গাঁজা ও হেরোইনসহ তরুণ আটক: হেরোইনের কথা গোপন করেন এএসআই
গাঁজা আর হেরোইনসহ শিপন নামের এক তরুণকে গত সোমবার ভোরে আটক করেন ঢাকার সাভার মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হুমায়ুন কবির। কিন্তু হেরোইন উদ্ধারের বিষয়টি গোপন রেখে কয়েক পুরিয়া গাঁজাসহ তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ভ্রাম্যমাণ আদালতে। আদালত তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
আদালতের নির্দেশে জরিমানার টাকা আদায় করে শিপনকে ছেড়ে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। শিপন সাভারের নিমেরটেক এলাকার আক্তার আলীর ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা আর হেরোইনের ব্যবসা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গতকাল ভোরে ওই এলাকা থেকেই ইয়াবা ও হেরোইনসহ পুলিশ তাঁকে আটক করে।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এএসআই হুমায়ুন কবির বলেন, শিপনকে গাঁজা ও হেরোইনসহ গ্রেপ্তারের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ
দেন। তাঁর (শিপন) কাছে কী পরিমাণ হেরোইন পাওয়া গেছে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সাভারের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. যুবায়ের বলেন, আট পুরিয়া গাঁজাসহ শিপনকে তাঁর আদালতে পাঠানো হয়েছিল। অভিযুক্তের সঙ্গে থানা থেকে পাঠানো আবেদনপত্রে ওই আট পুরিয়া গাঁজাসহ তাঁকে আটকের কথা বলা হয়। হেরোইন উদ্ধারের বিষয়টি আদালতকে জানানো হয়নি। ওই আবেদনে অভিযুক্তের বয়স উল্লেখ করা হয় মাত্র ১৩ বছর। এ কারণে তাঁকে সাজা না দিয়ে জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, শিপনকে আটকের পরপরই স্বজনেরা টাকার বিনিময়ে তাঁকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। একপর্যায়ে টাকার বিষয়টি রফা হলেও এএসআই হুমায়ুন কৌশলগত কারণে তাঁকে থানা থেকে ছেড়ে না দিয়ে আদালতে সোপর্দ করেন। আর আদালতের মাধ্যমে সহজে মুক্ত করার জন্য তিনি শিপনের প্রকৃত বয়সসহ হেরোইন উদ্ধারের বিষয়টি গোপন রাখেন। শিপনের বয়স ১৮ বছরের বেশি বলে জানান তাঁরা।
বিকেল পৌনে চারটার দিকে পুনরায় যোগাযোগ করা হলে এএসআই হুমায়ুন কবির বলেন, হেরোইনসহ আটক কোনো ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজা দেওয়ার এখতিয়ার নেই। এ কারণে হেরোইনের বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল।
বিচারক মো. যুবায়ের বলেন, ‘হেরোইনসহ আটক কোনো ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজা দেওয়ার এখতিয়ার নেই সত্য, কিন্তু হেরোইনসহ আদালতে উপস্থাপন করা হলে থানাকে তাঁর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রজুর আদেশ দিতে পারতাম। পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দিতাম না।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল আজীম গতকাল রাত আটটার দিকে বলেন, বিষয়টি জানার পর শিপনকে আটকের জন্য এএসআই হুমায়ুনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরপরই শিপনকে পুনরায় আটক করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রজুর প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
আদালতের নির্দেশে জরিমানার টাকা আদায় করে শিপনকে ছেড়ে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। শিপন সাভারের নিমেরটেক এলাকার আক্তার আলীর ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা আর হেরোইনের ব্যবসা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গতকাল ভোরে ওই এলাকা থেকেই ইয়াবা ও হেরোইনসহ পুলিশ তাঁকে আটক করে।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এএসআই হুমায়ুন কবির বলেন, শিপনকে গাঁজা ও হেরোইনসহ গ্রেপ্তারের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ
দেন। তাঁর (শিপন) কাছে কী পরিমাণ হেরোইন পাওয়া গেছে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সাভারের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. যুবায়ের বলেন, আট পুরিয়া গাঁজাসহ শিপনকে তাঁর আদালতে পাঠানো হয়েছিল। অভিযুক্তের সঙ্গে থানা থেকে পাঠানো আবেদনপত্রে ওই আট পুরিয়া গাঁজাসহ তাঁকে আটকের কথা বলা হয়। হেরোইন উদ্ধারের বিষয়টি আদালতকে জানানো হয়নি। ওই আবেদনে অভিযুক্তের বয়স উল্লেখ করা হয় মাত্র ১৩ বছর। এ কারণে তাঁকে সাজা না দিয়ে জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, শিপনকে আটকের পরপরই স্বজনেরা টাকার বিনিময়ে তাঁকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। একপর্যায়ে টাকার বিষয়টি রফা হলেও এএসআই হুমায়ুন কৌশলগত কারণে তাঁকে থানা থেকে ছেড়ে না দিয়ে আদালতে সোপর্দ করেন। আর আদালতের মাধ্যমে সহজে মুক্ত করার জন্য তিনি শিপনের প্রকৃত বয়সসহ হেরোইন উদ্ধারের বিষয়টি গোপন রাখেন। শিপনের বয়স ১৮ বছরের বেশি বলে জানান তাঁরা।
বিকেল পৌনে চারটার দিকে পুনরায় যোগাযোগ করা হলে এএসআই হুমায়ুন কবির বলেন, হেরোইনসহ আটক কোনো ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজা দেওয়ার এখতিয়ার নেই। এ কারণে হেরোইনের বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল।
বিচারক মো. যুবায়ের বলেন, ‘হেরোইনসহ আটক কোনো ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজা দেওয়ার এখতিয়ার নেই সত্য, কিন্তু হেরোইনসহ আদালতে উপস্থাপন করা হলে থানাকে তাঁর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রজুর আদেশ দিতে পারতাম। পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দিতাম না।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল আজীম গতকাল রাত আটটার দিকে বলেন, বিষয়টি জানার পর শিপনকে আটকের জন্য এএসআই হুমায়ুনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরপরই শিপনকে পুনরায় আটক করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রজুর প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
No comments