুক্তিতে রাজি হয়েছে, যার অধীনে এক হাজার ২৭ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে ২৭ জন নারী। দুই দফায় তাঁদের মুক্তি দেওয়া হবে।' খালেদ জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ৪৫০ জনকে ছেড়ে দেবে ইসরায়েল। বাকি ৫৫০ জন দুই মাসের মধ্যে ছাড়া পাবেন।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসও বন্দি-বিনিময় চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। চুক্তির মধ্যস্থতাকারীদের একজন সায়েব এরাকাত আব্বাসকে উদ্ধৃত বলেন, এ চুক্তি ফিলিস্তিনিদের জাতীয় অর্জন। ভেনিজুয়েলা থেকে টেলিফোনে এএফপিকে এ কথা জানান তিনি।
তবে এ চুক্তির আওতায় মুুক্তি পাওয়ার তালিকায় ফিলিস্তিনি শীর্ষ পর্যায়ের অনেকেই নেই। ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত ইন্টারনাল ইনটেলিজেন্স সার্ভিসের প্রধান ইয়োরাম কোহেন জানান, শীর্ষ পর্যায়ের যে কয়জন মুক্তি পাবেন না, তাঁদের মধ্যে ফাতাহ নেতা মারওয়ান রাগৌতি, আহমেদ সাদাত ও হামাস নেতা আবদুল্লাহ বারগোতি রয়েছেন। ২০০১ সালে ইসরায়েলি পর্যটনমন্ত্রীকে হত্যার জন্য নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সাদাতের বিরুদ্ধে। এদিকে গতকাল বুধবার ইসরায়েলের বেশির ভাগ পত্রপত্রিকায় চুক্তির উদ্যোগের প্রশংসা করা হয়েছে। তবে দু-একজন সমালোচক এই বলে সতর্ক করেছেন, এ চুক্তি ইসরায়েলকে দুর্বল প্রতিপন্ন করবে। পাশাপাশি জঙ্গি হামলা বাড়ার আশঙ্কাও করেছেন তাঁরা। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments