দুর্নীতির বিরুদ্ধে আদভানির ‘জনচেতনা যাত্রা’ শুরু
ভারতের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি ক্ষমতাসীন ইউপিএ সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী প্রচারাভিযান শুরু করেছেন।
বিহার রাজ্যের সারন জেলার সিতাব দিয়ারা গ্রাম থেকে ৩৮ দিনব্যাপী ‘জনচেতনা যাত্রা’ নামের এই কর্মসূচি শুরু করেন তিনি। ৮৪ বছর বয়সী এই নেতা ৩৮ দিনে ২৩টি রাজ্য সফর করবেন। এই সফরকালে তিনি সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক ও বিভিন্ন জনসভায় বক্তব্য দেবেন।
যাত্রা শুরুর আগে আদভানি বলেন, এর মধ্য দিয়ে সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদ জানাবেন তিনি। এ ছাড়া বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করবেন। গতকাল বিহারের গান্ধী ময়দানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার পতাকা উড়িয়ে এই যাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে জনসমাবেশে আদভানি বলেন, ‘আজ থেকে দুর্নীতিবিরোধী ও বিদেশে পাচার হওয়া কালোটাকা দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে আমার জনচেতনা যাত্রা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।’
প্রয়াত সমাজতান্ত্রিক নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণের প্রশংসা করে আদভানি বলেন, তিনি (জয়প্রকাশ) ১৯৭০-এর দশকে কংগ্রেস সরকারের ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে সব কটি দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে সমর্থ হয়েছিলেন। তাঁর সেই আন্দোলন এখনো আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়। সময় অনেক বদলে গেছে। তবুও দেশে দুর্নীতি চলছে। এ দেশ থেকে দুর্নীতির মূল উৎপাটন করতে হবে।
আদভানি বলেন, ‘এ দেশের সুপ্ত শক্তি আছে, কিন্তু দেশের জনগণ আজ সেই শক্তির প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে। এই হারানো আস্থা পুনরুজ্জীবিত করাই হবে ‘জনচেতনা যাত্রার’ মূলমত্র। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জয়প্রকাশ নারায়ণের আন্দোলন থেকেই আমি এই যাত্রার প্রেরণা পেয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, অতীতের সব আন্দোলন থেকে জনগণ শিক্ষা নিয়েছে, সচেতন হয়েছে।
আদভানি বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, স্বচ্ছ রাজনীতি, লোকপাল ইস্যু ও বিদেশে পাচার করা কালোটাকা দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও এই যাত্রায় জোর দেওয়া হবে।
পাটনা থেকে হেলিকপ্টারে করে সিতাব দিয়ারায় পৌঁছার পর আদভানি প্রয়াত সমাজতান্ত্রিক নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণের পূর্বপুরুষদের বাড়ি যান। সেখানে জয়প্রকাশের ভাস্কর্যে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন তিনি। এ সময় নীতিশ কুমার, এস কে মোদি, সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলি প্রমুখ তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
জয়প্রকাশ নারায়ণের জন্মদিনে তাঁরই জন্মভূমি থেকে ‘জনচেতনা যাত্রা’ শুরু করায় আদভানিকে অভিনন্দন জানান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। এ যাত্রার সাফল্য কামনা করেন তিনি।
এদিকে রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছানোসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের প্রশংসা করেন আদভানি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠেয় ভারতের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে আদভানিকে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করা হতে পারে। ইউপিএ সরকারের মন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা সম্প্রতি নানা দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। দুর্নীতিবিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের জন্য মানবাধিকার সংগঠন ও বিরোধী দলের চাপের মুখে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বিহার রাজ্যের সারন জেলার সিতাব দিয়ারা গ্রাম থেকে ৩৮ দিনব্যাপী ‘জনচেতনা যাত্রা’ নামের এই কর্মসূচি শুরু করেন তিনি। ৮৪ বছর বয়সী এই নেতা ৩৮ দিনে ২৩টি রাজ্য সফর করবেন। এই সফরকালে তিনি সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক ও বিভিন্ন জনসভায় বক্তব্য দেবেন।
যাত্রা শুরুর আগে আদভানি বলেন, এর মধ্য দিয়ে সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদ জানাবেন তিনি। এ ছাড়া বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করবেন। গতকাল বিহারের গান্ধী ময়দানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার পতাকা উড়িয়ে এই যাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে জনসমাবেশে আদভানি বলেন, ‘আজ থেকে দুর্নীতিবিরোধী ও বিদেশে পাচার হওয়া কালোটাকা দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে আমার জনচেতনা যাত্রা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।’
প্রয়াত সমাজতান্ত্রিক নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণের প্রশংসা করে আদভানি বলেন, তিনি (জয়প্রকাশ) ১৯৭০-এর দশকে কংগ্রেস সরকারের ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে সব কটি দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে সমর্থ হয়েছিলেন। তাঁর সেই আন্দোলন এখনো আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়। সময় অনেক বদলে গেছে। তবুও দেশে দুর্নীতি চলছে। এ দেশ থেকে দুর্নীতির মূল উৎপাটন করতে হবে।
আদভানি বলেন, ‘এ দেশের সুপ্ত শক্তি আছে, কিন্তু দেশের জনগণ আজ সেই শক্তির প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে। এই হারানো আস্থা পুনরুজ্জীবিত করাই হবে ‘জনচেতনা যাত্রার’ মূলমত্র। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জয়প্রকাশ নারায়ণের আন্দোলন থেকেই আমি এই যাত্রার প্রেরণা পেয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, অতীতের সব আন্দোলন থেকে জনগণ শিক্ষা নিয়েছে, সচেতন হয়েছে।
আদভানি বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, স্বচ্ছ রাজনীতি, লোকপাল ইস্যু ও বিদেশে পাচার করা কালোটাকা দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও এই যাত্রায় জোর দেওয়া হবে।
পাটনা থেকে হেলিকপ্টারে করে সিতাব দিয়ারায় পৌঁছার পর আদভানি প্রয়াত সমাজতান্ত্রিক নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণের পূর্বপুরুষদের বাড়ি যান। সেখানে জয়প্রকাশের ভাস্কর্যে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন তিনি। এ সময় নীতিশ কুমার, এস কে মোদি, সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলি প্রমুখ তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
জয়প্রকাশ নারায়ণের জন্মদিনে তাঁরই জন্মভূমি থেকে ‘জনচেতনা যাত্রা’ শুরু করায় আদভানিকে অভিনন্দন জানান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। এ যাত্রার সাফল্য কামনা করেন তিনি।
এদিকে রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছানোসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের প্রশংসা করেন আদভানি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠেয় ভারতের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে আদভানিকে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করা হতে পারে। ইউপিএ সরকারের মন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা সম্প্রতি নানা দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। দুর্নীতিবিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের জন্য মানবাধিকার সংগঠন ও বিরোধী দলের চাপের মুখে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
No comments