ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
টোয়েন্টি-টোয়েন্টি যেকোনো দলের খেলা। এ খেলায় হারলেই সব শেষ হয়ে যাওয়ার মাতম করার কোনো কারণ নেই_মঙ্গলবার বাংলাদেশের কাছে সিরিজ শুরুর টোয়েন্টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিন উইকেটের হার ভুলে ওয়ানডের আগে নিজেদের তাতিয়ে নিচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিয়েরন পোলার্ডের খেলায় আর বাধা নেই। ওয়ানডেতে কেমার রোচকে লেলিয়ে দেওয়া যাবে। আবার মিরপুর উইকেটে বাজিমাত করে দিতে পারেন দেবেন্দ্র বিশুও। গতকাল বিকেলে মিরপুর স্টেডিয়ামের দীর্ঘ অনুশীলন যেন ক্যারিবীয়দের নতুন লড়াইয়ের অঙ্গীকার।
অঙ্গীকার সফর শুরুর দিন থেকে করে আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অধিনায়ক ড্যারেন সামি যেমন ঢাকায় নেমেই বলেছিলেন, 'এ সিরিজটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে লম্বা সময় ধরে প্রস্তুতিও নিয়েছি।' পরদিনই অনুশীলনে। ফতুল্লায় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরও বিশ্রাম নেই। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও অনুশীলনে ক্যারিবীয়রা। যে প্রস্তুতির মূল সুর উপমহাদেশের উইকেটের সঙ্গে দ্রুততম সময়ে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা। টোয়েন্টি-টোয়েন্টিতে সে চেষ্টা সাফল্যের মুখ দেখেনি। অবশ্য সে ম্যাচের দর্শক কিয়েরন পোলার্ড আজ শুরু হওয়া ওয়ানডে খেলছেন আত্মবিশ্বাস নিয়ে, 'আইপিএল আর চ্যাম্পিয়নস লিগ মিলিয়ে বেশ কিছুদিন ভারতে খেলেছি। তাই জানি, এখানকার উইকেট কেমন আচরণ করতে পারে। এখানে শট খেলার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।'
রান করাটা কখনোই সহজ নয়। তবে মিরপুরে সে কষ্টটা একটু বেশিই। বিশেষ করে ক্যারিবীয় এ ব্যাটিং লাইন-আপের জন্য। যে দলে একমাত্র মারলন স্যামুয়েলস ছাড়া বাকি ব্যাটসম্যানরা মিরপুরের উইকেটের গতি বুঝতেই হিমশিম খেয়েছেন টোয়েন্টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। যে কিয়েরন পোলার্ড আইপিএল অভিজ্ঞতাকে পুঁজি ভাবছেন, সেই তাঁরও ভারতের মাটিতে বলার মতো আইপিএল সাফল্য নেই। আইপিএল দক্ষিণ আফ্রিকা পর্বে তুলে তুলে ছক্কা মারা পোলার্ডের আন্তর্জাতিক রেকর্ড অতটা ভালো নয়। যদিও এটা শুনে যারপরনাই বিস্মিত পোলার্ড, 'সত্যি নাকি! ভারতের বিপক্ষে আমার পারফরম্যান্স তো মোটামুটি ভালোই ছিল।'
নিজেদের দুর্বলতার প্রসঙ্গ আড়াল করতে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের তুলে ধরেন পোলার্ড, 'টোয়েন্টি-টোয়েন্টিতে দেখলাম মারলেই বল আকাশে উঠছে। আরেকটা বিষয় দেখেছি। সেটা হলো কোমরের ওপর বল উঠলেই বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা ঘাবড়ে যাচ্ছে।' বোঝা গেল আজ শুরু হওয়া ওয়ানডে সিরিজ থেকেই শর্ট বোলিংকে মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এ সিরিজের ফলের ওপর আইসিসি ওয়ানডে র্যাংকিংয়েও ওলট-পালট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতলে র্যাংকিংয়ে ক্যারিবীয়দের টপকে আবারও আট নম্বরে উঠে যাবে বাংলাদেশ। আপাতত র্যাংকিং নিয়ে ভাবনা নেই কিয়েরন পোলার্ডের। আছে অন্য ভাবনা, 'দল তো বটেই, সিরিজটা আমার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। টোয়েন্টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ জিতেছে। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগে তো দেখেছেন এ ফরম্যাটে যে কোনো দলই জিততে পারে। আসর পরীক্ষাটা তো হবে ৫০ ওভারের খেলায়।'
আর দশজন ক্যারিবীয়র মতো 'সরকারি ভাষ্য' দেওয়ার সময়ও আমুদে কিয়েরন পোলার্ড। ২০১১ বিশ্বকাপে এ মাঠেই বাংলাদেশের ৫৮ রানে পর্যুদস্ত হওয়ার স্মৃতি মনে হতে পুরোপুরি ক্যারিবীয় মেজাজে এ অলরাউন্ডার, 'অবশ্যই ওই জয় কিছুটা হলেও মানসিকভাবে আমাদের এগিয়ে রাখবে।' তাই বলে বিশ্বকাপ আত্মবিশ্বাসে বুঁদ হয়ে বসে নেই তাঁর দল, 'তবে ওটা ছিল বিশ্বকাপ ম্যাচ। বাড়তি চাপ ছিল। আর এটা নতুন একটা সিরিজ। তবে হ্যাঁ, যদি আমরা আমাদের বেসিকটা ঠিক রাখতে পারি, তাহলে বাংলাদেশকে হারানোটা কঠিন হবে না।'
'বেসিক' ঠিক রাখার শপথ করেই সব দল মাঠে নামে। কেউ পারে, কেউ পারে না। মিরপুরে সেই 'বেসিক' ঠিক রাখা আরো জরুরি। একই সঙ্গে আরো কঠিন!
রান করাটা কখনোই সহজ নয়। তবে মিরপুরে সে কষ্টটা একটু বেশিই। বিশেষ করে ক্যারিবীয় এ ব্যাটিং লাইন-আপের জন্য। যে দলে একমাত্র মারলন স্যামুয়েলস ছাড়া বাকি ব্যাটসম্যানরা মিরপুরের উইকেটের গতি বুঝতেই হিমশিম খেয়েছেন টোয়েন্টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। যে কিয়েরন পোলার্ড আইপিএল অভিজ্ঞতাকে পুঁজি ভাবছেন, সেই তাঁরও ভারতের মাটিতে বলার মতো আইপিএল সাফল্য নেই। আইপিএল দক্ষিণ আফ্রিকা পর্বে তুলে তুলে ছক্কা মারা পোলার্ডের আন্তর্জাতিক রেকর্ড অতটা ভালো নয়। যদিও এটা শুনে যারপরনাই বিস্মিত পোলার্ড, 'সত্যি নাকি! ভারতের বিপক্ষে আমার পারফরম্যান্স তো মোটামুটি ভালোই ছিল।'
নিজেদের দুর্বলতার প্রসঙ্গ আড়াল করতে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের তুলে ধরেন পোলার্ড, 'টোয়েন্টি-টোয়েন্টিতে দেখলাম মারলেই বল আকাশে উঠছে। আরেকটা বিষয় দেখেছি। সেটা হলো কোমরের ওপর বল উঠলেই বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা ঘাবড়ে যাচ্ছে।' বোঝা গেল আজ শুরু হওয়া ওয়ানডে সিরিজ থেকেই শর্ট বোলিংকে মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এ সিরিজের ফলের ওপর আইসিসি ওয়ানডে র্যাংকিংয়েও ওলট-পালট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতলে র্যাংকিংয়ে ক্যারিবীয়দের টপকে আবারও আট নম্বরে উঠে যাবে বাংলাদেশ। আপাতত র্যাংকিং নিয়ে ভাবনা নেই কিয়েরন পোলার্ডের। আছে অন্য ভাবনা, 'দল তো বটেই, সিরিজটা আমার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। টোয়েন্টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ জিতেছে। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগে তো দেখেছেন এ ফরম্যাটে যে কোনো দলই জিততে পারে। আসর পরীক্ষাটা তো হবে ৫০ ওভারের খেলায়।'
আর দশজন ক্যারিবীয়র মতো 'সরকারি ভাষ্য' দেওয়ার সময়ও আমুদে কিয়েরন পোলার্ড। ২০১১ বিশ্বকাপে এ মাঠেই বাংলাদেশের ৫৮ রানে পর্যুদস্ত হওয়ার স্মৃতি মনে হতে পুরোপুরি ক্যারিবীয় মেজাজে এ অলরাউন্ডার, 'অবশ্যই ওই জয় কিছুটা হলেও মানসিকভাবে আমাদের এগিয়ে রাখবে।' তাই বলে বিশ্বকাপ আত্মবিশ্বাসে বুঁদ হয়ে বসে নেই তাঁর দল, 'তবে ওটা ছিল বিশ্বকাপ ম্যাচ। বাড়তি চাপ ছিল। আর এটা নতুন একটা সিরিজ। তবে হ্যাঁ, যদি আমরা আমাদের বেসিকটা ঠিক রাখতে পারি, তাহলে বাংলাদেশকে হারানোটা কঠিন হবে না।'
'বেসিক' ঠিক রাখার শপথ করেই সব দল মাঠে নামে। কেউ পারে, কেউ পারে না। মিরপুরে সেই 'বেসিক' ঠিক রাখা আরো জরুরি। একই সঙ্গে আরো কঠিন!
No comments