বিশ্বনাথে কমে গেছে লন্ডনি বিয়ে by জামাল মিয়া
সিলেটের প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত বিশ্বনাথ উপজেলা। উপজেলার বেশির ভাগ মানুষ যুক্তরাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে সপরিবারে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু বর্তমানে লন্ডনি বিয়ের ধুম নেই এই উপজেলায়। লন্ডনি বিয়ে লন্ডন-বিশ্বনাথ সম্পর্ককে বিশেষ মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছিল। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই। স্থানীয় পারিপার্শ্বিক অবস্থাসহ বৃটেন স্পাউস ভিসা শর্ত কঠোর করায় কমে গেছে লন্ডনি বিয়ের আয়োজন। দেশে আশা প্রবাসীর সংখ্যা আগের চেয়ে কয়েক গুণ কমে গেছে।
জানা গেছে, মধ্যপ্রাচ্য ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ বসবাস করে আসছেন। এরই মধ্যে সিংহভাগ মানুষ স্বপ্নের দেশ বৃটেনে পরিবার-পরিজন নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। এছাড়া বৈবাহিক সূত্রে দীর্ঘতর হয়েছে বৃটেনে বিশ্বনাথীদের যাতায়াত। এলাকার মেধাবী ও সুদর্শন ছেলেমেয়েদের বিরাট অংশ লন্ডনি আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে পাড়ি দিয়েছে সেই দেশে। ফলে অর্থনৈতিকভাবে অনেক লাভ হয়েছে বিশ্বনাথ।
লন্ডনে বসবাসকারী প্রবাসী বিশ্বনাথের বেশির ভাগ মানুষ নিজ দেশে (বাংলাদেশে) এনে সন্তানদের বিয়ের আয়োজন করে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে এ প্রচলন চলে আসছিল। বৃটেনে প্রবাসী বর-কনেদের দেশে এসে বিয়ে করার এই লন্ডনি বিয়ের হারও স্পাউস ভিসায় শর্তারোপের কারণে অনেকটা কমে গেছে। বৃটেনের আইনে ইউরোপ বাইরে থেকে স্পাউস আনতে স্পন্সরের বছরে কমপক্ষে ১৮ হাজার পাউন্ড আয় দেখাতে হবে। এলাকাবাসী জানান, শীত মওসুম কিংবা ঈদ এলে উপজেলার প্রবাসীরা সপরিবারে দেশে নাড়ির টানে ছুটে আসতেন। গত বছর হাতগোনা কয়েকজন যুক্তরাজ্য প্রবাসী দেশে এসেছেন। প্রবাসী যারা দেশে এসেছেন তারা দু-এক সপ্তাহ দেশে অবস্থা করে ফের কর্মস্থলে ছুটে যাচ্ছেন। জরুরি কাজ না ছাড়া দেশে আসতে চান না অনেক প্রবাসী। গ্রীষ্মকালীন ছুটি নিয়ে শীত মওসুম আসলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী পরিবারগুলো ছেলেমেয়েদের বিয়ে দেয়ার জন্য দেশে আসতেন। কিন্তু গত তিন বছর ধরে উপজেলায় প্রবাসীর সংখ্যা কম আসায় লন্ডনি বিয়ের সংখ্যাও অনেক কম গেছে। কিন্তু এখন হাতগোনা কয়েকজন প্রবাসীকে এলাকায় মাঝে মধ্যে দেখা যায়। আগে যেখানে উপজেলায় প্রতি মাসে ১০-১৫টি লন্ডনি বিয়ে হতো, এখনও ৬ মাসেও এক-দুটি বিয়ে দেখা যায় না।
এলাকাবাসী আরও জানায়, বিশ্বনাথে থাকা অনেক ঘটক রয়েছেন বিপাকে। তাদের মনেও কষ্টের শেষ নেই। পূর্ব থেকে তারা প্রবাসীদের আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে জেনে নিতেন কবে আসছেন কোন প্রবাসী। যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা দেশে আসলে তারা ছুটে যেতেন তাদের বাড়ি। প্রবাসীর ছেলেমেয়েদের বিয়ে দেয়া হবে কিনা খোঁজখবর রাখতেন। তাদের মাধ্যমে কোন প্রবাসী নারী-পুরুষের বিয়ে হলে ভাল অর্থ উপার্জন হতো। কিন্তু প্রবাসীরা সপরিবারে দেশে না আশায় তারা রয়েছেন দুঃচিন্তায়।
যুক্তরাজ্য অবস্থারত কয়েকজন প্রবাসীর সঙ্গে আলাপকালে জানাযায়, বর্তমানে প্রবাসে বসবাসরত মানুষ ছেলেমেয়েদের নিয়ে দেশে যেতে নারাজ। তবে যারা যাচ্ছেন, তারা জরুরি কাজ বা দেশে থাকা আত্মীয়স্বজনদের দেখার জন্য। তবে কয়েক দিন দেশে অবস্থান করে ফের তারা কর্মস্থল ছুটে আসছেন। সদ্য দেশে আসা যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাচ্চু মিয়া বলেন, তিনি সপরিবারের দেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমানে দেশের অবস্থা দেখে ছেলেমেয়েরা আসতে চায়নি। তাই তিনি একা দুই সপ্তাহের জন্য দেশে এসেছে।
ঘটক আলাউদ্দিন বলেন, শীত মওসুম আসলে অনেক প্রবাসী দেশে আসতেন। কিন্তু গত দুই বছর তেমন কোন প্রবাসী বর-কনে পরিবার উপজেলায় দেখা যায়নি। যার ফলে লন্ডনি বিয়ের অনুষ্ঠান অনেক কম হচ্ছে। গত ৯ মাস ধরে লন্ডনি কোন বর-কনের পাওয়া যায়নি।
আল-আছকা মার্কেটের সৌখিন বিপণি সেন্টারে পরিচালক রুহেল আহমদ কালু বলেন, লন্ডনি বিয়ের সংখ্যা এলাকায় কয়েক গুণ কমে গেছে। ফলে আগে যেখানে বিয়ের শাড়ি প্রতি মাসে চার-পাঁচটি বিক্রয় করা যেতো। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে বিয়ের শাড়ি বিক্রয় করতে পারিনি। উপজেলার পশ্চিম শ্বাসরাম গ্রামের প্রবীণ মুরব্বি সাজিদ আলী বলেন, নিজের অনেক আত্মীয়স্বজন লন্ডনে বসবাস করছেন। কিন্তু গত দেড় বছর ধরে তারা দেশে আসছে না। আগে এলাকায় প্রতি সপ্তাহে লন্ডনি বিয়ের অনুষ্ঠান হতো। এখন তা আর নেই। কেন যে প্রবাসীরা দেশ আসতে চান না।
জানা গেছে, মধ্যপ্রাচ্য ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ বসবাস করে আসছেন। এরই মধ্যে সিংহভাগ মানুষ স্বপ্নের দেশ বৃটেনে পরিবার-পরিজন নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। এছাড়া বৈবাহিক সূত্রে দীর্ঘতর হয়েছে বৃটেনে বিশ্বনাথীদের যাতায়াত। এলাকার মেধাবী ও সুদর্শন ছেলেমেয়েদের বিরাট অংশ লন্ডনি আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে পাড়ি দিয়েছে সেই দেশে। ফলে অর্থনৈতিকভাবে অনেক লাভ হয়েছে বিশ্বনাথ।
লন্ডনে বসবাসকারী প্রবাসী বিশ্বনাথের বেশির ভাগ মানুষ নিজ দেশে (বাংলাদেশে) এনে সন্তানদের বিয়ের আয়োজন করে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে এ প্রচলন চলে আসছিল। বৃটেনে প্রবাসী বর-কনেদের দেশে এসে বিয়ে করার এই লন্ডনি বিয়ের হারও স্পাউস ভিসায় শর্তারোপের কারণে অনেকটা কমে গেছে। বৃটেনের আইনে ইউরোপ বাইরে থেকে স্পাউস আনতে স্পন্সরের বছরে কমপক্ষে ১৮ হাজার পাউন্ড আয় দেখাতে হবে। এলাকাবাসী জানান, শীত মওসুম কিংবা ঈদ এলে উপজেলার প্রবাসীরা সপরিবারে দেশে নাড়ির টানে ছুটে আসতেন। গত বছর হাতগোনা কয়েকজন যুক্তরাজ্য প্রবাসী দেশে এসেছেন। প্রবাসী যারা দেশে এসেছেন তারা দু-এক সপ্তাহ দেশে অবস্থা করে ফের কর্মস্থলে ছুটে যাচ্ছেন। জরুরি কাজ না ছাড়া দেশে আসতে চান না অনেক প্রবাসী। গ্রীষ্মকালীন ছুটি নিয়ে শীত মওসুম আসলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী পরিবারগুলো ছেলেমেয়েদের বিয়ে দেয়ার জন্য দেশে আসতেন। কিন্তু গত তিন বছর ধরে উপজেলায় প্রবাসীর সংখ্যা কম আসায় লন্ডনি বিয়ের সংখ্যাও অনেক কম গেছে। কিন্তু এখন হাতগোনা কয়েকজন প্রবাসীকে এলাকায় মাঝে মধ্যে দেখা যায়। আগে যেখানে উপজেলায় প্রতি মাসে ১০-১৫টি লন্ডনি বিয়ে হতো, এখনও ৬ মাসেও এক-দুটি বিয়ে দেখা যায় না।
এলাকাবাসী আরও জানায়, বিশ্বনাথে থাকা অনেক ঘটক রয়েছেন বিপাকে। তাদের মনেও কষ্টের শেষ নেই। পূর্ব থেকে তারা প্রবাসীদের আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে জেনে নিতেন কবে আসছেন কোন প্রবাসী। যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা দেশে আসলে তারা ছুটে যেতেন তাদের বাড়ি। প্রবাসীর ছেলেমেয়েদের বিয়ে দেয়া হবে কিনা খোঁজখবর রাখতেন। তাদের মাধ্যমে কোন প্রবাসী নারী-পুরুষের বিয়ে হলে ভাল অর্থ উপার্জন হতো। কিন্তু প্রবাসীরা সপরিবারে দেশে না আশায় তারা রয়েছেন দুঃচিন্তায়।
যুক্তরাজ্য অবস্থারত কয়েকজন প্রবাসীর সঙ্গে আলাপকালে জানাযায়, বর্তমানে প্রবাসে বসবাসরত মানুষ ছেলেমেয়েদের নিয়ে দেশে যেতে নারাজ। তবে যারা যাচ্ছেন, তারা জরুরি কাজ বা দেশে থাকা আত্মীয়স্বজনদের দেখার জন্য। তবে কয়েক দিন দেশে অবস্থান করে ফের তারা কর্মস্থল ছুটে আসছেন। সদ্য দেশে আসা যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাচ্চু মিয়া বলেন, তিনি সপরিবারের দেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমানে দেশের অবস্থা দেখে ছেলেমেয়েরা আসতে চায়নি। তাই তিনি একা দুই সপ্তাহের জন্য দেশে এসেছে।
ঘটক আলাউদ্দিন বলেন, শীত মওসুম আসলে অনেক প্রবাসী দেশে আসতেন। কিন্তু গত দুই বছর তেমন কোন প্রবাসী বর-কনে পরিবার উপজেলায় দেখা যায়নি। যার ফলে লন্ডনি বিয়ের অনুষ্ঠান অনেক কম হচ্ছে। গত ৯ মাস ধরে লন্ডনি কোন বর-কনের পাওয়া যায়নি।
আল-আছকা মার্কেটের সৌখিন বিপণি সেন্টারে পরিচালক রুহেল আহমদ কালু বলেন, লন্ডনি বিয়ের সংখ্যা এলাকায় কয়েক গুণ কমে গেছে। ফলে আগে যেখানে বিয়ের শাড়ি প্রতি মাসে চার-পাঁচটি বিক্রয় করা যেতো। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে বিয়ের শাড়ি বিক্রয় করতে পারিনি। উপজেলার পশ্চিম শ্বাসরাম গ্রামের প্রবীণ মুরব্বি সাজিদ আলী বলেন, নিজের অনেক আত্মীয়স্বজন লন্ডনে বসবাস করছেন। কিন্তু গত দেড় বছর ধরে তারা দেশে আসছে না। আগে এলাকায় প্রতি সপ্তাহে লন্ডনি বিয়ের অনুষ্ঠান হতো। এখন তা আর নেই। কেন যে প্রবাসীরা দেশ আসতে চান না।
No comments