প্রধানমন্ত্রীকে খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের স্মারকলিপি

ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে মসলা প্রবেশ বন্ধের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন দেশের অন্যতম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন এবং মসলা আমদানিকারকরা। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁরা এ স্মারকলিপি পাঠান।খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মাহাবুবুল আলমের নেতৃত্বে ব্যবসায়ীরা স্মারকলিপি দিতে গেলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন এ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।


এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগীর আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জামাল হোসেন, বাংলাদেশ মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি অমল কান্তি দাশ, মসলা আমদানিকারক ওসমান চৌধুরী, নুরুল আবছার, উৎপল চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক ও মোহাম্মদ ইয়াসিন। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে ।
এ সময় ব্যবসায়ীরা বলেন, বর্তমানে চোরাচালানের মাধ্যমে এলাচ, জিরা, লবঙ্গসহ বিভিন্ন মসলা-জাতীয় পণ্য বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করছে। এতে সরকার প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ীদেরও কোটি কোটি টাকার লোকসানের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। পাঁচটি সীমান্তপথ দিয়ে অবৈধভাবে মসলা আসছে। পাঁচটি সীমান্তপথের মধ্যে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে আসা মসলা যাচ্ছে নোয়াখালীর চৌমুহনীর বিভিন্ন বাজারে। ফেনীর ছাগলনাইয়া সীমান্ত দিয়ে আসা মসলা যাচ্ছে ফেনীর বিভিন্ন বাজারে। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম মিয়াবাজার সীমান্ত দিয়ে আসা মসলা যাচ্ছে কুমিল্লার চকবাজারে। আবার সেখান থেকে সড়কপথে এসব মসলা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ঢাকা ও মৌলভীবাজারে। এ ছাড়া খুলনা ও উত্তরবঙ্গের বগুড়া সীমান্ত দিয়ে আসা মসলা যাচ্ছে পাবনা, সৈয়দপুর, রংপুর, রাজশাহী এলাকার বিভিন্ন বাজারে।
ব্যবসায়ী নেতারা অবিলম্বে এসব চোরাচালান বন্ধ করার জন্য সরকার ও সীমান্তরক্ষাকারী বাহিনীকে কার্যকর ও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

No comments

Powered by Blogger.