ব্রিটেনে ১৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বেকারত্ব
আগস্ট পর্যন্ত মাত্র তিন মাসে যুক্তরাজ্যে বেকারত্ব বেড়েছে এক লাখ ১৪ হাজার। সব মিলিয়ে বর্তমানে বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৭০ হাজার, যা যুক্তরাজ্যের ১৭ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। যুক্তরাষ্ট্রের পর ইউরোপের বৃহৎ অর্থনৈতিক এ দেশটিও বেকারত্বের ভারে নুয়ে পড়েছে। গতকাল বুধবার যুক্তরাজ্যের পরিসংখ্যান দপ্তর (ওএনএস) আরো জনায়, দেশে বেকারত্বের হার বেড়ে ৮.১ শতাংশ হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি বেকারত্ব ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে। শুধু জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত এ বয়সীদের মধ্যে বেকারত্ব রেকর্ডসংখ্যক বেড়ে হয়েছে ৯ লাখ ৯১ হাজার।
এদের বেকারত্বের হার ২১.৩ শতাংশ। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সেপ্টেম্বর মাসে দেশটিতে কর্মহীন ও সাহায্যভোগী মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ১৭ হাজার ৫০০। বর্তমানে মোট উপকারভোগীর সংখ্যা ১৬ লাখ। যুক্তরাজ্যের কর্মসংস্থান প্রধান ক্রিস গ্রেইলিং বলেন, 'দেশে বর্তমানে যা দেখা যাচ্ছে, তা আন্তর্জাতিক মন্দার ফল।' তিনি বলেন, 'যুক্তরাজ্য যদিও ইউরোভুক্ত দেশ নয়; কিন্তু ইউরো জোনে যা হচ্ছে, তা থেকে আমরা মুক্ত নই। বিশেষ করে গ্রিসের মতো দেশগুলোর ঋণসংকট আমাদেরও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।'
অর্থনৈতিক এ অবস্থার জন্য সরকারের ঘাটতি হ্রাস প্রোগ্রামের সমালোচনা করে বিশ্লেষকরা বলছেন, এ পদক্ষেপ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত করেছে। কিন্তু গ্রেইলিং বলছেন, 'আমরা ঘাটতি হ্রাস করছি বাজারের আস্থা ধরে রেখে দেশের ব্যবসাকে আরো উৎসাহিত করার জন্য।' তবে তিনি বলেন, 'পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত এক বছরে সরকারি চাকরি কমলেও বেসরকারি খাতে চাকরি বেড়েছে।' এ নিয়ে টিইউসির সাধারণ সম্পাদক ব্রেন্ডেন বার্বার বলেন, 'এ চিত্র অত্যন্ত হতাশাজনক। সরকারের ব্যয় সংকোচন বেকারত্বকে একটি বড় ধরনের সংকটে পরিণত করেছে। ইতিপূর্বে মন্দায় এমন বেকারত্বের হার আর দেখা যায়নি।' তিনি আরো বলেন, 'বর্তমান বেকারত্ব শুধু ইউরো জোনের সংকটের পরিণতি নয়। এটা আমাদের সরকারই ডেকে এনেছে। বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রতি ১০ জনে একজনের কাজ নেই।' বিবিসি।
অর্থনৈতিক এ অবস্থার জন্য সরকারের ঘাটতি হ্রাস প্রোগ্রামের সমালোচনা করে বিশ্লেষকরা বলছেন, এ পদক্ষেপ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত করেছে। কিন্তু গ্রেইলিং বলছেন, 'আমরা ঘাটতি হ্রাস করছি বাজারের আস্থা ধরে রেখে দেশের ব্যবসাকে আরো উৎসাহিত করার জন্য।' তবে তিনি বলেন, 'পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত এক বছরে সরকারি চাকরি কমলেও বেসরকারি খাতে চাকরি বেড়েছে।' এ নিয়ে টিইউসির সাধারণ সম্পাদক ব্রেন্ডেন বার্বার বলেন, 'এ চিত্র অত্যন্ত হতাশাজনক। সরকারের ব্যয় সংকোচন বেকারত্বকে একটি বড় ধরনের সংকটে পরিণত করেছে। ইতিপূর্বে মন্দায় এমন বেকারত্বের হার আর দেখা যায়নি।' তিনি আরো বলেন, 'বর্তমান বেকারত্ব শুধু ইউরো জোনের সংকটের পরিণতি নয়। এটা আমাদের সরকারই ডেকে এনেছে। বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রতি ১০ জনে একজনের কাজ নেই।' বিবিসি।
No comments