সকালে আতঙ্ক বিকেলে স্বস্তি by রাশেদুল তুষার,

দ্ভূত বৈপরীত্য দেখা গেছে গতকালের পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুটাই হয়েছিল ভয়াবহ দরপতন দিয়ে। এ সময় শুরু, মাত্র আধা ঘণ্টায় সাধারণ সূচক ৩৪৪ পয়েন্ট পড়ে যায়; যা আগের দিনের ধসকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিল। কিন্তু দিনশেষ করেছে সাধারণ সূচক ১৯৪ পয়েন্ট এবং সার্বিক সূচক ১১০ পয়েন্ট ঊর্ধ্বগতি দিয়ে। ফলে সকালের আতঙ্ক ছাড়িয়ে বিকেলে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে বিনিয়োগকারীদের মনে।গতকাল দুপুরে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি থেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আয়কর রেয়াতের সুবিধা ও কালো টাকা বিনিয়োগে উৎস খোঁজা হবে নাসহ বেশ কিছু ঘোষণা আসার পর বাজার ঘুরে দাঁড়ায়।


তবে সূচক ঊর্ধ্বগামী হলেও লেনদেনের পরিমাণ না বাড়ায় আশ্বস্ত হতে পারছেন না বাজার বিশ্লেষকরা।এদিকে গতকাল সকালে ভয়াবহ ধসের ইঙ্গিত পেয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে আসেন।অন্যদিনের চেয়ে গতকাল অনেক বিনিয়োগকারী বিশেষ করে বয়স্ক অনেক বিনিয়োগকারীকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমাবেশে অংশ নিতে দেখা যায়। এ সময় সমাবেশে বক্তারা বলেন, 'পুঁজিবাজার নিয়ে গভীর চক্রান্ত চলছে। একটি মহল থেকে প্রতিদিন গড়ে সূচক ২০০ পয়েন্ট কমবে, ডিএসই সাধারণ সূচক সাড়ে ৪ হাজারের নিচে নামিয়ে আনা হবে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।' এ ছাড়া ব্রোকারেজ হাউসগুলো থেকে এখনো ফোর্সসেল দেওয়া হচ্ছে বলে সমাবেশে অভিযোগ করা হয়।
চিটাগাং ইনভেস্টরস ফোরামের আহ্বায়ক আছলাম মোরশেদ গতকালের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'গতকাল সকাল ১১টা থেকে পরবর্তী ২০ মিনিট কারা শেয়ার বিক্রি করে স্বল্প সময়ের মধ্যে সূচক ১৪০ পয়েন্ট কমিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা উচিত। তাহলেই সরকার চক্রান্তকারীদের শনাক্ত করতে পারবে।'
গতকালের বাজারের ধরন বিশ্লেষণ করে বি-রিচ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন খালেদ বলেন, 'এসইসির নেওয়া উদ্যোগগুলো ইতিবাচক; কিন্তু যতক্ষণ লেনদেন বাড়বে না ততক্ষণ বাজার নিয়ে কিছু বলা যাবে না। তাই বাজারের তারল্য বাড়াতে পদক্ষেপ নিতে হবে।' তিনি বলেন, 'অনেক বিনিয়োগকারী টাকা নিয়ে বাজারে ঢুকতে চাইছেন; কিন্তু টালমাটাল পরিস্থিতির কারণে সাহস পাচ্ছেন না। লেনদেন বাড়ার সাথে বাজার পরিস্থিতিও যদি স্থিতিশীল হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও আস্থা ফিরে আসবে। এতে বিনিয়োগের পরিমাণও বাড়বে।'
সিএসই সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই পুঁজিবাজারে সাড়ে ৫৬ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা আগের দিনের লেনদেনের চেয়ে ছয় কোটি টাকা বেশি। আর লেনদেন হওয়া ১৭৯টি কম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৩টির শেয়ারের। এ সময় সার্বিক সূচক বেড়েছে ১১০ পয়েন্ট।
 

No comments

Powered by Blogger.