কাঁচামরিচে ঝাঁজ বাড়ছেই
হঠাৎ করেই সবজির বাজারে দামের উত্তাপ। বিশেষত কাঁচামরিচের দাম খুবই চড়া। বৃষ্টি আর খারাপ আবহাওয়ার কারণ দেখিয়ে বিক্রেতারা দাম বাড়াচ্ছেন বিভিন্ন পণ্যের। কয়েক দিন ধরে হু হু করে বাড়ছে কাঁচামরিচের দাম। বর্তমানে মরিচের দাম গিয়ে ঠেকেছে ৮০ টাকায়। বিক্রেতা আবুল বাশার বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে মরিচক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। মোকামে পণ্য সংকট। চাহিদা অনুযায়ী পাওয়া যাচ্ছে না। সে কারণে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে। এ ছাড়া পিয়াজের বাজারও চড়া। কাওরান বাজারের বিক্রেতা মো. জলিল বলেন, প্রতি কেজি ভারতীয় পিয়াজ ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা ঈদের আগে ছিল মাত্র ৩৫ টাকা। দেশী পিয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। যা আগে ছিল মাত্র ৪০ টাকা। খলিল বলেন, একদিকে বৃষ্টি। অন্যদিকে ভারত থেকে পিয়াজ কম আসছে। তাই দাম বেড়েছে । সবজির মধ্যে সব চেয়ে দাম বেশি পুঁই শাকের। ভালমানের এক আঁটি পুঁইশাক বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। এছাড়া অন্য শাকের দামও চড়া। ঈদের আগে এ সব শাকের দাম ছিল অনেক কম। হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে বিক্রেতারা বলেন, বৃষ্টিতে সব ডুবে গেছে। আড়তে পণ্য নেই। দাম তো বাড়বেই। সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে, মাছের বাজারে চাষের কিছু মাছ বাদে বাকি মাছ কেনার সামর্থ্য থাকছে না।
কয়েক মাস আগের অসময়ের বৃষ্টিতে সেখানে আবাদকৃত পিয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। ফলে এখন পিয়াজের দর ভারতে কেজিপ্রতি ৪০ রুপিতে উঠেছে। স্বাভাবিকভাবেই দামের আঁচ লেগেছে বাংলাদেশের বাজারেও। খুচরা বাজারে ভাল মানের পিয়াজের কেজি উঠেছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, যা ঈদের আগের তুলনায়ও ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বেশি। গতকাল রাজধানীর জুরাইন, মীরহাজিরবাগ, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, কাওরান বাজারসহ বেশ কিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ সবজির দামই কেজিপ্রতি ৫০ টাকা বা তার বেশি। বর্তমান বাজারে প্রতিকেজি ঝিঙা, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স, ধুন্দল ও করলা কিনতে ব্যয় করতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। জালি কুমড়া প্রতিটি ২৫-৩০ টাকায় ঠেকেছে। এখন পেঁপের কেজি ৩০-৩৫ টাকা। এছাড়া বেগুন ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, কচুরমুখী ৫০ টাকা, লতি ৫০ টাকা, কুমড়া ৩৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও লেবু হালিপ্রতি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাওরান বাজারের আড়ত মালিক মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, সবজির মাঠ পচে গেছে। দাম বাড়ার একটাই কারণ, আর কিছু নেই। আগে যে মাঠ থেকে ২০ মণ সবজি পাওয়া যেত এখন সেখানে দুই মণও মিলছে না। অবশ্য মাংসের দাম বাড়েনি, বরং ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৫০ টাকা হয়েছে। এছাড়া সব ধরনের ডালের দামই বাড়ছে। বিশেষত দেশী মসুর ডালের কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা। বিক্রেতা মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ঈদের আগে প্রতিকেজি দেশী মসুর ডালের দাম ছিল ১১০ টাকা। বর্তমানে তা ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ টাকা বাড়লেও ঈদের আগের তুলনায় ডালের কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। চালের বাজারেও উত্তাপ। বিক্রেতা খোরশেদ জানান, মোটা ও মিনিকেটের কেজিতে বেড়েছে ২ টাকা। অন্যান্য চালেও ধীরে ধীরে দাম বাড়ছে বলে জানান তিনি। বাজারে বড় অস্বস্তি তৈরি হয়েছে পিয়াজের দামে। এর পেছনের কারণও বৃষ্টি। তবে এখনকার নয়, কয়েক মাস আগের। তখন বৃষ্টিতে ভারতে পিয়াজের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সে কারণে ওই দেশে পিয়াজের কেজিপ্রতি দর ৪০ রুপিতে উঠেছে। গতকাল শ্যামবাজারের আড়তে প্রতিকেজি দেশী পিয়াজ ৪৫-৪৬ টাকা, ভারতীয় পিয়াজ ৫০-৫১ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা।
কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, বেশ কিছু দিন বৃষ্টি হওয়ায় পণ্যেও সরবরাহ কমে গেছে। তাই দাম বেড়ে গেছে। ভারতীয় পিয়াজের দাম বাড়ার কারণ থাকলেও দেশী পিয়াজের দাম বাড়ার কোন কারণ নেই বলে জানান দুদকের এই সাবেক চেয়ারম্যান।
কয়েক মাস আগের অসময়ের বৃষ্টিতে সেখানে আবাদকৃত পিয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। ফলে এখন পিয়াজের দর ভারতে কেজিপ্রতি ৪০ রুপিতে উঠেছে। স্বাভাবিকভাবেই দামের আঁচ লেগেছে বাংলাদেশের বাজারেও। খুচরা বাজারে ভাল মানের পিয়াজের কেজি উঠেছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, যা ঈদের আগের তুলনায়ও ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বেশি। গতকাল রাজধানীর জুরাইন, মীরহাজিরবাগ, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, কাওরান বাজারসহ বেশ কিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ সবজির দামই কেজিপ্রতি ৫০ টাকা বা তার বেশি। বর্তমান বাজারে প্রতিকেজি ঝিঙা, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স, ধুন্দল ও করলা কিনতে ব্যয় করতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। জালি কুমড়া প্রতিটি ২৫-৩০ টাকায় ঠেকেছে। এখন পেঁপের কেজি ৩০-৩৫ টাকা। এছাড়া বেগুন ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, কচুরমুখী ৫০ টাকা, লতি ৫০ টাকা, কুমড়া ৩৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও লেবু হালিপ্রতি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাওরান বাজারের আড়ত মালিক মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, সবজির মাঠ পচে গেছে। দাম বাড়ার একটাই কারণ, আর কিছু নেই। আগে যে মাঠ থেকে ২০ মণ সবজি পাওয়া যেত এখন সেখানে দুই মণও মিলছে না। অবশ্য মাংসের দাম বাড়েনি, বরং ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৫০ টাকা হয়েছে। এছাড়া সব ধরনের ডালের দামই বাড়ছে। বিশেষত দেশী মসুর ডালের কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা। বিক্রেতা মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ঈদের আগে প্রতিকেজি দেশী মসুর ডালের দাম ছিল ১১০ টাকা। বর্তমানে তা ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ টাকা বাড়লেও ঈদের আগের তুলনায় ডালের কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। চালের বাজারেও উত্তাপ। বিক্রেতা খোরশেদ জানান, মোটা ও মিনিকেটের কেজিতে বেড়েছে ২ টাকা। অন্যান্য চালেও ধীরে ধীরে দাম বাড়ছে বলে জানান তিনি। বাজারে বড় অস্বস্তি তৈরি হয়েছে পিয়াজের দামে। এর পেছনের কারণও বৃষ্টি। তবে এখনকার নয়, কয়েক মাস আগের। তখন বৃষ্টিতে ভারতে পিয়াজের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সে কারণে ওই দেশে পিয়াজের কেজিপ্রতি দর ৪০ রুপিতে উঠেছে। গতকাল শ্যামবাজারের আড়তে প্রতিকেজি দেশী পিয়াজ ৪৫-৪৬ টাকা, ভারতীয় পিয়াজ ৫০-৫১ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা।
কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, বেশ কিছু দিন বৃষ্টি হওয়ায় পণ্যেও সরবরাহ কমে গেছে। তাই দাম বেড়ে গেছে। ভারতীয় পিয়াজের দাম বাড়ার কারণ থাকলেও দেশী পিয়াজের দাম বাড়ার কোন কারণ নেই বলে জানান দুদকের এই সাবেক চেয়ারম্যান।
No comments