বৃষ্টিস্নাত ড্রতেও অর্জন ৬ পয়েন্ট
চার দিন প্রতীক্ষার পর মিরপুর টেস্ট ড্র। অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের হাতে উঠলো ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ৪১ পয়েন্ট নিয়ে সিরিজ শুরু করা টাইগারদের প্রাপ্তি আরও ৬টি পয়েন্ট। তবুও হতাশ মুশফিক। আর ৫ পয়েন্ট হারিয়ে হতাশার সুর দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হাশিম আমলার কণ্ঠেও। টেস্টের পঞ্চম দিন দুই দলের মাঠের লড়াইয়ে ব্যস্ত থাকার কথা ছিল। সেখানে সকালেই সারতে হলো সমাপ্তির আনুষ্ঠানিকতা। এর আগে দুই দল শেষ দিন মাঠে নামার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ঠিক তখনই ৮টা ৫০ মিনিটে ম্যাচ রেফারি ক্রিজ ব্রড দিনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আগের তিন দিনের মতো। এবারই প্রথম বাংলাদেশের কোন টেস্ট বৃষ্টিতে চারদিন ভেসে গেল, এমনকি সিরিজের দুই ম্যাচে ৬ দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার ঘটনা এবার প্রথম। তাই নতুন অভিজ্ঞতায় বিস্মিত হতাশ টাইগার অধিনায়ক। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর টেস্টে দারুণ সূচনা করেছিল মুশফিক বাহিনী। স্বপ্নও ছিল অন্তত একটি টেস্ট জিতে নেয়ার। কিন্তু চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রাবণের ঢল ও ঢাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’-এর ঝাপটায় সেই স্বপ্নের রং পানিতে ধুয়ে গেছে। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এখনও কোন সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপটাও রয়ে গেলো। মাঠের লড়াইয়ে ১০ বার মুখোমুখি হলেও আগের ৮টিতেই ছিল হার। তবে বৃষ্টিতে ভিজে হলেও এই টেস্ট শেষে বাংলাদেশের অন্যতম প্রাপ্তি হয়ে রইলো প্রথমবার সিরিজ ড্র।
১৫ বছরে ৯৪টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ দল। এর মধ্যে জয়ের সংখ্যা মাত্র ৭টি হলেও ড্র এসেছে ১৪টি। এর মধ্যে বৃষ্টির জলে ভেসে ৮ম ও ৯ম ড্রটি এলো প্রোটিয়াদের বিপক্ষেই। ৩০শে জুন দক্ষিণ আফ্রিকা দল বাংলাদেশে আসে ২ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি, তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে। শুরুতেই অবশ্য ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে একটি টি-টোয়েন্টে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে। সেই ম্যাচে হার দিয়ে শুরু করে টাইগাররা। এরপর টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২ ম্যাচ হেরে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় থাকলেও প্রথম ম্যাচে বাজে ভাবে হারে মাশরাফি বাহিনী। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে মিরপুর শেরে বাংলায় জয় তুলে নেয় টাইগাররা। শেষ ওয়ানডেতে চট্টগ্রামে জয় নিয়ে সিরিজও নিজেদের করে নেয় তারা।
চট্টগ্রামে প্রথম টেস্ট মাঠে গড়ায় ২১শে জুলাই। টসে জিতে ব্যাট করতে নামলেও মুস্তাফিজুর রহমান ও জুবায়ের হোসেন লিখনের দুর্দান্ত বোলিং ২৪৮ রানেই গুটিয়ে যায় হাশিম আমলার দল। সুযোগ আসে ব্যাটসম্যানদের কিছু করে দেখানোর। কাজেও লাগায় সেটি। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৫ম বারের মতো সর্বোচ্চ ৭৮ রানের লিড নেয় মুশফিক বাহিনী। কিন্তু সেখান থেকেই শুরু হয় বৃষ্টির গল্প। শেষের দুদিন বৃষ্টিতে ভেসে গেলে টেস্ট ড্র হয় টাইগারদের আক্ষেপ নিয়ে।
এরপর ঢাকায় ৩০শে জুলাই শুরু হওয়া শেষ ও দ্বিতীয় টেস্টে দুই দলেরই স্বপ্ন আকাশের দিকে ডাল-পালা মেলতে থাকে। অবশ্য এর আগেই ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ চোখ রাঙাচ্ছিল। কিন্তু প্রথম দিনটি কাটে সূর্যের হাসিতে। কিনু্ত ৮৮.১ ওভার খেলা হলেও শেষ বিকালে ২৪৬ রান করার পরও হাসতে পারেনি বাংলাদেশ। কারণ এরই মধ্যে হারিয়ে ফেলে ৮টি উইকেট। সুযোগের টেস্টে একমাত্র ৬৭ রান করে অধিনায়কই ছিলেন সেরা। এরপর সেই যে বৃষ্টি শুরু, একে একে তিন দিনই বৃষ্টি। যদিও শেষ ও পঞ্চম দিন সকালে কোন বৃষ্টি ছিল না। সূর্যের মুখই দেখেছিল মিরপুর শেরে বাংলা মাঠ। কিন্তু তিন দিনের প্রবল বর্ষণে মাঠ হয়ে পড়ে খেলার অনুপযুক্ত। তাই দিনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন ম্যাচ রেফারি। তার সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না তার আরেকটি প্রমাণ শেষ দিনও দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে শুরু হয় আবারও বৃষ্টি।
এই সিরিজেই বাংলাদেশ দলের তরুণ বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের অভিষেক হয়। অভিষেক ম্যাচেই এক ওভারে তিনটি ও শেষ পর্যন্ত ৪টি উইকেট নিয়ে হন ম্যাচসেরা। এর আগে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে অভিষেক ম্যাচে ৫টি উইকেট নিয়েও তিনি হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। তাই ক্রিকেটের দুই ফরম্যাটে অভিষেক ম্যাচে ম্যাচসেরা হয়ে বিশ্ব রেকর্ডে প্রবেশ করেন তিনি।
১৫ বছরে ৯৪টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ দল। এর মধ্যে জয়ের সংখ্যা মাত্র ৭টি হলেও ড্র এসেছে ১৪টি। এর মধ্যে বৃষ্টির জলে ভেসে ৮ম ও ৯ম ড্রটি এলো প্রোটিয়াদের বিপক্ষেই। ৩০শে জুন দক্ষিণ আফ্রিকা দল বাংলাদেশে আসে ২ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি, তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে। শুরুতেই অবশ্য ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে একটি টি-টোয়েন্টে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে। সেই ম্যাচে হার দিয়ে শুরু করে টাইগাররা। এরপর টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২ ম্যাচ হেরে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় থাকলেও প্রথম ম্যাচে বাজে ভাবে হারে মাশরাফি বাহিনী। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে মিরপুর শেরে বাংলায় জয় তুলে নেয় টাইগাররা। শেষ ওয়ানডেতে চট্টগ্রামে জয় নিয়ে সিরিজও নিজেদের করে নেয় তারা।
চট্টগ্রামে প্রথম টেস্ট মাঠে গড়ায় ২১শে জুলাই। টসে জিতে ব্যাট করতে নামলেও মুস্তাফিজুর রহমান ও জুবায়ের হোসেন লিখনের দুর্দান্ত বোলিং ২৪৮ রানেই গুটিয়ে যায় হাশিম আমলার দল। সুযোগ আসে ব্যাটসম্যানদের কিছু করে দেখানোর। কাজেও লাগায় সেটি। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৫ম বারের মতো সর্বোচ্চ ৭৮ রানের লিড নেয় মুশফিক বাহিনী। কিন্তু সেখান থেকেই শুরু হয় বৃষ্টির গল্প। শেষের দুদিন বৃষ্টিতে ভেসে গেলে টেস্ট ড্র হয় টাইগারদের আক্ষেপ নিয়ে।
এরপর ঢাকায় ৩০শে জুলাই শুরু হওয়া শেষ ও দ্বিতীয় টেস্টে দুই দলেরই স্বপ্ন আকাশের দিকে ডাল-পালা মেলতে থাকে। অবশ্য এর আগেই ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ চোখ রাঙাচ্ছিল। কিন্তু প্রথম দিনটি কাটে সূর্যের হাসিতে। কিনু্ত ৮৮.১ ওভার খেলা হলেও শেষ বিকালে ২৪৬ রান করার পরও হাসতে পারেনি বাংলাদেশ। কারণ এরই মধ্যে হারিয়ে ফেলে ৮টি উইকেট। সুযোগের টেস্টে একমাত্র ৬৭ রান করে অধিনায়কই ছিলেন সেরা। এরপর সেই যে বৃষ্টি শুরু, একে একে তিন দিনই বৃষ্টি। যদিও শেষ ও পঞ্চম দিন সকালে কোন বৃষ্টি ছিল না। সূর্যের মুখই দেখেছিল মিরপুর শেরে বাংলা মাঠ। কিন্তু তিন দিনের প্রবল বর্ষণে মাঠ হয়ে পড়ে খেলার অনুপযুক্ত। তাই দিনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন ম্যাচ রেফারি। তার সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না তার আরেকটি প্রমাণ শেষ দিনও দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে শুরু হয় আবারও বৃষ্টি।
এই সিরিজেই বাংলাদেশ দলের তরুণ বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের অভিষেক হয়। অভিষেক ম্যাচেই এক ওভারে তিনটি ও শেষ পর্যন্ত ৪টি উইকেট নিয়ে হন ম্যাচসেরা। এর আগে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে অভিষেক ম্যাচে ৫টি উইকেট নিয়েও তিনি হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। তাই ক্রিকেটের দুই ফরম্যাটে অভিষেক ম্যাচে ম্যাচসেরা হয়ে বিশ্ব রেকর্ডে প্রবেশ করেন তিনি।
No comments