ঘাটও নাই, লঞ্চও নাই by মোছাব্বের হোসেন
গত বছরের ৪ আগস্ট মুন্সিগঞ্জের মাওয়ার পদ্মা নদীর এই অংশ পিনাক-৬ লঞ্চটি ডুবে যায়। এখন সেখানে চলছে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ। ছবি: মোছাব্বের হোসেন |
মাওয়া চৌরাস্তার পাশে মধ্য দুপুরে রাস্তায় লোকজনের আনাগোনা ছিল কম। আজ মঙ্গলবার প্রখর রোদে কেউ কেউ ছায়ায় বসে জিরিয়ে নিচ্ছেন। ঘাটের সামনে যে অংশে গত বছরের এই দিনে পিনাক-৬ লঞ্চটি ডুবেছিল সেখানে এখন পুরোদমে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। এ কারণে মাওয়ার পুরোনো ঘাটটি স্থানান্তর করা হয়েছে শিমুলিয়ায়।
পিনাক-৬ ডুবে যাওয়ার সময় প্রত্যক্ষদর্শী এক রিকশা চালক সোলেমান মিয়া আঙুল উঁচিয়ে দেখালেন, ‘ওই যে সামনে দেখতেছেন কাজ চলতাছে, ওইখানে আইসা পড়ছিল লঞ্চডা। তীরে আইবো আইবো এমন সময় ডুইব্যা গেল। কারও গ্যাছে ভাই, কারও বইন, কারও পোলা-মাইয়্যা। হ্যারাই বুঝে ওগো কি কষ্ট।’ আজকে এখানে কাউকে দেখেছেন স্বজনদের খোঁজে আসতে? সোলেমান বলেন, ‘সেতুর কাজের লাইগা তো ঘাটটাও সইরা গেল এইখান থাইক্যা। লঞ্চটাও আর পাওয়া গেল না। ঘাটও নাই, লঞ্চও নাই।’
গত বছরের ঈদের পর মাদারীপুরের শিবচরের কাওরাকান্দি ঘাট থেকে যাত্রী বোঝাই করে মুন্সিগঞ্জ যাওয়ার পথে মাওয়া ঘাটের কাছে ডুবে যায় পিনাক-৬ লঞ্চটি। এ দুর্ঘটনায় ৪৯টি লাশ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ২৮টি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হলেও বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয় ২১টি। তবে, এ দুর্ঘটনায় ঠিক কত জন নিখোঁজ রয়েছে, তা আজও নিশ্চিত করা যায়নি।
সোলেমানের কথা শেষ হতে পাশেই পুরোনো লঞ্চঘাটের এক দোকানদার পিনাক-৬ ডুবে যাওয়ার প্রত্যক্ষদর্শী মাওয়া ঘাটের হোটেল ব্যবসায়ী তপন কুমার দাশ বললেন, ‘মানুষের কি ভাগ্য দেখেন, লঞ্চডা কিন্তু ঘাট থাইক্যা বেশি দূরে আছিল না, আয়া পড়ছে পড়ছে এমনি সময় তলায় গেল। আজকে পর্যন্ত কোথায় আছে খুঁইজ্যা পাইলো না।’
লঞ্চডুবি এলাকার পাশে সবচেয়ে বেশি ছিল তেলের দোকান। তেলের দোকানি শামিম মাতবর দেখেছেন ওই দিনের ঘটনা। তিনি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, লঞ্চটা আর পাওয়াই গেল না, ঘাটটাও রইল না।’
স্বজনরা কেউ এখানে লাশের খোঁজে এখনো আসেন? তপন বলেন, ‘ঘাটই তো উইঠা গেছে। ওইখানে এখন সেতুর কাম চলে। কাউকে তো আসতে দেখি নাই।
স্থানীয় এক হোটেল ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বললেন, এত বড় সেতুর কাজ শুরু করা গেল, আর একটা জ্বলজ্যান্ত লঞ্চ পানির নিচে ডুবে গেল তাকে উদ্ধার করা গেল না? এটা আমাদের অনেক বড় ব্যর্থতা।
পিনাক-৬ ডুবে যাওয়ার সময় প্রত্যক্ষদর্শী এক রিকশা চালক সোলেমান মিয়া আঙুল উঁচিয়ে দেখালেন, ‘ওই যে সামনে দেখতেছেন কাজ চলতাছে, ওইখানে আইসা পড়ছিল লঞ্চডা। তীরে আইবো আইবো এমন সময় ডুইব্যা গেল। কারও গ্যাছে ভাই, কারও বইন, কারও পোলা-মাইয়্যা। হ্যারাই বুঝে ওগো কি কষ্ট।’ আজকে এখানে কাউকে দেখেছেন স্বজনদের খোঁজে আসতে? সোলেমান বলেন, ‘সেতুর কাজের লাইগা তো ঘাটটাও সইরা গেল এইখান থাইক্যা। লঞ্চটাও আর পাওয়া গেল না। ঘাটও নাই, লঞ্চও নাই।’
গত বছরের ঈদের পর মাদারীপুরের শিবচরের কাওরাকান্দি ঘাট থেকে যাত্রী বোঝাই করে মুন্সিগঞ্জ যাওয়ার পথে মাওয়া ঘাটের কাছে ডুবে যায় পিনাক-৬ লঞ্চটি। এ দুর্ঘটনায় ৪৯টি লাশ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ২৮টি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হলেও বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয় ২১টি। তবে, এ দুর্ঘটনায় ঠিক কত জন নিখোঁজ রয়েছে, তা আজও নিশ্চিত করা যায়নি।
সোলেমানের কথা শেষ হতে পাশেই পুরোনো লঞ্চঘাটের এক দোকানদার পিনাক-৬ ডুবে যাওয়ার প্রত্যক্ষদর্শী মাওয়া ঘাটের হোটেল ব্যবসায়ী তপন কুমার দাশ বললেন, ‘মানুষের কি ভাগ্য দেখেন, লঞ্চডা কিন্তু ঘাট থাইক্যা বেশি দূরে আছিল না, আয়া পড়ছে পড়ছে এমনি সময় তলায় গেল। আজকে পর্যন্ত কোথায় আছে খুঁইজ্যা পাইলো না।’
লঞ্চডুবি এলাকার পাশে সবচেয়ে বেশি ছিল তেলের দোকান। তেলের দোকানি শামিম মাতবর দেখেছেন ওই দিনের ঘটনা। তিনি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, লঞ্চটা আর পাওয়াই গেল না, ঘাটটাও রইল না।’
স্বজনরা কেউ এখানে লাশের খোঁজে এখনো আসেন? তপন বলেন, ‘ঘাটই তো উইঠা গেছে। ওইখানে এখন সেতুর কাম চলে। কাউকে তো আসতে দেখি নাই।
স্থানীয় এক হোটেল ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বললেন, এত বড় সেতুর কাজ শুরু করা গেল, আর একটা জ্বলজ্যান্ত লঞ্চ পানির নিচে ডুবে গেল তাকে উদ্ধার করা গেল না? এটা আমাদের অনেক বড় ব্যর্থতা।
No comments