বজলুর রহমান বঞ্চিত মানুষের পাশে ছিলেন
বজলুর রহমান |
দৈনিক সংবাদ-এর প্রয়াত সম্পাদক সাংবাদিক বজলুর রহমানের আদর্শ ও চিন্তাকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর রচনাগুলোকে বই আকারে প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছে বজলুর রহমান ফাউন্ডেশন।
গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা মিলনায়তনে বজলুর রহমানের ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে ফাউন্ডেশনের সভাপতি, অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ এ ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে দুস্থ সাংবাদিকদের সহায়তায় ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। এর আগে ইব্রাহিম খালেদের সভাপতিত্বে বজলুর রহমানের ঘটনাবহুল রাজনৈতিক ও সাংবাদিকতা জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা। তাঁদের আলোচনায় গত শতকের ষাটের দশক থেকে বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে বজলুর রহমানের সম্পৃক্ততা এবং পরবর্তীকালে একজন সংবাদকর্মী হিসেবে সমাজ ও মানুষের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা এবং অবদানের বিষয়গুলো উঠে আসে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মো. ফরাসউদ্দিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, একজন রাজনীতিক হিসেবে বজলুর রহমান শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যে শিক্ষা অর্জন করেছিলেন, সাংবাদিকতা জীবনেও তিনি সেটার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন।
বজলুর রহমানকে একজন শিল্পমনস্ক ও পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে অভিহিত করেন দৈনিক সংবাদ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খোন্দকার মনিরুজ্জামান। প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জগতে বজলুর রহমান এমন একটি আদর্শ তৈরি করেছেন, যার সমপর্যায়ে পৌঁছা অনেক কঠিন একটি ব্যাপার।
সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা কামাল হায়দারের মতে, বজলুর রহমান ছিলেন একজন মহানুভব ও দৃঢ়চেতা মানুষ। কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন বলেন, এ দেশের ৮০ শতাংশ মানুষের বাস গ্রামে। সেই প্রান্তিক, সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলোর খবর সংবাদপত্রের পাতায় গুরুত্ব দিয়ে ছাপানোর ধারা তৈরি করার ক্ষেত্রে বজলুর রহমানের ভূমিকা অগ্রগণ্য। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বজলুর রহমান ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কাশেম হুমায়ূন ও সাংবাদিক জাহিদুজ্জামান ফারুক।
১৯৪১ সালের ৩ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন বজলুর রহমান। ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
১৯৬১ সালে বজলুর রহমান সহকারী সম্পাদক হিসেবে দৈনিক সংবাদ-এ যোগ দেন। পরে তিনি পত্রিকাটির সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার পর আমৃত্যু ওই পদে ছিলেন। এ ছাড়া তিনি সাপ্তাহিক একতার সম্পাদক ছিলেন। কিছুকাল কাজ করেছেন দৈনিক ইত্তেফাক-এ।
গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা মিলনায়তনে বজলুর রহমানের ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে ফাউন্ডেশনের সভাপতি, অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ এ ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে দুস্থ সাংবাদিকদের সহায়তায় ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। এর আগে ইব্রাহিম খালেদের সভাপতিত্বে বজলুর রহমানের ঘটনাবহুল রাজনৈতিক ও সাংবাদিকতা জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা। তাঁদের আলোচনায় গত শতকের ষাটের দশক থেকে বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে বজলুর রহমানের সম্পৃক্ততা এবং পরবর্তীকালে একজন সংবাদকর্মী হিসেবে সমাজ ও মানুষের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা এবং অবদানের বিষয়গুলো উঠে আসে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মো. ফরাসউদ্দিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, একজন রাজনীতিক হিসেবে বজলুর রহমান শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যে শিক্ষা অর্জন করেছিলেন, সাংবাদিকতা জীবনেও তিনি সেটার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন।
বজলুর রহমানকে একজন শিল্পমনস্ক ও পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে অভিহিত করেন দৈনিক সংবাদ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খোন্দকার মনিরুজ্জামান। প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জগতে বজলুর রহমান এমন একটি আদর্শ তৈরি করেছেন, যার সমপর্যায়ে পৌঁছা অনেক কঠিন একটি ব্যাপার।
সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা কামাল হায়দারের মতে, বজলুর রহমান ছিলেন একজন মহানুভব ও দৃঢ়চেতা মানুষ। কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন বলেন, এ দেশের ৮০ শতাংশ মানুষের বাস গ্রামে। সেই প্রান্তিক, সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলোর খবর সংবাদপত্রের পাতায় গুরুত্ব দিয়ে ছাপানোর ধারা তৈরি করার ক্ষেত্রে বজলুর রহমানের ভূমিকা অগ্রগণ্য। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বজলুর রহমান ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কাশেম হুমায়ূন ও সাংবাদিক জাহিদুজ্জামান ফারুক।
১৯৪১ সালের ৩ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন বজলুর রহমান। ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
১৯৬১ সালে বজলুর রহমান সহকারী সম্পাদক হিসেবে দৈনিক সংবাদ-এ যোগ দেন। পরে তিনি পত্রিকাটির সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার পর আমৃত্যু ওই পদে ছিলেন। এ ছাড়া তিনি সাপ্তাহিক একতার সম্পাদক ছিলেন। কিছুকাল কাজ করেছেন দৈনিক ইত্তেফাক-এ।
No comments