ওয়ালস্ট্রিট আন্দোলন হতে পারে দীর্ঘমেয়াদি : পুলিশি অভিযান জোরদার : এবার শিকাগোতেও বিক্ষোভের ঢেউ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘অকুপাই ওয়ালস্ট্রিট’ আন্দোলনে অংশ নেয়া বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান জোরদার করা হয়েছে। গতকাল ডালাস, আটলান্টা, সিয়াটেল এবং বোস্টন শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ ব্যাপক হামলা চালায়। এছাড়া দেশটিতে নতুন করে আরও অন্তত দু’ডজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। মার্কিন সমাজে মাত্রাতিরিক্ত বেকারত্ব, সম্পদের সুষম বণ্টন, সরকারি কর্মকর্তাদের অর্থলিপ্সা, দুর্নীতি ও বাজেট কাটছাঁটের প্রতিবাদে গত মাস থেকে এ বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বলছে, ‘শতকরা এক ভাগের হাতে দেশের মোট সম্পদের ৪০ ভাগ রয়েছে অথচ তারা যথাযথ দায়িত্ব পালন করছে না।’
তারা এও বলছে, ‘শতকরা ৯৯ ভাগ মার্কিন নাগরিক এখন থেকে আর এক ভাগ মানুষের অর্থলিপ্সা ও দুর্নীতি মেনে নেবে না।এদিকে পুলিশি অভিযান সত্ত্বেও দেশটিতে দীর্ঘমেয়াদি আন্দোলনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসের কাছে আন্দোলনকারীদের আরও চার মাস অবস্থান কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয়ায় এ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর আগে গত সোমবার পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। তবে নতুন করে আরও চার মাসের অনুমতি দেয়ায় পুলিশ কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক রাজধানী নিউইয়র্ক থেকে এ আন্দোলন শুরু হলেও এখন তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে গতকাল শিকাগো শহরে শিক্ষক, শ্রমিক ও ধর্মীয় নেতাসহ হাজার হাজার মানুষ মার্কিন অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয় শিকাগো শহরের কেন্দ্রস্থলে। এছাড়া বহু বিক্ষোভকারী মর্গেজ ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং একটি বিলাসবহুল হোটেলের সামনে জড়ো হন। হোটেলটিতে অর্থনীতি বিষয়ক একটি সম্মেলন চলছিল। অকুপাই ওয়ালস্ট্রিটের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে এ আন্দোলনের আয়োজন করা না হলেও মার্কিন অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধেই এর যাত্রা শুরু হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা এ আন্দোলনের নাম দিয়েছেন ‘জেগে ওঠ শিকাগো।’ চাকরি, বসতবাড়ি এবং স্কুল ফিরে পাওয়ার দাবিতে এ আন্দোলন শুরু হয়েছে বলে বিক্ষোভকারীরা তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছেন। অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত কয়েক বছরে ব্যাংক-বীমা ও স্কুলসহ বহু বেসরকারি এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।
অন্যদিকে আগামী বছরের শেষ নাগাদ নিউইয়র্ক শহরের নিরাপত্তা খাতে অন্তত ১০ হাজার চাকরিজীবীকে ছাঁটাই করা হবে বলে এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের কন্ট্রোলার থমাস দিনাপোতি ওই রিপোর্ট তৈরি করেছেন। পুলিশের হিসাবে ‘রুখে দাঁড়াও শিকাগো’র ডাকে জড়ো হয়েছিলেন হাজার তিনেক মানুষ, যাতে ছিলেন শিক্ষক, ট্রেড ইউনিয়ন নেতাকর্মী থেকে ধর্মীয় নেতারা। কে না জানেন, পুলিশ বরাবর প্রতিবাদীদের সংখ্যা কমিয়ে বলতে ভালোবাসে। ‘ওয়াল স্ট্রিট দখল কর’ শিরোনামে আন্দোলন চলছে নিউইয়র্কে। এই আন্দোলনের কর্মীরা বলে আসছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই অর্থনৈতিক কেন্দ্রের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কেবল ধনীদের স্বার্থ রক্ষা করছে, যাদের সংখ্যা দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশ।
আন্দোলনকারীদের কথা আমরা শ্রমিক, আমরা ছাত্র, শিক্ষক, পেনশনার, আমরা বেকার, ছদ্ম বেকার, আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ, আমরাই ৯৯ শতাংশ। প্রতিবাদ আন্দোলনের শুরু সেপ্টেম্বরের ১৭ তারিখ থেকে। ওয়াল স্ট্রিট বিরোধী আন্দোলন নিউইয়র্ক ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে নিউ মেক্সিকো, শিকাগো, লসএঞ্জেলস থেকে মার্কিন মুলুকের অন্যত্র। যোগ দিচ্ছে ইউনিয়নগুলো।
এদিকে গতকাল শিকাগো শহরে শিক্ষক, শ্রমিক ও ধর্মীয় নেতাসহ হাজার হাজার মানুষ মার্কিন অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয় শিকাগো শহরের কেন্দ্রস্থলে। এছাড়া বহু বিক্ষোভকারী মর্গেজ ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং একটি বিলাসবহুল হোটেলের সামনে জড়ো হন। হোটেলটিতে অর্থনীতি বিষয়ক একটি সম্মেলন চলছিল। অকুপাই ওয়ালস্ট্রিটের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে এ আন্দোলনের আয়োজন করা না হলেও মার্কিন অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধেই এর যাত্রা শুরু হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা এ আন্দোলনের নাম দিয়েছেন ‘জেগে ওঠ শিকাগো।’ চাকরি, বসতবাড়ি এবং স্কুল ফিরে পাওয়ার দাবিতে এ আন্দোলন শুরু হয়েছে বলে বিক্ষোভকারীরা তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছেন। অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত কয়েক বছরে ব্যাংক-বীমা ও স্কুলসহ বহু বেসরকারি এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।
অন্যদিকে আগামী বছরের শেষ নাগাদ নিউইয়র্ক শহরের নিরাপত্তা খাতে অন্তত ১০ হাজার চাকরিজীবীকে ছাঁটাই করা হবে বলে এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের কন্ট্রোলার থমাস দিনাপোতি ওই রিপোর্ট তৈরি করেছেন। পুলিশের হিসাবে ‘রুখে দাঁড়াও শিকাগো’র ডাকে জড়ো হয়েছিলেন হাজার তিনেক মানুষ, যাতে ছিলেন শিক্ষক, ট্রেড ইউনিয়ন নেতাকর্মী থেকে ধর্মীয় নেতারা। কে না জানেন, পুলিশ বরাবর প্রতিবাদীদের সংখ্যা কমিয়ে বলতে ভালোবাসে। ‘ওয়াল স্ট্রিট দখল কর’ শিরোনামে আন্দোলন চলছে নিউইয়র্কে। এই আন্দোলনের কর্মীরা বলে আসছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই অর্থনৈতিক কেন্দ্রের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কেবল ধনীদের স্বার্থ রক্ষা করছে, যাদের সংখ্যা দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশ।
আন্দোলনকারীদের কথা আমরা শ্রমিক, আমরা ছাত্র, শিক্ষক, পেনশনার, আমরা বেকার, ছদ্ম বেকার, আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ, আমরাই ৯৯ শতাংশ। প্রতিবাদ আন্দোলনের শুরু সেপ্টেম্বরের ১৭ তারিখ থেকে। ওয়াল স্ট্রিট বিরোধী আন্দোলন নিউইয়র্ক ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে নিউ মেক্সিকো, শিকাগো, লসএঞ্জেলস থেকে মার্কিন মুলুকের অন্যত্র। যোগ দিচ্ছে ইউনিয়নগুলো।
No comments