ক্যানসার মৃত্যুর পরোয়ানা নয় -ক্যানসারে আক্রান্ত মনীষা কৈরালা
মনীষা কৈরালা |
অনলাইন ডেস্ক | ০৪ আগস্ট, ২০১৫ঃ
নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বই লিখবেন মনীষা কৈরালা। সবাইকে বলবেন, ক্যানসার মৃত্যুর পরোয়ানা নয়। সম্প্রতি এমনটিই জানিয়েছেন ক্যানসার থেকে সেরে ওঠা বলিউডের এ অভিনেত্রী। বই লেখার পাশাপাশি চলচ্চিত্র তৈরির আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। স্বামী-সন্তান নিয়ে সুখে ঘর করার স্বপ্নের কথাও জানিয়েছেন ৪৫ বছর বয়সী মনীষা। জীবনের কঠিনতম সময়ই পার করছেন নেপালি বংশোদ্ভূত বলিউডের অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা। ২০১২ সালের নভেম্বরে তাঁর ডিম্বাশয়ে ক্যানসার ধরা পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘমেয়াদি উন্নত চিকিৎসা শেষে পরের বছরের মে মাসে তাঁকে ‘ক্যানসারমুক্ত’ ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এরপর দুই বছর পেরিয়ে গেছে। তৃতীয় বছরটা ‘ক্যানসারমুক্ত’ অবস্থায় পার করতে পারলে ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে চূড়ান্ত জয় পাবেন। এগিয়ে যেতে পারবেন সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনের পথে। সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে মুম্বাই মিরর। পাঁচ বেডরুমের বিলাসবহুল পেন্টহাউস অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন মনীষা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্বীকার করেন, স্বামী ও সন্তান নিয়ে থাকবেন— এমন ভাবনা থেকেই অ্যাপার্টমেন্টটি কিনেছেন।
মনীষা বলেন, ‘যেদিন আমি জানতে পারব, আমি পুরোপুরি সুস্থ সেদিন আমি দুটি শিশু দত্তক নেব। একটি মেয়ে ও একটি ছেলে। জীবন নিয়ে আমার কিছু প্রত্যাশা আছে। আমি ঠিক নিশ্চিত নই, সেগুলো পূরণ হবে কি না। পূরণ হলে আমি হয়তো বিয়ে করব। তবে আপাতত দত্তক নেওয়া সন্তান নিয়েই পরিবার গড়ার স্বপ্ন দেখছি। আশা করছি, আগামী বছর তা সম্ভব হবে।’
ফেসবুকে নেপালি ব্যবসায়ী সম্রাট দাহালের সঙ্গে পরিচয়ের পর ২০১০ সালে তাঁকে বিয়ে করেন নেপালের সম্ভ্রান্ত কৈরালা পরিবারের মেয়ে মনীষা। বিয়ের পর ফিনল্যান্ডে মধুচন্দ্রিমায় যান। কিন্তু খুব বেশিদিন ঘর করা হয়নি মনীষার। মাত্র দুই বছরের মাথায় সম্রাটের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
মনীষা বলেন, ‘যেদিন আমি জানতে পারব, আমি পুরোপুরি সুস্থ সেদিন আমি দুটি শিশু দত্তক নেব। একটি মেয়ে ও একটি ছেলে। জীবন নিয়ে আমার কিছু প্রত্যাশা আছে। আমি ঠিক নিশ্চিত নই, সেগুলো পূরণ হবে কি না। পূরণ হলে আমি হয়তো বিয়ে করব। তবে আপাতত দত্তক নেওয়া সন্তান নিয়েই পরিবার গড়ার স্বপ্ন দেখছি। আশা করছি, আগামী বছর তা সম্ভব হবে।’
ফেসবুকে নেপালি ব্যবসায়ী সম্রাট দাহালের সঙ্গে পরিচয়ের পর ২০১০ সালে তাঁকে বিয়ে করেন নেপালের সম্ভ্রান্ত কৈরালা পরিবারের মেয়ে মনীষা। বিয়ের পর ফিনল্যান্ডে মধুচন্দ্রিমায় যান। কিন্তু খুব বেশিদিন ঘর করা হয়নি মনীষার। মাত্র দুই বছরের মাথায় সম্রাটের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
ক্যানসারে আক্রান্ত মনীষা কৈরালা
আপডেট তারিখ: ২৯-১১-২০১২
প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য সম্প্রতি মুম্বাইয়ের পেডার রোডে অবস্থিত জাসলক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল নেপালি বংশোদ্ভূত বলিউডি অভিনেত্রী মনীষা কৈরালাকে। স্বাস্থ্যপরীক্ষায় ক্যানসার ধরা পড়েছে তাঁর। সম্প্রতি এক খবরে জিনিউজ ব্যুরো জানিয়েছে, জাসলক হাসপাতালেই তাঁর চিকিত্সা চলবে।
জাসলক হাসপাতালের মুখপাত্র কৃষ্ণকান্ত দেশম বলেছেন, ‘২৮ নভেম্বর বুধবার আমাদের হাসাপাতালে ভর্তি হয়েছেন মনীষা কৈরালা।’
মনীষার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নভেম্বর মাসের শুরু থেকে কাঠমান্ডুতে অবস্থান করছিলেন এ অভিনেত্রী। সেখানে তিনি নিজের নতুন বাড়ি তৈরির কাজ করছিলেন। কদিন আগে হঠাত্ অসুস্থ হয়ে পড়েন মনীষা। সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার একটি ওবেসাইটে তিনি জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।
এই ঘটনার পর হঠাত্ অচেতন হয়ে পড়লে মনীষাকে নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। দ্রুত তাঁকে মুম্বাই নিয়ে যান তাঁর মা সুষমা কৈরালা। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য তাঁকে ভর্তি করা হয় জাসলক হাসপাতালে। স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর তাঁর ক্যানসার হয়েছে বলে জানান চিকিত্সকেরা।
মনীষার কাছের এক বন্ধু জানিয়েছেন, অসুস্থতার খবর পেয়ে মোটেও ভেঙে পড়েননি মনীষা। অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এই যুদ্ধে জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী।
নেপালের সম্ভ্রান্ত কৈরালা পরিবারে মনীষার জন্ম ১৯৭০ সালে। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তাঁর দাদা বিশ্বেশ্বর প্রসাদ কৈরালা। মনীষার দুই চাচা গিরিজা প্রসাদ কৈরালা ও মাতৃকা প্রসাদ কৈরালাও নেপালের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। মনীষার বাবা প্রকাশ কৈরালা সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
মনীষা হিন্দি ছবির পাশাপাশি তামিল, তেলেগু, মালয়ালম, বাংলা ও নেপালি ছবিতে কাজ করেছেন। তাঁর অভিনীত প্রথম বলিউডি ছবি ‘সওদাগর’ মুক্তি পায় ১৯৯১ সালে। পরবর্তী সময়ে ‘১৯৪২: এ লাভ স্টোরি’, ‘বোম্বে’, ‘একেলে হাম একেলে তুম’, ‘খামোশি’, ‘গুপ্ত’, ‘দিল সে’, ‘মন’, ‘লজ্জা’, ‘আনোয়ার’সহ বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেন।
মাঝে কিছুদিন অনিয়মিত থাকার পর রাম গোপাল ভার্মার ‘ভূত রিটার্নস’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে সফল প্রত্যাবর্তন ঘটে মনীষার। ১২ অক্টোবর ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর তিনি বলিউডে নিয়মিত হওয়ার পরিকল্পনা করেন। বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাবও পান।
বেশ আটঘাট বেঁধেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মনীষা। শরীরের বাড়তি ওজন কমানোর জন্য নিয়ম করে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানোও শুরু করেছিলেন। সুস্থ হয়ে তিনি আবার চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করবেন—এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
জাসলক হাসপাতালের মুখপাত্র কৃষ্ণকান্ত দেশম বলেছেন, ‘২৮ নভেম্বর বুধবার আমাদের হাসাপাতালে ভর্তি হয়েছেন মনীষা কৈরালা।’
মনীষার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নভেম্বর মাসের শুরু থেকে কাঠমান্ডুতে অবস্থান করছিলেন এ অভিনেত্রী। সেখানে তিনি নিজের নতুন বাড়ি তৈরির কাজ করছিলেন। কদিন আগে হঠাত্ অসুস্থ হয়ে পড়েন মনীষা। সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার একটি ওবেসাইটে তিনি জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।
এই ঘটনার পর হঠাত্ অচেতন হয়ে পড়লে মনীষাকে নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। দ্রুত তাঁকে মুম্বাই নিয়ে যান তাঁর মা সুষমা কৈরালা। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য তাঁকে ভর্তি করা হয় জাসলক হাসপাতালে। স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর তাঁর ক্যানসার হয়েছে বলে জানান চিকিত্সকেরা।
মনীষার কাছের এক বন্ধু জানিয়েছেন, অসুস্থতার খবর পেয়ে মোটেও ভেঙে পড়েননি মনীষা। অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এই যুদ্ধে জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী।
নেপালের সম্ভ্রান্ত কৈরালা পরিবারে মনীষার জন্ম ১৯৭০ সালে। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তাঁর দাদা বিশ্বেশ্বর প্রসাদ কৈরালা। মনীষার দুই চাচা গিরিজা প্রসাদ কৈরালা ও মাতৃকা প্রসাদ কৈরালাও নেপালের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। মনীষার বাবা প্রকাশ কৈরালা সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
মনীষা হিন্দি ছবির পাশাপাশি তামিল, তেলেগু, মালয়ালম, বাংলা ও নেপালি ছবিতে কাজ করেছেন। তাঁর অভিনীত প্রথম বলিউডি ছবি ‘সওদাগর’ মুক্তি পায় ১৯৯১ সালে। পরবর্তী সময়ে ‘১৯৪২: এ লাভ স্টোরি’, ‘বোম্বে’, ‘একেলে হাম একেলে তুম’, ‘খামোশি’, ‘গুপ্ত’, ‘দিল সে’, ‘মন’, ‘লজ্জা’, ‘আনোয়ার’সহ বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেন।
মাঝে কিছুদিন অনিয়মিত থাকার পর রাম গোপাল ভার্মার ‘ভূত রিটার্নস’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে সফল প্রত্যাবর্তন ঘটে মনীষার। ১২ অক্টোবর ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর তিনি বলিউডে নিয়মিত হওয়ার পরিকল্পনা করেন। বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাবও পান।
বেশ আটঘাট বেঁধেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মনীষা। শরীরের বাড়তি ওজন কমানোর জন্য নিয়ম করে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানোও শুরু করেছিলেন। সুস্থ হয়ে তিনি আবার চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করবেন—এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
No comments