চট্টগ্রামে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ : পাথরঘাটা থমথমে : সর্বদলীয় সংহতি ও শান্তি সমাবেশ
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষের পর নগরীর পাথরঘাটা এলাকায় এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তবে প্রশাসন ও স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তোলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ লক্ষ্যে গতকাল দুপুরে ওই এলাকায় সর্বদলীয় সংহতি ও শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা মঙ্গলবার রাতের সংঘর্ষের ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক বলে আখ্যায়িত করেন। সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেন মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতারা।
তবে নানা গুজবে এলাকায় এখনও কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে।ফিরিঙ্গিবাজার, বংশাল রোড, জলিলগঞ্জ এলাকার কয়েকটি মসজিদ ও মন্দিরের সামনে গতকালও পুলিশ পাহারা দেখা গেছে। এলাকায় লোকজনের চলাচল ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে কম। দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বেশিরভাগই ছিল বন্ধ। কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, মঙ্গলবারের সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষ থেকেই থানায় মামলা বা অভিযোগ করা হয়নি। কোনো গ্রেফতারও নেই। তিনি জানান, এখনও পাথরঘাটা এলাকায় র্যাব ছাড়াও চার প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
গতকাল দুপুরে কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা জলিলগঞ্জের গঙ্গাবাড়ি মোড়ে অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশে মন্ত্রী-মেয়রসহ চট্টগ্রামের প্রায় সব রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। তারা দু’পক্ষকেই শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফসারুল আমিন, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মনজুর আলম, নগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, নগর আওয়ামী লীগ নেতা আ.জ.ম. নাসির, নগর পুলিশ কমিশনার আবুল কাসেম, জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহমেদ ছাড়াও সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরসহ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা মঙ্গলবার রাতের ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক বলে আখ্যায়িত করেন।
মঙ্গলবার বিকালে ছোট ছেলেদের খেলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জেলেপাড়া ও বংশাল রোডের দু’দল কিশোরের ঝগড়া হয়। এর জের ধরে রাতে স্থানীয়রা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে সংবাদকর্মী, পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় বিপুলসংখ্যক র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। একপক্ষ মসজিদের কাচ ভাংচুর করে। অপরপক্ষ জেলেপল্লীর ৫টি বাড়িতে আগুন দেয়। এ নিয়ে মঙ্গলবার রাতভর ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয় ৫ শতাধিক পুলিশ সদস্য।
এলাকাবাসী গতকাল শান্তি সমাবেশে অংশ নেয়া নেতাদের জানান, দু’পাড়ার ছেলেদের মধ্যে ফুটবল খেলায় হার-জিত নিয়ে এই ঝগড়া-বিবাদ সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সমাবেশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফসারুল আমিন বলেন, অল্প বয়সীদের মধ্যে খেলা নিয়ে যা হয়েছে, সেটা নিয়ে কেউ রাজনীতি করছে কিনা—তা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা খতিয়ে দেখবে। মেয়র মনজুর আলম বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যা হয়েছে, তাতে আমরা লজ্জিত ও দুঃখিত। ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য সুদীর্ঘকালের। মহল্লা এলাকায় ছোটখাটো ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের চিহ্নিত করা প্রয়োজন।
স্থানীয়দের কোনো ধরনের গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান জানান চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার। তিনি বলেন, আমরা গত রাতে অনেক ধরনের গুজব শুনেছি। যার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের দাবি জানান মহিউদ্দিন চৌধুরী। সমাবেশ শেষে রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শন করেন।
গতকাল দুপুরে কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা জলিলগঞ্জের গঙ্গাবাড়ি মোড়ে অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশে মন্ত্রী-মেয়রসহ চট্টগ্রামের প্রায় সব রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। তারা দু’পক্ষকেই শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফসারুল আমিন, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মনজুর আলম, নগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, নগর আওয়ামী লীগ নেতা আ.জ.ম. নাসির, নগর পুলিশ কমিশনার আবুল কাসেম, জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহমেদ ছাড়াও সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরসহ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা মঙ্গলবার রাতের ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক বলে আখ্যায়িত করেন।
মঙ্গলবার বিকালে ছোট ছেলেদের খেলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জেলেপাড়া ও বংশাল রোডের দু’দল কিশোরের ঝগড়া হয়। এর জের ধরে রাতে স্থানীয়রা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে সংবাদকর্মী, পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় বিপুলসংখ্যক র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। একপক্ষ মসজিদের কাচ ভাংচুর করে। অপরপক্ষ জেলেপল্লীর ৫টি বাড়িতে আগুন দেয়। এ নিয়ে মঙ্গলবার রাতভর ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয় ৫ শতাধিক পুলিশ সদস্য।
এলাকাবাসী গতকাল শান্তি সমাবেশে অংশ নেয়া নেতাদের জানান, দু’পাড়ার ছেলেদের মধ্যে ফুটবল খেলায় হার-জিত নিয়ে এই ঝগড়া-বিবাদ সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সমাবেশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফসারুল আমিন বলেন, অল্প বয়সীদের মধ্যে খেলা নিয়ে যা হয়েছে, সেটা নিয়ে কেউ রাজনীতি করছে কিনা—তা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা খতিয়ে দেখবে। মেয়র মনজুর আলম বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যা হয়েছে, তাতে আমরা লজ্জিত ও দুঃখিত। ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য সুদীর্ঘকালের। মহল্লা এলাকায় ছোটখাটো ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের চিহ্নিত করা প্রয়োজন।
স্থানীয়দের কোনো ধরনের গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান জানান চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার। তিনি বলেন, আমরা গত রাতে অনেক ধরনের গুজব শুনেছি। যার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের দাবি জানান মহিউদ্দিন চৌধুরী। সমাবেশ শেষে রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শন করেন।
No comments