ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে আজ উজ্জীবিত বাংলাদেশ

কোথায় একটি দিন হাতে থাকবে আনন্দ করার জন্য, তা না সকালে উঠেই ব্যাগ গুছিয়ে ফের মিরপুরের নেটে। আগের রাতে টি২০ ম্যাচটি জিতে যে অমর কাহিনী রচিত হয়েছিল তা যেন গতকাল বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিমরা। পরিচিত কয়েকজন মনে করিয়ে দেওয়াতে শুধুই হাসলেন আশরাফুল। 'সেলিব্রেশন করার সময় কোথায়, ঘুম থেকে উঠেই তো ওয়ানডের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছি আমরা।' আসলে টি২০ জয়ের রেশ গা থেকে ঝেড়ে ফেলে আজ ফের একদিনের ম্যাচে মাঠে নামতে হচ্ছে মুশফিকুর রহিমদের। জয়ের আনন্দে গা ভাসিয়ে দেওয়ার সময় তাদের হাতে নেই। 'এটা ঠিক সিরিজের প্রথম


ম্যাচে জয় মানসিকভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের চেয়ে আমাদের এগিয়ে রাখবে। কিন্তু ওটা ছিল এক ম্যাচের টি২০ সিরিজ। যেটা এখন অতীত। বর্তমান হলো, কাল (আজ) থেকে শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। যেখানে নতুন পরিকল্পনা নিয়েই এগোতে হবে আমাদের। যেখানে আমরা জয়ের ধারা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব।' দলের মুখপাত্র হয়ে সাংবাদিকদের সামনে আসা আবদুর রাজ্জাক স্পষ্ট করে দিয়েছেন, একটি জয়েই তৃপ্তির ঢেকুর তোলার কিছু নেই। দুপুর দেড়টায় শুরু হওয়া এ ম্যাচ ঘিরে বাংলাদেশিদের মতোই বারুদ হয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবির। 'টি২০ ম্যাচে অনেক কিছুই হয়ে থাকে, যেটা মনে হয় নাও হতে পারত। বাংলাদেশ সেদিন আমাদের চেয়ে ভালো খেলে ম্যাচ জিতেছে; কিন্তু এবার নতুন একটি সিরিজ শুরু হচ্ছে। কে জানে এখানেও অনেক কিছু ঘটতে পারে।' মুচকি হেসে বললেও কিয়েরন পোলার্ডের এ কথার মধ্যে একধরনের হুশিয়ারি ছিল।
আগের রাতে ডাগআউটে বসে দলের হার দেখেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিন অস্ত্র পেসার কেমার রোচ, অলরাউন্ডার কিয়েরন পোলার্ড এবং লেগ স্পিনার দেবেন্দ্র বিশু। আজ কিন্তু এ ত্রৈয়াস্ত্র দিয়েই বাংলাদেশিদের ঘায়েল করতে চাইবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিশ্বকাপে 'শোকার্ত ৫৮' কাব্যের নায়ক ছিলেন রোচ। সম্প্রতি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফেরত পোলার্ডও তেতে রয়েছেন আর আইসিসির পক্ষ থেকে তো জানিয়েও দেওয়া হয়েছে, এ বছরের উদিয়মান তারকা দেবেন্দ্র বিশু। যদিও টি২০ জয়ের পর আর কোনো কিছুতেই ভয় পাচ্ছেন না মুশফিকুর রহিম। 'তারা এমন আহামরি কিছু নয়। তারা থাকলেও টি২০ রেজাল্ট পাল্টে যেত না।' পরিসংখ্যান বলছে, টি২০ ফরম্যাটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে তিন ম্যাচের মধ্যে দুটিতেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে কিন্তু পরিসংখ্যান ক্যারিবীয়দের পক্ষে। যেখানে ১৬ ম্যাচের মাত্র তিনটিতে জয় আছে বাংলাদেশের। তাও সেটা ছিল ২০০৯ সালে গেইলরা বিদ্রোহে যাওয়ার পর রাতারাতি গড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সঙ্গে; কিন্তু পরিসংখ্যান কিংবা অতীতকে নিয়ে পড়ে থাকার মতো অবস্থায় নেই মুশফিকরা। তারা ঢাকায় আসা ক্যারিবীয় এ দলটির একটি দুর্বলতা বের করতে পেরেছেন। আর সেটা হলো, স্যামিদের স্পিন আতঙ্ক। টি২০ ম্যাচের মতো ওয়ানডেতে এ স্পিন দিয়ে অতিথিদের ঘায়েল করতে চাইছেন ঘরের ছেলেরা। যেভাবে গত বছর নিউজিল্যান্ডকে ঘরের মাঠে ডেকে এনে হোয়াইটওয়াশ করেছিলেন মুশফিকরা।

No comments

Powered by Blogger.