পশ্চিমের তোপের মুখে ইউক্রেন আইন সংশোধনের ইঙ্গিত
ইউক্রেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া তিমোশেংকোকে কারাদণ্ড দেওয়ায় পশ্চিমাদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে কিয়েভ। ঝুঁকির মুখে পড়েছে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক। তিমোশেংকোর বিষয়টি নিয়ে রাশিয়াও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তাদের দৃষ্টিতে তিমোশেংকোর বিরুদ্ধে মামলাটি 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত'। তবে সম্ভাব্য ক্ষতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই চেষ্টা-তদবির শুরু করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভিক্তর ইয়ানুকোভিচ নেতৃত্বাধীন সরকার। আইন পরিবর্তনেরও ইঙ্গিত দিয়েছে তারা।ইয়ানুকোভিচ বলেছেন, আদালতের রায়ই চূড়ান্ত নয়।
স্থানীয় টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গত মঙ্গলবার ইয়ানুকোভিচের শীর্ষ উপদেষ্টা আনা জার্মান বলেন, তিমোশেংকোকে আইনের যে অনুচ্ছেদ অনুসারে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তা বিলুপ্ত করলেই সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব। ইউক্রেন পার্লামেন্টে তিমোশেংকোর সমর্থক এমপিরা জানান, আগামী সপ্তাহে পার্লামেন্ট বসলেই এ অনুচ্ছেদের বিলুপ্তি চেয়ে একটি প্রস্তাব দেবেন তাঁরা। ইয়ানুকোভিচের রিজিওন পার্টিও এ উদ্যোগে সমর্থন দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ইয়ানুকোভিচ আগামী ২০ অক্টোবর ব্রাসেলসে যাবেন। তার আগেই এ সংকট মিটে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মঙ্গলবার রাজধানী কিয়েভের একটি আদালত তিমোশেংকোকে সাত বছর কারাদণ্ড, ১৯ কোটি ডলার জরিমানা করে। এ ছাড়া কারাভোগের মেয়াদ শেষে তিনি তিন বছর সরকারি কোনো পদে বসতে পারবেন না।
রুশ প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিন এর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ইউক্রেন আদালতের এ রায় তাঁর বোধগম্য হচ্ছে না। রাশিয়ার পক্ষে এ চুক্তিটিতে তিনিই সই করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তিমোশেংকোর মুক্তির দাবি জানিয়েছে। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, 'তিমোশেংকোর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ও বিচারপ্রক্রিয়া ইউক্রেনে গণতন্ত্রচর্চার ব্যাপারে গুরুতর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।' ইইউর পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাশটন বলেছেন, এ 'বিচার আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ছিল না।' এ রায় ইইউর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সই হওয়ার বিষয়টিতেও অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। আগামী ডিসেম্বর থেকে এ চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে রাশিয়ার সঙ্গে ১০ বছর মেয়াদি গ্যাস কেনার চুক্তি স্বাক্ষর করেন তিমোশেংকো। তদন্তকারী কর্মকর্তাদের অভিযোগ, তাঁর চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে মন্ত্রিসভার অনুমোদন ছিল না। এ ছাড়া গ্যাস কেনার জন্য ইউক্রেনকে চড়া মূল্যও পরিশোধ করতে হচ্ছে, যা সরকারি গ্যাস কম্পানি নাফতোগোজ এবং দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
রুশ প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিন এর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ইউক্রেন আদালতের এ রায় তাঁর বোধগম্য হচ্ছে না। রাশিয়ার পক্ষে এ চুক্তিটিতে তিনিই সই করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তিমোশেংকোর মুক্তির দাবি জানিয়েছে। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, 'তিমোশেংকোর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ও বিচারপ্রক্রিয়া ইউক্রেনে গণতন্ত্রচর্চার ব্যাপারে গুরুতর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।' ইইউর পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাশটন বলেছেন, এ 'বিচার আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ছিল না।' এ রায় ইইউর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সই হওয়ার বিষয়টিতেও অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। আগামী ডিসেম্বর থেকে এ চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে রাশিয়ার সঙ্গে ১০ বছর মেয়াদি গ্যাস কেনার চুক্তি স্বাক্ষর করেন তিমোশেংকো। তদন্তকারী কর্মকর্তাদের অভিযোগ, তাঁর চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে মন্ত্রিসভার অনুমোদন ছিল না। এ ছাড়া গ্যাস কেনার জন্য ইউক্রেনকে চড়া মূল্যও পরিশোধ করতে হচ্ছে, যা সরকারি গ্যাস কম্পানি নাফতোগোজ এবং দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments