তারেক-কোকোকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান খালেদা by পাভেল হায়দার চৌধুরী
ভবিষ্যতে তরুণ প্রজন্মের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার দেওয়া বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগসহ মহাজোটের নেতারা। তাঁরা বলছেন, খালেদা জিয়া তরুণ প্রজন্মের কথা বলে তারেক-কোকোকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। তাঁর এ পরিকল্পনায় দেশের মানুষ আতঙ্কিত। বিএনপির নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে হাওয়া ভবনের লুটপাটের কথা মানুষ এখনো ভুলে যায়নি।
খালেদা জিয়া গত মঙ্গলবার সিলেটের জনসভায় ঘোষণা দিয়েছেন, ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে তরুণদের হাতে দেশের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হবে।
খালেদা জিয়া গত মঙ্গলবার সিলেটের জনসভায় ঘোষণা দিয়েছেন, ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে তরুণদের হাতে দেশের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হবে।
তিনিসহ দলের সিনিয়র নেতারা নতুন সরকারকে সহযোগিতা করবেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় গতকাল বুধবার মহাজোটের নেতারা কালের কণ্ঠকে বলেন, খালেদা জিয়া তাঁর দুর্নীতিবাজ দুই ছেলে তারেক-কোকো ও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার জন্য নতুন ফর্মুলা দিয়েছেন। দেশের জনগণ এ ফর্মুলা প্রত্যাখ্যান করবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'খালেদা জিয়া আগে নীতিমালা করুন, তরুণ প্রজন্মের চেহারা দেখি। এর পরেই মন্তব্য করব।' বিএনপির চেয়ারপারসনের আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ করার আহ্বানের সমালোচনা করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'তিনি ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর সেনা ছাউনিতে থেকে পাকিস্তানিদের হয়ে যুদ্ধ করেছিলেন। এখন আবার নিজামী-মুজাহিদের হয়ে মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছেন। সেই যুদ্ধেও স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের জনগণ বিজয়ী হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে।'
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, 'খালেদা জিয়া তাঁর দুর্নীতিবাজ দুই ছেলে তারেক-কোকো ও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার জন্য নতুন ফর্মুলা দিয়েছেন। এ ধরনের স্বপ্ন কোনো দিন পূরণ হবে না। কারণ তাঁর তরুণ প্রজন্মের রাজনীতি জনগণ দেখেছে। হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে তারেক যে দুর্নীতি করেছেন, তা জনগণ এখনো ভুলে যায়নি।' দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, 'খালেদা জিয়ার তরুণ প্রজন্ম মানে দুর্নীতিবাজ দুই ছেলে তারেক-কোকো। তাঁর আশপাশে আর কোনো তরুণ প্রজন্ম নেই। তিনি স্পষ্ট করেছেন, আগামী দিনে তারেক-কোকোকে ক্ষমতায় দেখতে চান।'
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, 'খালেদার তরুণ প্রজন্মের মানেই হচ্ছে দুর্নীতির পথিকৃৎ তারেক রহমান। সেই যুবরাজের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গেলে দেশ কোথায় যাবে, তা ভাবনাতীত। সেই প্রজন্ম আমরা চাই না।' জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলু কালের কণ্ঠকে বলেন, 'খালেদা জিয়ার বক্তব্যে দেশের মানুষ আতঙ্কিত ও শঙ্কিত। ওনার (খালেদা) তরুণ প্রজন্মের হাওয়া ভবনের কথা কারো অজানা নেই। বিরোধীদলীয় নেতার তরুণ প্রজন্মের ফর্মুলায় দেশের ভয়াবহ পরিণতির কথা আমাদের এখনই ভাবতে হবে।'
জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, 'ওই বক্তব্য দিয়ে খালেদা জিয়া রাজনীতি থেকে সারেন্ডার করেছেন। উনি (খালেদা) বুঝতে পেরেছেন ওনাকে দিয়ে আর রাজনীতি হবে না। রাজনীতিতে নতুন আর পুরনো প্রজন্ম বলে কথা নেই। রাজনীতি হলো সততা, প্রজ্ঞা, দেশপ্রেম ও জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থেকে কাজ করা। এর বাইরে কোনো দুরভিসন্ধি থাকলে খালেদা জিয়া সফল হবেন না।'
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'খালেদা জিয়া আগে নীতিমালা করুন, তরুণ প্রজন্মের চেহারা দেখি। এর পরেই মন্তব্য করব।' বিএনপির চেয়ারপারসনের আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ করার আহ্বানের সমালোচনা করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'তিনি ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর সেনা ছাউনিতে থেকে পাকিস্তানিদের হয়ে যুদ্ধ করেছিলেন। এখন আবার নিজামী-মুজাহিদের হয়ে মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছেন। সেই যুদ্ধেও স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের জনগণ বিজয়ী হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে।'
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, 'খালেদা জিয়া তাঁর দুর্নীতিবাজ দুই ছেলে তারেক-কোকো ও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার জন্য নতুন ফর্মুলা দিয়েছেন। এ ধরনের স্বপ্ন কোনো দিন পূরণ হবে না। কারণ তাঁর তরুণ প্রজন্মের রাজনীতি জনগণ দেখেছে। হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে তারেক যে দুর্নীতি করেছেন, তা জনগণ এখনো ভুলে যায়নি।' দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, 'খালেদা জিয়ার তরুণ প্রজন্ম মানে দুর্নীতিবাজ দুই ছেলে তারেক-কোকো। তাঁর আশপাশে আর কোনো তরুণ প্রজন্ম নেই। তিনি স্পষ্ট করেছেন, আগামী দিনে তারেক-কোকোকে ক্ষমতায় দেখতে চান।'
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, 'খালেদার তরুণ প্রজন্মের মানেই হচ্ছে দুর্নীতির পথিকৃৎ তারেক রহমান। সেই যুবরাজের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গেলে দেশ কোথায় যাবে, তা ভাবনাতীত। সেই প্রজন্ম আমরা চাই না।' জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলু কালের কণ্ঠকে বলেন, 'খালেদা জিয়ার বক্তব্যে দেশের মানুষ আতঙ্কিত ও শঙ্কিত। ওনার (খালেদা) তরুণ প্রজন্মের হাওয়া ভবনের কথা কারো অজানা নেই। বিরোধীদলীয় নেতার তরুণ প্রজন্মের ফর্মুলায় দেশের ভয়াবহ পরিণতির কথা আমাদের এখনই ভাবতে হবে।'
জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, 'ওই বক্তব্য দিয়ে খালেদা জিয়া রাজনীতি থেকে সারেন্ডার করেছেন। উনি (খালেদা) বুঝতে পেরেছেন ওনাকে দিয়ে আর রাজনীতি হবে না। রাজনীতিতে নতুন আর পুরনো প্রজন্ম বলে কথা নেই। রাজনীতি হলো সততা, প্রজ্ঞা, দেশপ্রেম ও জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থেকে কাজ করা। এর বাইরে কোনো দুরভিসন্ধি থাকলে খালেদা জিয়া সফল হবেন না।'
No comments