নাগা বিদ্রোহীদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি: ছয় দশকের সশস্ত্র লড়াইয়ের অবসান!
নাগা বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে মোদি সরকারের শান্তি চুক্তি সই |
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য নাগাল্যান্ডের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ন্যাশনালিস্ট সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অব নাগাল্যান্ডের (এনএসসিএন-আইএম) সঙ্গে ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত সরকার। ভারত স্বাধীন হওয়ার পরপরই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী লড়াইয়ের শুরু হয় নাগাল্যান্ডে। গতকাল সোমবার শান্তিচুক্তি হওয়ায় ছয় দশকেরও বেশি সময় পরে সশস্ত্র লড়াইয়ের দৃশত অবসান ঘটাল নাগা বিদ্রোহীরা। খবর এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৭ রেসকোর্স রোডের বাসভবনে মোদির উপস্থিতিতেই এ শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন এনএসসিএন-এমআইয়ের সাধারণ সম্পাদক থুইঙ্গালাং মুইভা। নাগা বিদ্রোহীদের সশস্ত্র আন্দোলনকে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলা সশস্ত্র লড়াই বলে অভিহিত করা হয়।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর মোদি এই চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যায়িত করে বলেন, চুক্তির মধ্য দিয়ে কেবল একটি সমস্যার শেষ হলো না, নতুন ভবিষ্যতের শুরু। কয়েক প্রজন্মের মানুষের এর ভুক্তভোগী হয়েছে। তিনি চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য নাগা নেতা মুইভা এবং আইজ্যাক চিসি সিউয়ের প্রজ্ঞা ও সাহসিকতার প্রশংসা করেন। মোদি বলেন, ‘নাগাদের সাহস এবং প্রতিশ্রুতি রাখার বৈশিষ্ট্যটি একেবারে প্রবাদতুল্য। এর পাশাপাশি তাদের আছে উচ্চমাত্রার মানবিকতাবোধ।’
অনুষ্ঠানে মুইভা প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রশংসা করে বলেন, ‘মোদির নেতৃত্বেই আমরা কাছে এসে একে অপরকে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি। আপনার রাষ্ট্রনায়কোচিত আচরণের জন্য নাগাল্যান্ডের মানুষ চিরদিন আপনাকে স্মরণ করবে।’
১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার কিছুদিন পরই নাগা ন্যাশনাল কাউন্সিল (এনএনসি) নামে স্বাধীন নাগা রাষ্ট্রের দাবিতে নাগাল্যান্ডে সশস্ত্র লড়াই শুরু হয়। এর নেতৃত্বে ছিলেন আঙ্গামানি জাপু ফিজো। ১৯৭৫ সালে এনএনসি পরিচালিত বিদ্রোহী নাগা সরকারের সঙ্গে ভারত সরকারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্বাক্ষরিত এ চুক্তি ‘শিলং চুক্তি’ নামে পরিচিত। তবে ওই চুক্তিকে মেনে নিতে পারেননি মুইভা, আইজ্যাক সিউ এবং এস এস খাপলাংয়ের নেতৃত্বাধীন অংশ। স্বাধীন ‘নাগালিম’ রাষ্ট্রের দাবিতে তারা সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে যেতে শুরু করে। সে সময়ই এনএসসিএন গঠিত হয়। তবে সশস্ত্র লড়াই চালাতে থাকলেও এনএসসিএনের সঙ্গে ভারত সরকারের আলোচনা চলছিলই। যদিও সেই আলোচনা খুব কার্যকর হয়নি। ১৯৮৮ সালে এনএসসিএন আইজ্যাক-মুইভা এবং খাপলাং—এ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। ভারত সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনা নিয়েই ছিল এই বিভক্তি। গত ৪ জুন খাপলাং উপদলের আক্রমণে মণিপুর রাজ্যে ভারতের ২০ জন সেনাসদস্য নিহত হন। ওই উপদলের সঙ্গে ভারত সরকারের অস্ত্রবিরতির মেয়াদ ভেঙে যায় মার্চ মাসে। হামলার পর এর দায় স্বীকার করে সংগঠনটি।
এনএসসিএন-আইএম ভারত সরকারের সঙ্গে অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়ে শান্তি আলোচনা শুরু করে ১৯৯৭ সালে। একটি পৃথক পতাকা এবং নাগাল্যান্ডের বাইরেও নাগা জাতিসত্তার মানুষ অধ্যুষিত এলাকাকে একটি পৃথক প্রশাসনিক কাঠামোর মধ্য নিয়ে আসার শর্তে দিলে এ আলোচনায় অচলাবস্থা তৈরি হয়। গত সপ্তাহে নাগাল্যান্ডের সুশীল সমাজ সর্বসম্মতভাবে রাজ্য বিধানসভায় পাস করা পাঁচ দফা প্রস্তাব সমর্থন করে। এর মধ্যে নাগা অধ্যুষিত সব এলাকাকে সমন্বয়ের প্রস্তাব ছিল। ওই প্রস্তাবের মধ্যে আরও ছিল গত মার্চ মাসে এনএসসিএন-খাপলাংয়ের সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাওয়া যুদ্ধবিরতি আবার শুরুর চেষ্টা এবং ১৯৫৮ সালে নাগাল্যান্ডে জারি করা আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট বা আফসপা তুলে নেওয়া।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর মোদি এই চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যায়িত করে বলেন, চুক্তির মধ্য দিয়ে কেবল একটি সমস্যার শেষ হলো না, নতুন ভবিষ্যতের শুরু। কয়েক প্রজন্মের মানুষের এর ভুক্তভোগী হয়েছে। তিনি চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য নাগা নেতা মুইভা এবং আইজ্যাক চিসি সিউয়ের প্রজ্ঞা ও সাহসিকতার প্রশংসা করেন। মোদি বলেন, ‘নাগাদের সাহস এবং প্রতিশ্রুতি রাখার বৈশিষ্ট্যটি একেবারে প্রবাদতুল্য। এর পাশাপাশি তাদের আছে উচ্চমাত্রার মানবিকতাবোধ।’
অনুষ্ঠানে মুইভা প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রশংসা করে বলেন, ‘মোদির নেতৃত্বেই আমরা কাছে এসে একে অপরকে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি। আপনার রাষ্ট্রনায়কোচিত আচরণের জন্য নাগাল্যান্ডের মানুষ চিরদিন আপনাকে স্মরণ করবে।’
১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার কিছুদিন পরই নাগা ন্যাশনাল কাউন্সিল (এনএনসি) নামে স্বাধীন নাগা রাষ্ট্রের দাবিতে নাগাল্যান্ডে সশস্ত্র লড়াই শুরু হয়। এর নেতৃত্বে ছিলেন আঙ্গামানি জাপু ফিজো। ১৯৭৫ সালে এনএনসি পরিচালিত বিদ্রোহী নাগা সরকারের সঙ্গে ভারত সরকারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্বাক্ষরিত এ চুক্তি ‘শিলং চুক্তি’ নামে পরিচিত। তবে ওই চুক্তিকে মেনে নিতে পারেননি মুইভা, আইজ্যাক সিউ এবং এস এস খাপলাংয়ের নেতৃত্বাধীন অংশ। স্বাধীন ‘নাগালিম’ রাষ্ট্রের দাবিতে তারা সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে যেতে শুরু করে। সে সময়ই এনএসসিএন গঠিত হয়। তবে সশস্ত্র লড়াই চালাতে থাকলেও এনএসসিএনের সঙ্গে ভারত সরকারের আলোচনা চলছিলই। যদিও সেই আলোচনা খুব কার্যকর হয়নি। ১৯৮৮ সালে এনএসসিএন আইজ্যাক-মুইভা এবং খাপলাং—এ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। ভারত সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনা নিয়েই ছিল এই বিভক্তি। গত ৪ জুন খাপলাং উপদলের আক্রমণে মণিপুর রাজ্যে ভারতের ২০ জন সেনাসদস্য নিহত হন। ওই উপদলের সঙ্গে ভারত সরকারের অস্ত্রবিরতির মেয়াদ ভেঙে যায় মার্চ মাসে। হামলার পর এর দায় স্বীকার করে সংগঠনটি।
এনএসসিএন-আইএম ভারত সরকারের সঙ্গে অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়ে শান্তি আলোচনা শুরু করে ১৯৯৭ সালে। একটি পৃথক পতাকা এবং নাগাল্যান্ডের বাইরেও নাগা জাতিসত্তার মানুষ অধ্যুষিত এলাকাকে একটি পৃথক প্রশাসনিক কাঠামোর মধ্য নিয়ে আসার শর্তে দিলে এ আলোচনায় অচলাবস্থা তৈরি হয়। গত সপ্তাহে নাগাল্যান্ডের সুশীল সমাজ সর্বসম্মতভাবে রাজ্য বিধানসভায় পাস করা পাঁচ দফা প্রস্তাব সমর্থন করে। এর মধ্যে নাগা অধ্যুষিত সব এলাকাকে সমন্বয়ের প্রস্তাব ছিল। ওই প্রস্তাবের মধ্যে আরও ছিল গত মার্চ মাসে এনএসসিএন-খাপলাংয়ের সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাওয়া যুদ্ধবিরতি আবার শুরুর চেষ্টা এবং ১৯৫৮ সালে নাগাল্যান্ডে জারি করা আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট বা আফসপা তুলে নেওয়া।
No comments