যৌনতা থেকে শিশুদের রক্ষায় যুক্তরাজ্যে কড়াকড়ি আরোপ
যৌনতা থেকে শিশুদের নিরাপদ রাখতে বিভিন্ন বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করছে যুক্তরাজ্যের সরকার। এর মধ্যে রয়েছে ইন্টারনেট-গ্রাহকের সম্মতি না থাকলে পর্নো ওয়েবসাইটগুলো ব্লক করে রাখা, উদ্বিগ্ন মা-বাবার অভিযোগ নিতে ওয়েবসাইট চালু, স্কুলের সামনে অশালীন দৃশ্যের বিলবোর্ড ও পণ্যের বিজ্ঞাপনে শিশুদের অন্তর্ভুক্ত নিষিদ্ধ করা প্রভৃতি।
শিশুদের ওপর যৌনতার ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে খ্রিস্টধর্মভিত্তিক দাতব্য সংস্থা মাদারস ইউনিয়নের একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্রিটিশ সরকার এসব ব্যবস্থা নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন শিগগিরই এ বিষয়ে ঘোষণা দেবেন।
গতকাল মঙ্গলবার মাদারস ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। প্রস্তাবিত উদ্যোগে বলা হয়েছে, এখন থেকে গ্রাহকেরা যতক্ষণ না নিজেরা পর্নো বা অন্য কোনো ধরনের যৌনতার উপাদান থাকা ওয়েবসাইটগুলো দেখার সম্মতি না দেবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেগুলো ব্লক করে রাখবে দেশটির ইন্টারনেট সেবাদানকারী বড় চারটি প্রতিষ্ঠান বিটি, স্কাই, টকটক ও ভার্জিন। গ্রাহকদের কম্পিউটার ও ল্যাপটপের পাশাপাশি স্মার্টফোনগুলোও এই সেবার আওতায় থাকবে। এর ফলে অভিভাবকেরা তাঁদের বাড়ির ইন্টারনেট-সংযোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
এ ছাড়া যৌনতা বা অশ্লীলতার ব্যাপারে শিশু-কিশোরদের আগ্রহী করে তুলতে পারে, এমন অনাকাঙ্ক্ষিত উপাদানের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের অনলাইন অভিযোগ নিতে একটি ওয়েবসাইট খোলা হচ্ছে। প্যারেন্টপোর্ট নামের নতুন ওই ওয়েবসাইট ব্যবহার করে উদ্বিগ্ন মা-বাবারা কোনো পণ্যের বিজ্ঞাপন, টেলিভিশন অনুষ্ঠান বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে ব্যবহূত দৃশ্য তাঁদের সন্তানদের মধ্যে যৌনতা বা অশ্লীলতা ছড়িয়ে দিতে পারে বলে মনে করলে অনলাইনে অভিযোগ করতে পারবেন। পরে তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে দেশটির সম্প্রচারবিষয়ক নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা অফকম তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবে।
অফকম বলেছে, প্যারেন্টপোর্ট চালু করার ফলে মা-বাবারা এখন থেকে গণমাধ্যমে প্রচারিত যেসব বিষয় তাঁদের শিশুসন্তানদের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করবেন, সেসব বিষয়ে অতি সহজেই অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।
অফকমের প্রধান নির্বাহী এড রিচার্ডস বলেন, যুক্তরাজ্যের সাতটি গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক সংস্থা একটি একক ওয়েবসাইট তৈরির জন্য এগিয়ে এসেছে। এর উদ্দেশ্য একটাই, অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়বস্তু থেকে শিশুদের রক্ষা করা।
এ ছাড়া স্কুলগুলোর সামনে অশালীন দৃশ্যসংবলিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ড নিষিদ্ধ করা হবে। পণ্য বাজারজাতকরণে ১৫ বছর বা এর কম বয়সী শিশুদের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’ নিয়োগ করতে পারবে না কোম্পানিগুলো।
এ ব্যাপারে মাদারস ইউনিয়নের প্রধান রেগ বেইলি বলেছেন, টিভি বিজ্ঞাপন ও ওয়েবসাইটে শিশুদের বাণিজ্যিকীকরণ এবং যৌনতার দিকে ঠেলে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের শৈশব ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে।
গত জুন মাসে রেগ বেইলিকে লেখা এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন মাদারস ইউনিয়নের সুপারিশগুলোকে স্বাগত জানিয়ে এসব ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন আশা প্রকাশ করেছেন, শিশুদের মধ্যে যৌনতা ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে এসব পদক্ষেপ সহায়তা করবে
শিশুদের ওপর যৌনতার ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে খ্রিস্টধর্মভিত্তিক দাতব্য সংস্থা মাদারস ইউনিয়নের একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্রিটিশ সরকার এসব ব্যবস্থা নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন শিগগিরই এ বিষয়ে ঘোষণা দেবেন।
গতকাল মঙ্গলবার মাদারস ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। প্রস্তাবিত উদ্যোগে বলা হয়েছে, এখন থেকে গ্রাহকেরা যতক্ষণ না নিজেরা পর্নো বা অন্য কোনো ধরনের যৌনতার উপাদান থাকা ওয়েবসাইটগুলো দেখার সম্মতি না দেবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেগুলো ব্লক করে রাখবে দেশটির ইন্টারনেট সেবাদানকারী বড় চারটি প্রতিষ্ঠান বিটি, স্কাই, টকটক ও ভার্জিন। গ্রাহকদের কম্পিউটার ও ল্যাপটপের পাশাপাশি স্মার্টফোনগুলোও এই সেবার আওতায় থাকবে। এর ফলে অভিভাবকেরা তাঁদের বাড়ির ইন্টারনেট-সংযোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
এ ছাড়া যৌনতা বা অশ্লীলতার ব্যাপারে শিশু-কিশোরদের আগ্রহী করে তুলতে পারে, এমন অনাকাঙ্ক্ষিত উপাদানের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের অনলাইন অভিযোগ নিতে একটি ওয়েবসাইট খোলা হচ্ছে। প্যারেন্টপোর্ট নামের নতুন ওই ওয়েবসাইট ব্যবহার করে উদ্বিগ্ন মা-বাবারা কোনো পণ্যের বিজ্ঞাপন, টেলিভিশন অনুষ্ঠান বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে ব্যবহূত দৃশ্য তাঁদের সন্তানদের মধ্যে যৌনতা বা অশ্লীলতা ছড়িয়ে দিতে পারে বলে মনে করলে অনলাইনে অভিযোগ করতে পারবেন। পরে তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে দেশটির সম্প্রচারবিষয়ক নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা অফকম তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবে।
অফকম বলেছে, প্যারেন্টপোর্ট চালু করার ফলে মা-বাবারা এখন থেকে গণমাধ্যমে প্রচারিত যেসব বিষয় তাঁদের শিশুসন্তানদের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করবেন, সেসব বিষয়ে অতি সহজেই অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।
অফকমের প্রধান নির্বাহী এড রিচার্ডস বলেন, যুক্তরাজ্যের সাতটি গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক সংস্থা একটি একক ওয়েবসাইট তৈরির জন্য এগিয়ে এসেছে। এর উদ্দেশ্য একটাই, অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়বস্তু থেকে শিশুদের রক্ষা করা।
এ ছাড়া স্কুলগুলোর সামনে অশালীন দৃশ্যসংবলিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ড নিষিদ্ধ করা হবে। পণ্য বাজারজাতকরণে ১৫ বছর বা এর কম বয়সী শিশুদের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’ নিয়োগ করতে পারবে না কোম্পানিগুলো।
এ ব্যাপারে মাদারস ইউনিয়নের প্রধান রেগ বেইলি বলেছেন, টিভি বিজ্ঞাপন ও ওয়েবসাইটে শিশুদের বাণিজ্যিকীকরণ এবং যৌনতার দিকে ঠেলে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের শৈশব ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে।
গত জুন মাসে রেগ বেইলিকে লেখা এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন মাদারস ইউনিয়নের সুপারিশগুলোকে স্বাগত জানিয়ে এসব ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন আশা প্রকাশ করেছেন, শিশুদের মধ্যে যৌনতা ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে এসব পদক্ষেপ সহায়তা করবে
No comments