কবরীর অন্য ভুবন-১, তারা চেয়েছিল আমি সুইসাইড করি by বিল্লাল হোসেন রবিন
চলচ্চিত্রের এক জীবন্ত কিংবদন্তি কবরী। ষাটের দশকের অন্যতম জনপ্রিয় এ অভিনেত্রীর জন্ম চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে। তবে তার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে চট্টগ্রাম নগরীতে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও আজীবন সম্মাননায় ভূষিত কবরীর আসল নাম মিনা পাল। পিতা শ্রীকৃষ্ণ দাস পাল এবং মা শ্রীমতি লাবণ্য প্রভা পাল। ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে আবির্ভাব কবরীর। এরপর থেকে ধীরে ধীরে টেলিভিশন এবং সিনেমা জগতে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। ৬৪ সালে সুভাষ দত্তের পরিচালনায় ‘সুতরাং’ ছবির নায়িকা হিসেবে অভিনয় জীবনের শুরু। এরপর থেকে প্রায় ১০০টি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। প্রথম ছবির সাফল্যের পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি কবরীকে। একের পর এক ছবিতে অসাধারণ অভিনয় উপহার দিয়েছেন। অর্জন করেন দারুণ জনপ্রিয়তা। দর্শকের ভালবাসায় পেয়েছেন ‘মিষ্টি মেয়ে’ খেতাব।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ১৯শে এপ্রিল পরিবারের সঙ্গে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি চলে যান তিনি। সেখান থেকে ভারত পাড়ি দেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আবারও চলচ্চিত্র জগতে মনোনিবেশ করেন কবরী। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এ বছর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের পাওনা ১ লাখ টাকা কবরী দান করছেন প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক শিশুদের কল্যাণে। কবরী বলেন, অভিনয় করে আমি অনেক কিছুই পেয়েছি। মানুষের ভালবাসা তার মধ্যে অন্যতম। এর কোন তুলনা নেই। জীবনে চলার পথে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের দুঃখ-কষ্ট আমাকে সব সময় পীড়া দিয়েছে। সব সময় চেষ্টা করেছি তাদের পাশে থাকার। এ টাকা হয়তো তাদের জন্য কম, তবুও তাদের সামান্য উপকারে এলে আমার অর্জন সার্থক হবে।
রাজনীতির কারণে কবরীর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে ২০০৮ সালে। আওয়ামী লীগের টিকিটে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় স্বামী শফিউদ্দিন সারোয়ার ওরফে বাবু সারোয়ার কবরীকে তালাক দেন। এতে ৩০ বছরের সংসার জীবনের ইতি ঘটে। তারপরও পিছপা হননি তিনি। নির্বাচনের জয়ী হন কবরী। রুপালি পর্দার সাড়া জাগানো স্বপ্নের নায়িকাকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাছে পেয়ে বেজায় খুশি হন ফতুল্লাবাসী। কবরীও মিশে যান সাধারণ মানুষের সঙ্গে। কিন্তু ৫ বছর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানা ঘাত প্রতিঘাতের শিকার হয়েছেন তিনি। সবচেয়ে বেশি বাধাগ্রস্ত হয়েছেন নিজ দলের লোকজন দ্বারা। হুমকি-ধামকি কোন কিছুই দমাতে পারেনি তাকে। তবে তার আক্ষেপ, অসহযোগিতা আর অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণে তিনি তার নির্বাচনী এলাকার মানুষের জন্য কাক্সিক্ষত উন্নয়ন করতে পারেননি। এজন্য তিনি ব্যথিত। তার অতীত ও বর্তমান সংগ্রামের তুলনা করতে গিয়ে কবরী বলেন, দেশের জন্য লড়াই করতে পেরেছিলাম বলে আমি গর্ববোধ করি। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কবরী তার আজীবন সম্মাননার পুরস্কারটি উৎসর্গ করেন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সব মুক্তিযোদ্ধাকে।
ব্যক্তিগত জীবনের প্রসঙ্গ টেনে কবরী বলেন, প্রতিটা দিন তো আর একরকম যায় না। তবে সকালটা শুরু হয় পত্রিকা দেখে। তাতে খুঁজে দেখি কোন সুখবর বা দুঃখের খবর আছে কিনা? সেগুলো চেক করি। কাজ থাকলে কাজে চলে যাই। পেশাগত কাজের চেয়ে দেশের কাজকে বেশি গুরুত্ব দেই। আমার মন যখন বিদ্রোহী হয়ে ওঠে তখন ইচ্ছা হয় সব তোলপাড় করে সব কথা বলে মনের জ্বালা নিভাই। তিনি বলেন, সংসদ সদস্য থাকার ৫ বছর একটা রুটিন হয়ে গিয়েছিল আমার নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনী এলাকায় যাওয়া। প্রচ- যানজট অতিক্রম করে নিত্যদিনের আসা-যাওয়ায় কখনও ক্লান্ত হইনি। দলের লোকের অসহযোগিতার কারণে হয়তো কাক্সিক্ষত উন্নয়ন করতে পারিনি। কিন্তু আমি তো দেশের জন্য ভূমিকা রেখেছি। কিন্তু পরবর্তীতে কোন সুযোগ দেয়া হলো না। আসলে আমার মনে হয় বাংলাদেশে বেশি মূল্যায়ন হয় চাটুকারদের। সেখানে মেধার কোন দাম নেই। যে যত বেশি চাটুকারিতা করতে পারবে সে তত বেশি সুযোগ পাবে। এটাই মনে হয় রাজনীতিতে নিয়ম হয়ে গেছে। আমি যে ৫ বছর কাজ করলাম, ভাল না মন্দ, প্রধানমন্ত্রী কী আমাকে ডেকে জিজ্ঞেস করেছেন?
চলচ্চিত্র জীবন নিয়ে কবরী বলেন, চলচ্চিত্র হলো চলমান একটা জিনিস। যেমন যতদিন একটা সুস্থ মানুষের দেহে প্রাণ থাকবে, চোখে দেখবে, কানে শুনবে, তার হাত-পা কাজ করবে ততদিন চলমান জীবন তার। এই চলমান জীবনে সে কী কোন দিন বাধাগ্রস্ত হয়নি? অবশ্যই হয়েছে। সে বিশ্ববিখ্যাত কবিই হোক, অনেক বড় ধরনের সেলিব্রিটি হোক, আর প্রধানমন্ত্রী হোক। প্রত্যেকের জীবনে কিছু না কিছু আছে। কিছু আমরা জানি, কিছু জানি না। কিছু লুকায়িত কিছু ওপেন। কিছু ক্লোজ ডোরে থাকে কিছু ওপেন হয়ে থাকে। এ দুনিয়াটা কিন্তু এরকম। আমি চলচ্চিত্রে যেমন সফল, রাজনীতিতেও সফল। ইলেকশন করেছি এবং বিজয়ী হয়েছি। আমি দুই জায়গায়ই সার্থক।
দেশি খাবার বরাবরই পছন্দ কবরীর। বলেন, মা যখন চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা বানাতেন, খেজুরের গুড় দিয়ে চুলার পাশে বসে খাওয়ার মধ্যে যে আনন্দ সেটা কী পেস্টি আর পিজাতে পাওয়া যায়? বিদেশি খাবার তো ওয়ান টাইম। বড় মাছ পছন্দ। তবে সব সময় না। ঝাল অনেক পছন্দ। রান্না করতে খুব ইচ্ছা করে। কিন্তু এখন করি না। সবাইকে নিয়ে আড্ডা খুব পছন্দ করি। অতীতকে মনে রাখি না। যেমন কারও সঙ্গে যদি কোন কারণে মান-অভিমান হয়, তাহলে সেটা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করি। জীবনটা কয়দিনের? আফ্রিকা আর চীন ছাড়া আর সব দেশই ভ্রমণ করেছি। পছন্দের পোশাক শাড়ি। তবে ইদানীং ওয়েস্টার্ন কাপড় পছন্দ করি। কারণ, একটা প্যান্ট আর শার্ট পরেই চলা যায়। আর শাড়ি পরে বড় বড় এয়ারপোর্টে হাঁটা যায় না। জীবনের শুরুটাই তো হয়েছে গাঢ় মেকাপ আর সাজসজ্জার মধ্য দিয়ে। তবে ব্যবহার করার চেয়ে দেখতে বেশি ভাল লাগে। কারা তৈরি করেছে, কোন ব্রান্ড ইত্যাদি।
কবরী বলেন, নির্বাচনের সময় আমার স্বামী আমাকে ডিভোর্স দিয়েছেন। আমি তো মরে যেতে পারতাম। কিন্তু তা করিনি। কারণ, এক্স ওয়াই জেড কেউ কিছু করলে কিছু যায় আসে না। কিন্তু কবরী করলে যায় আসে। তাই করিনি। তারা চেয়েছে ডিভোর্স দিলে আমি ঘরে ঢুকে যাবো। বসে বসে কান্না করবো। কাউকে মুখ দেখাতে পারবো না। সুইসাইড করবো। কিন্তু আমি এর কিছুই করিনি। আল্লাহ আমার মনটাকে কঠিন করে দিয়েছেন। আমাকে মানসিকভাবে দুর্বল করে দেয়ার জন্য, আমার স্বামীকে প্ররোচনা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের তার আত্মীয়স্বজনরা। সে একা এ কাজ করতে পারেন না। এটা করেছেন। আমি সোজা চলে গেছি নারায়ণগঞ্জে। মাঠে নেমে গেছি। মানুষের ভালবাসায় জয়ী হয়ে এসেছি।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ১৯শে এপ্রিল পরিবারের সঙ্গে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি চলে যান তিনি। সেখান থেকে ভারত পাড়ি দেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আবারও চলচ্চিত্র জগতে মনোনিবেশ করেন কবরী। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এ বছর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের পাওনা ১ লাখ টাকা কবরী দান করছেন প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক শিশুদের কল্যাণে। কবরী বলেন, অভিনয় করে আমি অনেক কিছুই পেয়েছি। মানুষের ভালবাসা তার মধ্যে অন্যতম। এর কোন তুলনা নেই। জীবনে চলার পথে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের দুঃখ-কষ্ট আমাকে সব সময় পীড়া দিয়েছে। সব সময় চেষ্টা করেছি তাদের পাশে থাকার। এ টাকা হয়তো তাদের জন্য কম, তবুও তাদের সামান্য উপকারে এলে আমার অর্জন সার্থক হবে।
রাজনীতির কারণে কবরীর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে ২০০৮ সালে। আওয়ামী লীগের টিকিটে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় স্বামী শফিউদ্দিন সারোয়ার ওরফে বাবু সারোয়ার কবরীকে তালাক দেন। এতে ৩০ বছরের সংসার জীবনের ইতি ঘটে। তারপরও পিছপা হননি তিনি। নির্বাচনের জয়ী হন কবরী। রুপালি পর্দার সাড়া জাগানো স্বপ্নের নায়িকাকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাছে পেয়ে বেজায় খুশি হন ফতুল্লাবাসী। কবরীও মিশে যান সাধারণ মানুষের সঙ্গে। কিন্তু ৫ বছর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানা ঘাত প্রতিঘাতের শিকার হয়েছেন তিনি। সবচেয়ে বেশি বাধাগ্রস্ত হয়েছেন নিজ দলের লোকজন দ্বারা। হুমকি-ধামকি কোন কিছুই দমাতে পারেনি তাকে। তবে তার আক্ষেপ, অসহযোগিতা আর অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণে তিনি তার নির্বাচনী এলাকার মানুষের জন্য কাক্সিক্ষত উন্নয়ন করতে পারেননি। এজন্য তিনি ব্যথিত। তার অতীত ও বর্তমান সংগ্রামের তুলনা করতে গিয়ে কবরী বলেন, দেশের জন্য লড়াই করতে পেরেছিলাম বলে আমি গর্ববোধ করি। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কবরী তার আজীবন সম্মাননার পুরস্কারটি উৎসর্গ করেন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সব মুক্তিযোদ্ধাকে।
ব্যক্তিগত জীবনের প্রসঙ্গ টেনে কবরী বলেন, প্রতিটা দিন তো আর একরকম যায় না। তবে সকালটা শুরু হয় পত্রিকা দেখে। তাতে খুঁজে দেখি কোন সুখবর বা দুঃখের খবর আছে কিনা? সেগুলো চেক করি। কাজ থাকলে কাজে চলে যাই। পেশাগত কাজের চেয়ে দেশের কাজকে বেশি গুরুত্ব দেই। আমার মন যখন বিদ্রোহী হয়ে ওঠে তখন ইচ্ছা হয় সব তোলপাড় করে সব কথা বলে মনের জ্বালা নিভাই। তিনি বলেন, সংসদ সদস্য থাকার ৫ বছর একটা রুটিন হয়ে গিয়েছিল আমার নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনী এলাকায় যাওয়া। প্রচ- যানজট অতিক্রম করে নিত্যদিনের আসা-যাওয়ায় কখনও ক্লান্ত হইনি। দলের লোকের অসহযোগিতার কারণে হয়তো কাক্সিক্ষত উন্নয়ন করতে পারিনি। কিন্তু আমি তো দেশের জন্য ভূমিকা রেখেছি। কিন্তু পরবর্তীতে কোন সুযোগ দেয়া হলো না। আসলে আমার মনে হয় বাংলাদেশে বেশি মূল্যায়ন হয় চাটুকারদের। সেখানে মেধার কোন দাম নেই। যে যত বেশি চাটুকারিতা করতে পারবে সে তত বেশি সুযোগ পাবে। এটাই মনে হয় রাজনীতিতে নিয়ম হয়ে গেছে। আমি যে ৫ বছর কাজ করলাম, ভাল না মন্দ, প্রধানমন্ত্রী কী আমাকে ডেকে জিজ্ঞেস করেছেন?
চলচ্চিত্র জীবন নিয়ে কবরী বলেন, চলচ্চিত্র হলো চলমান একটা জিনিস। যেমন যতদিন একটা সুস্থ মানুষের দেহে প্রাণ থাকবে, চোখে দেখবে, কানে শুনবে, তার হাত-পা কাজ করবে ততদিন চলমান জীবন তার। এই চলমান জীবনে সে কী কোন দিন বাধাগ্রস্ত হয়নি? অবশ্যই হয়েছে। সে বিশ্ববিখ্যাত কবিই হোক, অনেক বড় ধরনের সেলিব্রিটি হোক, আর প্রধানমন্ত্রী হোক। প্রত্যেকের জীবনে কিছু না কিছু আছে। কিছু আমরা জানি, কিছু জানি না। কিছু লুকায়িত কিছু ওপেন। কিছু ক্লোজ ডোরে থাকে কিছু ওপেন হয়ে থাকে। এ দুনিয়াটা কিন্তু এরকম। আমি চলচ্চিত্রে যেমন সফল, রাজনীতিতেও সফল। ইলেকশন করেছি এবং বিজয়ী হয়েছি। আমি দুই জায়গায়ই সার্থক।
দেশি খাবার বরাবরই পছন্দ কবরীর। বলেন, মা যখন চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা বানাতেন, খেজুরের গুড় দিয়ে চুলার পাশে বসে খাওয়ার মধ্যে যে আনন্দ সেটা কী পেস্টি আর পিজাতে পাওয়া যায়? বিদেশি খাবার তো ওয়ান টাইম। বড় মাছ পছন্দ। তবে সব সময় না। ঝাল অনেক পছন্দ। রান্না করতে খুব ইচ্ছা করে। কিন্তু এখন করি না। সবাইকে নিয়ে আড্ডা খুব পছন্দ করি। অতীতকে মনে রাখি না। যেমন কারও সঙ্গে যদি কোন কারণে মান-অভিমান হয়, তাহলে সেটা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করি। জীবনটা কয়দিনের? আফ্রিকা আর চীন ছাড়া আর সব দেশই ভ্রমণ করেছি। পছন্দের পোশাক শাড়ি। তবে ইদানীং ওয়েস্টার্ন কাপড় পছন্দ করি। কারণ, একটা প্যান্ট আর শার্ট পরেই চলা যায়। আর শাড়ি পরে বড় বড় এয়ারপোর্টে হাঁটা যায় না। জীবনের শুরুটাই তো হয়েছে গাঢ় মেকাপ আর সাজসজ্জার মধ্য দিয়ে। তবে ব্যবহার করার চেয়ে দেখতে বেশি ভাল লাগে। কারা তৈরি করেছে, কোন ব্রান্ড ইত্যাদি।
কবরী বলেন, নির্বাচনের সময় আমার স্বামী আমাকে ডিভোর্স দিয়েছেন। আমি তো মরে যেতে পারতাম। কিন্তু তা করিনি। কারণ, এক্স ওয়াই জেড কেউ কিছু করলে কিছু যায় আসে না। কিন্তু কবরী করলে যায় আসে। তাই করিনি। তারা চেয়েছে ডিভোর্স দিলে আমি ঘরে ঢুকে যাবো। বসে বসে কান্না করবো। কাউকে মুখ দেখাতে পারবো না। সুইসাইড করবো। কিন্তু আমি এর কিছুই করিনি। আল্লাহ আমার মনটাকে কঠিন করে দিয়েছেন। আমাকে মানসিকভাবে দুর্বল করে দেয়ার জন্য, আমার স্বামীকে প্ররোচনা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের তার আত্মীয়স্বজনরা। সে একা এ কাজ করতে পারেন না। এটা করেছেন। আমি সোজা চলে গেছি নারায়ণগঞ্জে। মাঠে নেমে গেছি। মানুষের ভালবাসায় জয়ী হয়ে এসেছি।
No comments