এবার ক্রিকেটের 'রান্নাঘরে' টমি মিয়া
ক্রীড়া প্রতিবেদক : সবাই তাঁকে চেনে 'বাবুর্চি' হিসেবে। আর এই পরিচয়ে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠা নেই তাঁর। থাকবে কেন? তিনি যে টমি মিয়া। বিশ্ব মানচিত্রে ইতিবাচক বাংলাদেশকে উপস্থাপনের এক প্রজ্বলিত মশাল।এখন না হয় বিশ্বখ্যাত, কিন্তু ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তো আর তা ছিল না। তবু দমে যাননি টমি মিয়া। 'অনেকে হাসি-ঠাট্টা করত। বাবুর্চি বলে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করত কতজন! কিন্তু আমি ওসব গায়ে মাখিনি। সব সময় ভেতর থেকে একটা তাগিদই ছিল আমার, যে করে হোক এগিয়ে যেতে হবে'_পেছন ফিরে তাকিয়ে স্বপ্নের সিঁড়ি ডিঙানোর শুরুর দিকের কথা বলছিলেন টমি মিয়া।
এর পরই ঘোষণা দিলেন নতুন স্বপ্নের। রান্নাঘরের হাঁড়িপাতিলের টুংটাং থেকে ক্রিকেটের ব্যাট-বলের ঝংকার!
না, জীবনের বায়ান্নটি বসন্ত পার করে হঠাৎ ক্রিকেটার হওয়ার শখ জাগেনি টমি মিয়ার। স্বপ্নটা ক্রিকেটার তৈরির, একটি একাডেমী গড়ার। যে লক্ষ্যে এরই মধ্যে মৌলভীবাজারের পৈতৃক বাসভবনের ১২ বিঘা জমি লিজ নিয়েছেন। আগামীকাল থেকে শুরু হবে নির্মাণকাজ। হয়তো আরো চার-পাঁচ বছর লাগবে এটি শেষ হতে। হয়তো ১০০ কোটি টাকার বেশি প্রয়োজন হবে এটিকে পূর্ণতা দিতে। বহু দূরের পথ তা। তবে যে স্বপ্নের শেকড় শৈশবে প্রোথিত, সেটিকে বাস্তবতার জমিনে নামিয়ে আনতে টমি মিয়ার চেষ্টা-আন্তরিকতার যে ঘাটতি থাকবে না, কাল এক সংবাদ সম্মেলনে সেটিই বারবার মনে করিয়ে দিলেন তিনি।
'১৯৬৯ সালে মাত্র ১০ বছর বয়সে আমি ইংল্যান্ডে চলে যাই। সেখানে গিয়ে প্রেমে পড়ি ক্রিকেটের। শুরুতে স্কুলে টুকটাক খেলার চেষ্টা করেছি। খুব একটা সুবিধা হয়নি। তবে দর্শক হিসেবে আমি কিন্তু ফার্স্ট ক্লাস। বছর বিশেক আগে প্রথম আমার মাথায় আসে বাংলাদেশে একটি ক্রিকেট একাডেমী করা যায় কি না'_আবিষ্টের মতো ঘোর লাগা গলায় বলে চলেন টমি মিয়া। কিন্তু গত শতাব্দীর শেষ দশকের প্রথমভাগে যখন বিশ্ব ক্রিকেট মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থান প্রায় না থাকার মতো, তখন কেন তাঁর মাথায় অমন চিন্তা আসবে? 'ওই যে বললাম, ক্রিকেট আমার প্রথম প্রেমের মতো। তা ছাড়া আমি বাংলাদেশের জন্য কিছু করতে চাই। এ জন্য বিভিন্ন দেশের অনেক ক্রিকেট একাডেমী ঘুরে আমার দেশে অমন কিছু করার স্বপ্ন দেখি'_বলেছেন টমি মিয়া।
শুধু কথার কাজি হয়ে বসে নেই তিনি। ইমরান খান, সুনীল গাভাস্কারের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। উৎসাহ পেয়েছেন ফারুক ইঞ্জিনিয়ার, শেন বন্ড, ইয়ান পন্ট এমনকি বাংলাদেশের বর্তমান কোচ স্টুয়ার্ট ল'র কাছ থেকেও। প্রথম তিনজন তো তাঁর একাডেমীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হওয়ার আগ্রহও দেখিয়েছেন। বাংলাদেশের খালেদ মাহমুদ, খালেদ মাসুদ, তাপস বৈশ্যদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন টমি মিয়া। তাঁর স্বপ্নের পালে তাই এখন জোর হাওয়া।
বিশাল এই ক্রিকেট একাডেমীতে স্কুল, রেস্টুরেন্ট, সুইমিং পুল, হেলথ ক্লাবসহ নানা জিনিস রাখার পরকিল্পনা টমি মিয়ার। যেন তা পরিণত হয় দর্শনীয় এক স্থানে। 'বিদেশ থেকেও লোকে এই স্পোর্টস কমপ্লেঙ্ দেখতে আসবে, এমন স্বপ্ন দেখি। তবে আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন, সেখানে শিশু-কিশোররা মনের আনন্দে খেলে বেড়াবে। আমার একাডেমীর ক্রিকেটাররা একসময় প্রতিনিধিত্ব করবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের'_এমন আরো কত স্বপ্নের আঁকিবুঁকি টমি মিয়ার কণ্ঠে।
হেসে উড়িয়ে দেবেন না যেন। আরো অনেকের মতো ফাঁকা বুলি বলে মনে করবেন না। তাহলে সেই তাদের কাতারে হয়তো পড়ে যেতে হবে, যারা এক সময় টমি মিয়াকে 'বাবুর্চি' বলে পাত্তা দিতে চায়নি!
না, জীবনের বায়ান্নটি বসন্ত পার করে হঠাৎ ক্রিকেটার হওয়ার শখ জাগেনি টমি মিয়ার। স্বপ্নটা ক্রিকেটার তৈরির, একটি একাডেমী গড়ার। যে লক্ষ্যে এরই মধ্যে মৌলভীবাজারের পৈতৃক বাসভবনের ১২ বিঘা জমি লিজ নিয়েছেন। আগামীকাল থেকে শুরু হবে নির্মাণকাজ। হয়তো আরো চার-পাঁচ বছর লাগবে এটি শেষ হতে। হয়তো ১০০ কোটি টাকার বেশি প্রয়োজন হবে এটিকে পূর্ণতা দিতে। বহু দূরের পথ তা। তবে যে স্বপ্নের শেকড় শৈশবে প্রোথিত, সেটিকে বাস্তবতার জমিনে নামিয়ে আনতে টমি মিয়ার চেষ্টা-আন্তরিকতার যে ঘাটতি থাকবে না, কাল এক সংবাদ সম্মেলনে সেটিই বারবার মনে করিয়ে দিলেন তিনি।
'১৯৬৯ সালে মাত্র ১০ বছর বয়সে আমি ইংল্যান্ডে চলে যাই। সেখানে গিয়ে প্রেমে পড়ি ক্রিকেটের। শুরুতে স্কুলে টুকটাক খেলার চেষ্টা করেছি। খুব একটা সুবিধা হয়নি। তবে দর্শক হিসেবে আমি কিন্তু ফার্স্ট ক্লাস। বছর বিশেক আগে প্রথম আমার মাথায় আসে বাংলাদেশে একটি ক্রিকেট একাডেমী করা যায় কি না'_আবিষ্টের মতো ঘোর লাগা গলায় বলে চলেন টমি মিয়া। কিন্তু গত শতাব্দীর শেষ দশকের প্রথমভাগে যখন বিশ্ব ক্রিকেট মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থান প্রায় না থাকার মতো, তখন কেন তাঁর মাথায় অমন চিন্তা আসবে? 'ওই যে বললাম, ক্রিকেট আমার প্রথম প্রেমের মতো। তা ছাড়া আমি বাংলাদেশের জন্য কিছু করতে চাই। এ জন্য বিভিন্ন দেশের অনেক ক্রিকেট একাডেমী ঘুরে আমার দেশে অমন কিছু করার স্বপ্ন দেখি'_বলেছেন টমি মিয়া।
শুধু কথার কাজি হয়ে বসে নেই তিনি। ইমরান খান, সুনীল গাভাস্কারের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। উৎসাহ পেয়েছেন ফারুক ইঞ্জিনিয়ার, শেন বন্ড, ইয়ান পন্ট এমনকি বাংলাদেশের বর্তমান কোচ স্টুয়ার্ট ল'র কাছ থেকেও। প্রথম তিনজন তো তাঁর একাডেমীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হওয়ার আগ্রহও দেখিয়েছেন। বাংলাদেশের খালেদ মাহমুদ, খালেদ মাসুদ, তাপস বৈশ্যদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন টমি মিয়া। তাঁর স্বপ্নের পালে তাই এখন জোর হাওয়া।
বিশাল এই ক্রিকেট একাডেমীতে স্কুল, রেস্টুরেন্ট, সুইমিং পুল, হেলথ ক্লাবসহ নানা জিনিস রাখার পরকিল্পনা টমি মিয়ার। যেন তা পরিণত হয় দর্শনীয় এক স্থানে। 'বিদেশ থেকেও লোকে এই স্পোর্টস কমপ্লেঙ্ দেখতে আসবে, এমন স্বপ্ন দেখি। তবে আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন, সেখানে শিশু-কিশোররা মনের আনন্দে খেলে বেড়াবে। আমার একাডেমীর ক্রিকেটাররা একসময় প্রতিনিধিত্ব করবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের'_এমন আরো কত স্বপ্নের আঁকিবুঁকি টমি মিয়ার কণ্ঠে।
হেসে উড়িয়ে দেবেন না যেন। আরো অনেকের মতো ফাঁকা বুলি বলে মনে করবেন না। তাহলে সেই তাদের কাতারে হয়তো পড়ে যেতে হবে, যারা এক সময় টমি মিয়াকে 'বাবুর্চি' বলে পাত্তা দিতে চায়নি!
No comments