এনকেফালাইটিসে ভারতে ৪০০ জনের মৃত্যু
ভারতের উত্তর প্রদেশে এনকেফালাইটিসে ৪০০ জনেরও বেশি লোক মারা গেছে। তাদের বেশির ভাগই শিশু। জুলাই থেকে রাজ্যে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা গোরাখপুর এলাকায়। আক্রান্ত আরো প্রায় আড়াই হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি আছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।চিকিৎসকরা জানান, উত্তর প্রদেশে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে এনকেফালাইটিস। ১৯৭৮ সালে ভারতে প্রথম এ রোগ দেখা দেয়। এর পর থেকে এ পর্যন্ত এ রোগে প্রায় ছয় হাজার শিশু মারা গেছে। ২০০৫ সাল পর্যন্ত উত্তর প্রদেশে মশাবাহিত জাপানি এনকেফালাইটিসের প্রাদুর্ভাব বেশি ছিল।
তবে গত ছয় বছরে পানিবাহিত এনকেফালাইটিস বেশি ছড়াচ্ছে।এনকেফালাইটিসের কারণে মস্তিষ্কে তীব্র প্রদাহ হয়। অন্য উপসর্গের মধ্যে আছে মাথাব্যথা, জ্বর, অবসাদ ও ঘুম কম হওয়া। মানবদেহে তিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে এনকেফালাইটিস ভাইরাসের বিস্তার ঘটে। চূড়ান্ত পর্যায়ে হৃদরোগ বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংকোচন, কিডনি সমস্যা, দৃষ্টিভ্রম ও স্মৃতিশক্তিতে সমস্যা দেখা দেয়।
নেপাল সীমান্তবর্তী গোরাখপুরে বর্ষাকালেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা দেয়। প্রতিবছর বন্যায় এ এলাকায় পানি জমে থাকে দীর্ঘদিন। এতে পানিদূষণ ঘটে। দূষিত পানি ব্যবহারে লোকজন এ রোগে আক্রান্ত হয়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গ্রামের দরিদ্র পরিবারের ছয় মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। উত্তর প্রদেশের বিআরডি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক কে পি কুশবাহা বলেন, 'প্রতিদিন এ রোগে পাঁচ থেকে ১০টি শিশু মারা যাচ্ছে। শিশুদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় তারাই বেশি আক্রান্ত হয়।'
গত জুলাইয়ে এ রোগের প্রকোপ বাড়তে থাকলেও কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। আগস্টের শেষে আক্রান্ত এলাকাগুলোতে ওষুধ পাঠানো হয়। তবে ওই সময়ের মধ্যেই সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সে তুলনায় ওষুধ অপ্রতুল ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সূত্র : বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস।
নেপাল সীমান্তবর্তী গোরাখপুরে বর্ষাকালেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা দেয়। প্রতিবছর বন্যায় এ এলাকায় পানি জমে থাকে দীর্ঘদিন। এতে পানিদূষণ ঘটে। দূষিত পানি ব্যবহারে লোকজন এ রোগে আক্রান্ত হয়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গ্রামের দরিদ্র পরিবারের ছয় মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। উত্তর প্রদেশের বিআরডি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক কে পি কুশবাহা বলেন, 'প্রতিদিন এ রোগে পাঁচ থেকে ১০টি শিশু মারা যাচ্ছে। শিশুদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় তারাই বেশি আক্রান্ত হয়।'
গত জুলাইয়ে এ রোগের প্রকোপ বাড়তে থাকলেও কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। আগস্টের শেষে আক্রান্ত এলাকাগুলোতে ওষুধ পাঠানো হয়। তবে ওই সময়ের মধ্যেই সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সে তুলনায় ওষুধ অপ্রতুল ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সূত্র : বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস।
No comments