ভাঙছে বেড়িবাঁধ, ডুবে আছে সড়ক: নোয়াখালীতে নৌকাডুবিতে নারীর মৃত্যু
কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী ইউনিয়নের ষাইটপাড়া বেড়িবাঁধের আধা কিলোমিটার এলাকা সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। ছবি-প্রথম আলো |
বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও পূর্ণিমার জোয়ার এবং মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর স্রোতের তোড়ে কক্সবাজারে বিভিন্ন উপজেলার বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙছে পাকা সড়ক। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও ফেনীর বিভিন্ন উপজেলার গ্রামীণ সড়কগুলো এখনো তলিয়ে আছে। গতকাল সোমবার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বন্যার পানিতে ডুবে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকার বাইরে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
কক্সবাজার: বৃষ্টিপাত বন্ধ থাকায় কক্সবাজার সদর, রামু ও উখিয়া উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে বঙ্গোপসাগরে পূর্ণিমার জোয়ার এবং মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর স্রোতে রামু, কুতুবদিয়া ও পেকুয়ার বিভিন্ন এলাকায় পাকা সড়ক ও বেড়িবাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম জানান, বাঁকখালী নদীর স্রোতে নাইক্ষ্যংছড়ি-কচ্ছপিয়া-দোছড়ি সড়কের কয়েকটি অংশ ভেঙে যাচ্ছে।
৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল হাসান মোরশেদ জানান, এই সড়কের নারকেলবাগান ও তুলাতলী অংশ ভেঙে যাওয়ায় লেম্বুছড়ি বিজিবি সীমান্ত ফাঁড়ি ও বিওপিগুলোতে মালামাল আনা-নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পূর্ণিমার জোয়ারে কয়েক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে কুতুবদিয়ার ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বন্যার পানিতে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বটতলী-ফারিরবিল সড়ক, পালংখালী-মোছারখোলা সড়ক, থাইংখালী-রহমতের বিল সড়ক, থাইংখালী-আনজুমানপাড়া সড়ক ও থাইংখালী-তেলখোলা সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে।
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জি এম রহিম উল্লাহ জানান, উপজেলায় এক লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দী।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলার আট উপজেলায় ছয় লাখ মানুষ পানিবন্দী।
এদিকে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়ার ১২৫টি গোলাপ বাগান। চকরিয়ার পশ্চিম বরইতলী গ্রামের মোহাম্মদ আলম জানান, এ বছর তাঁর বাগানের ছয় হাজার গাছে গোলাপ ফুটেছে ২০ হাজারের মতো। কিন্তু ছয় দিনের বন্যায় প্রায় সব ফুল শেষ।
বরইতলী গোলাপ বাগান মালিক সমিতির আহ্বায়ক মঈনুল ইসলাম জানান, বন্যায় বরইতলীর ১১৯টি গোলাপবাগান শেষ হয়ে গেছে।
টেকনাফ: কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নে গতকাল সোমবার সকালে বঙ্গোপসাগরের প্রবল জোয়ারে ২০০ ফুট বেড়িবাঁধ ও রিং বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে শাহপরীর দ্বীপের পাঁচ গ্রামের দুই শতাধিক ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। ভেসে গেছে ২০০ বিঘার মাছের ঘের।
মহেশখালী: সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম পাশের বেড়িবাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, ষাইটপাড়ার পশ্চিম পাশে প্রায় আধা কিলোমিটার বাঁধ ভেঙে সাগরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরী বলেন, জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ সংস্কার করা প্রয়োজন। তা না হলে পুরো ইউনিয়ন সাগরে তলিয়ে যাবে।
চকরিয়া ও পেকুয়া: কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার উপকূলীয় ১১টি ইউনিয়ন থেকে বন্যা ও জোয়ারের পানি নেমে যাচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্র, বেড়িবাঁধ, উঁচু ভবন ও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া লোকজন বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে।
পেকুয়ার ইউএনও মো. মারুফুর রশিদ খান বলেন, বন্যা পরিস্থিতির ৮৫ ভাগ উন্নতি হয়েছে।
ফেনী: আট দিন পর ফেনী সদর ও দাগনভূঞা উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গত দুই দিন বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে। তবে গ্রামীণ সড়কগুলো এখনো তলিয়ে আছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, দাগনভূঞার ছয় ইউনিয়নের ৬০টি গ্রাম, ফেনী সদরের দুটি ইউনিয়নের ২৫টি গ্রাম এবং ফুলগাজী উপজেলার দুটি ইউনিয়নের আটটি গ্রামসহ ৯৩টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়েছে। এতে দাগনভূঞার ৩০ হাজার মানুষ, ফেনী সদর উপজেলায় ১২ হাজার ৬৬০ এবং ফুলগাজী উপজেলার ৫ হাজার ৮০০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্র জানায়, বন্যায় জেলার ১ হাজার ৬৩ হেক্টর জমির আমনের বীজতলা, ২৫০ হেক্টর আউশ ধান ও ৮৯ হেক্টর রোপা আমন এবং ১৫৯ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজিখেতের ক্ষতি হয়েছে।
বন্যায় এক হাজার পুকুর ও খামারের মাছ ভেসে গেছে। প্রায় ২০০ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক ও ৮০ কিলোমিটার পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নোয়াখালী: গত দুই দিন তেমন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো জেলার বন্যাকবলিত নয়টি উপজেলার বেশির ভাগ গ্রামীণ সড়ক পানির নিচে।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে বন্যার পানিতে নৌকাডুবির ঘটনায় সারেজাহান বেগম (৫০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। সারেজাহান নৌকাযোগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি যাচ্ছিলেন।
সাতকানিয়া: চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বিভিন্ন গ্রাম থেকে বন্যার পানি সরে গেছে। এতে সড়কের ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ফুটে উঠেছে। স্থানীয় সূত্রমতে, পানিতে ডুবে যাওয়া সব গ্রামীণ সড়কেরই কমবেশি ক্ষতি হয়েছে।
বন্যায় উপজেলার অন্তত চার শ মৎস্যচাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার অন্তত ৫৫০টি পুকুর ও ১৫০টি মৎস্য খামার তলিয়ে যায়। এতে প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আনোয়ারা: চট্টগ্রামের আনোয়ারার শঙ্খ নদ ও সমুদ্রতীরের ইউনিয়নগুলোর পানি ভাটার সময় নামলেও পূর্ব আনোয়ারার ২০টির বেশি গ্রামের পানি নামছে না। পূর্ব আনোয়ারার পরৈকোড়া এবং হাইলধর ইউনিয়নের শিলালিয়া, হেটিখাইন, মুরালী, পূর্ব কন্যারা, ভিংরোল, মামুরখাইন, ওষখাইন, দেওতলা, তিশরী, পাটনীকোটা ও খাসখামা থেকে এখনো পানি নামেনি। সব মিলিয়ে ২০টির বেশি গ্রামের মানুষ এখনো পানিবন্দী।
পরৈকোড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাহেব নুর প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখনো আমরা হাঁটুপানির মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। কোনো কোনো এলাকায় কোমরসমান পানিও আছে।’
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, বন্যার কারণে উপজেলার ১ লাখ ৯৪ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
{প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার; ফেনী ও নোয়াখালী অফিস; টেকনাফ ও মহেশখালী (কক্সবাজার) এবং সাতকানিয়া ও আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি}
ঢাকার বাইরে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
কক্সবাজার: বৃষ্টিপাত বন্ধ থাকায় কক্সবাজার সদর, রামু ও উখিয়া উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে বঙ্গোপসাগরে পূর্ণিমার জোয়ার এবং মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর স্রোতে রামু, কুতুবদিয়া ও পেকুয়ার বিভিন্ন এলাকায় পাকা সড়ক ও বেড়িবাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম জানান, বাঁকখালী নদীর স্রোতে নাইক্ষ্যংছড়ি-কচ্ছপিয়া-দোছড়ি সড়কের কয়েকটি অংশ ভেঙে যাচ্ছে।
৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল হাসান মোরশেদ জানান, এই সড়কের নারকেলবাগান ও তুলাতলী অংশ ভেঙে যাওয়ায় লেম্বুছড়ি বিজিবি সীমান্ত ফাঁড়ি ও বিওপিগুলোতে মালামাল আনা-নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পূর্ণিমার জোয়ারে কয়েক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে কুতুবদিয়ার ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বন্যার পানিতে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বটতলী-ফারিরবিল সড়ক, পালংখালী-মোছারখোলা সড়ক, থাইংখালী-রহমতের বিল সড়ক, থাইংখালী-আনজুমানপাড়া সড়ক ও থাইংখালী-তেলখোলা সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে।
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জি এম রহিম উল্লাহ জানান, উপজেলায় এক লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দী।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলার আট উপজেলায় ছয় লাখ মানুষ পানিবন্দী।
এদিকে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়ার ১২৫টি গোলাপ বাগান। চকরিয়ার পশ্চিম বরইতলী গ্রামের মোহাম্মদ আলম জানান, এ বছর তাঁর বাগানের ছয় হাজার গাছে গোলাপ ফুটেছে ২০ হাজারের মতো। কিন্তু ছয় দিনের বন্যায় প্রায় সব ফুল শেষ।
বরইতলী গোলাপ বাগান মালিক সমিতির আহ্বায়ক মঈনুল ইসলাম জানান, বন্যায় বরইতলীর ১১৯টি গোলাপবাগান শেষ হয়ে গেছে।
টেকনাফ: কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নে গতকাল সোমবার সকালে বঙ্গোপসাগরের প্রবল জোয়ারে ২০০ ফুট বেড়িবাঁধ ও রিং বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে শাহপরীর দ্বীপের পাঁচ গ্রামের দুই শতাধিক ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। ভেসে গেছে ২০০ বিঘার মাছের ঘের।
মহেশখালী: সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম পাশের বেড়িবাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, ষাইটপাড়ার পশ্চিম পাশে প্রায় আধা কিলোমিটার বাঁধ ভেঙে সাগরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরী বলেন, জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ সংস্কার করা প্রয়োজন। তা না হলে পুরো ইউনিয়ন সাগরে তলিয়ে যাবে।
চকরিয়া ও পেকুয়া: কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার উপকূলীয় ১১টি ইউনিয়ন থেকে বন্যা ও জোয়ারের পানি নেমে যাচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্র, বেড়িবাঁধ, উঁচু ভবন ও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া লোকজন বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে।
পেকুয়ার ইউএনও মো. মারুফুর রশিদ খান বলেন, বন্যা পরিস্থিতির ৮৫ ভাগ উন্নতি হয়েছে।
ফেনী: আট দিন পর ফেনী সদর ও দাগনভূঞা উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গত দুই দিন বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে। তবে গ্রামীণ সড়কগুলো এখনো তলিয়ে আছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, দাগনভূঞার ছয় ইউনিয়নের ৬০টি গ্রাম, ফেনী সদরের দুটি ইউনিয়নের ২৫টি গ্রাম এবং ফুলগাজী উপজেলার দুটি ইউনিয়নের আটটি গ্রামসহ ৯৩টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়েছে। এতে দাগনভূঞার ৩০ হাজার মানুষ, ফেনী সদর উপজেলায় ১২ হাজার ৬৬০ এবং ফুলগাজী উপজেলার ৫ হাজার ৮০০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্র জানায়, বন্যায় জেলার ১ হাজার ৬৩ হেক্টর জমির আমনের বীজতলা, ২৫০ হেক্টর আউশ ধান ও ৮৯ হেক্টর রোপা আমন এবং ১৫৯ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজিখেতের ক্ষতি হয়েছে।
বন্যায় এক হাজার পুকুর ও খামারের মাছ ভেসে গেছে। প্রায় ২০০ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক ও ৮০ কিলোমিটার পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নোয়াখালী: গত দুই দিন তেমন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো জেলার বন্যাকবলিত নয়টি উপজেলার বেশির ভাগ গ্রামীণ সড়ক পানির নিচে।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে বন্যার পানিতে নৌকাডুবির ঘটনায় সারেজাহান বেগম (৫০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। সারেজাহান নৌকাযোগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি যাচ্ছিলেন।
সাতকানিয়া: চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বিভিন্ন গ্রাম থেকে বন্যার পানি সরে গেছে। এতে সড়কের ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ফুটে উঠেছে। স্থানীয় সূত্রমতে, পানিতে ডুবে যাওয়া সব গ্রামীণ সড়কেরই কমবেশি ক্ষতি হয়েছে।
বন্যায় উপজেলার অন্তত চার শ মৎস্যচাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার অন্তত ৫৫০টি পুকুর ও ১৫০টি মৎস্য খামার তলিয়ে যায়। এতে প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আনোয়ারা: চট্টগ্রামের আনোয়ারার শঙ্খ নদ ও সমুদ্রতীরের ইউনিয়নগুলোর পানি ভাটার সময় নামলেও পূর্ব আনোয়ারার ২০টির বেশি গ্রামের পানি নামছে না। পূর্ব আনোয়ারার পরৈকোড়া এবং হাইলধর ইউনিয়নের শিলালিয়া, হেটিখাইন, মুরালী, পূর্ব কন্যারা, ভিংরোল, মামুরখাইন, ওষখাইন, দেওতলা, তিশরী, পাটনীকোটা ও খাসখামা থেকে এখনো পানি নামেনি। সব মিলিয়ে ২০টির বেশি গ্রামের মানুষ এখনো পানিবন্দী।
পরৈকোড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাহেব নুর প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখনো আমরা হাঁটুপানির মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। কোনো কোনো এলাকায় কোমরসমান পানিও আছে।’
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, বন্যার কারণে উপজেলার ১ লাখ ৯৪ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
{প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার; ফেনী ও নোয়াখালী অফিস; টেকনাফ ও মহেশখালী (কক্সবাজার) এবং সাতকানিয়া ও আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি}
No comments