‘সেই রাস্তাটি’ সাড়ে তিন বছরেও মেরামত হয়নি by অরূপ দত্ত
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের খিলজি রোডের এই রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা। চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন |
রক্ষণাবেক্ষণে অবহেলা এবং টানা বৃষ্টির কারণে মোহাম্মদপুরের খিলজি রোড এবং আশপাশের অলিগলিতে এখন আরও খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে খিলজি রোড-সংলগ্ন শ্যামলী সিনেমা হলের উত্তর প্রান্তের রাস্তাটি চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে গত এপ্রিলের শুরুতে এই রাস্তাটি দেখা গিয়েছিল ভাঙাচোরা। এখন বৃষ্টিতে, জলাবদ্ধতায় প্রতিদিন রিকশা-অটোরিকশা উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে।
গতকাল সোমবার সকালে ওই রাস্তায় গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটির খানাখন্দ আর কাদাপানিতে বেহাল অবস্থা। রাস্তার দুই পাশে শতাধিক দোকান। এই ভাঙা রাস্তা দিয়েই দিনরাতে যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রায় সাড়ে তিন বছর এই রাস্তাটির সংস্কার হয়নি। মাঝে মাঝে ইটের খোয়া দিয়ে গর্ত বন্ধ করে স্থানীয় মানুষদের বুঝ দেওয়া হয় সংস্কার হচ্ছে।
একটি ওষুধের দোকানের কর্মচারী আবদুল আলিম বলেন, প্রতিদিনই এখানে আরোহীরা পড়ে যাচ্ছেন। পথচারীরা পিছলে পড়ে ব্যথা পাচ্ছেন। শনিবার বৃষ্টির পর ভাঙা রাস্তায় পানি জমে যায়। ডুবে যাওয়া ভাঙা রাস্তার গর্তে স্থানীয় নর্থ সাউথ মেডিকেল কলেজে যাওয়ার পথে দুজন ছাত্রী পড়ে আঘাত পান।
এলাকার ব্যবসায়ী রুহুল আমিনসহ কয়েকজন দোকানি ক্ষোভের সঙ্গেই বললেন, বৃষ্টি হলে ভাঙা এই রাস্তায় পানি জমে ডোবায় পরিণত হয়। সেই পানি মাড়ালেই চর্মরোগ। পানি শুকালে হয় কাদা। সেই কাদায় গাড়ির চাকায় ইরি ধানখেতের মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়। আর শুকনা মৌসুমে ভাঙা রাস্তাটি হয় মরণ ফাঁদ। দেখার কেউ নেই।
ওই রাস্তাতেই পাওয়া যায় ভুক্তভোগী অনেককে। স্থানীয় একটি চক্ষুবিষয়ক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী আলমগীর খান বলেন, শ্যামলী প্রধান সড়কে যত লোক চলাচল করেন, তার চেয়ে অনেক বেশি লোক এই পথ ধরে চলেন। চলে প্রচুর যানবাহনও। তারপরও কারও নজর নেই।
শ্যামলী প্রধান সড়কের সঙ্গে লাগোয়া প্রায় ৬০ ফুটের এই রাস্তা ধরে চলাচল করেন এলাকার আশা ইউনিভার্সিটি, নর্থ সাউথ মেডিকেল কলেজ, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। চলাচল করেন স্থানীয় জেবি গার্মেন্টস, গোল্ডস্টার গার্মেন্টসহ কয়েকটি গার্মেন্টসের কর্মীরাও।
নর্থ সাউথ মেডিকেলের শেষ বর্ষের ছাত্রী শারমিন আশা ইউনিভার্সিটির ছাত্র শহীদুল ইসলাম জানান, বৃষ্টিতে এই রাস্তায় চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে। তারপরও চলতে হয়। এখানে বলার লোক থাকলেও শোনার কেউ নেই।
স্থানীয় একটি গার্মেন্টসের কর্মী সালমা ইসলাম জানান, রাতের বেলায় ওই পথে হেঁটে যেতে হয়। বস্তিতে যাওয়ার সহজ পথ আর নেই।
ফার্মেসি, রেস্তোরাঁ, আবাসিক হোটেলসহ শতাধিক দোকান থাকলেও এখানে ব্যবসায়ী বা দোকানিদের কোনো সংগঠন নেই। তাজিন আবাসিক হোটেল, শ্যামলী হল সুপার মার্কেটের ভাই ভাই বিরিয়ানি হাউস, মেহ্জাবিন মেডিসিন কর্নার, জেরিন ফার্মাসহ কিছু দোকানের লোকজনের সঙ্গে কথা বললে সবাই রাস্তার কারণে চরম অসুবিধা ও ব্যবসায়িক ক্ষতির কথা জানান। কিন্তু সংগঠন করার মতো পরিবেশ এখানে নেই বলে তাঁরা মত প্রকাশ করেন।
এলাকাটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অধীন। রাস্তাটির প্রতি এমন অবহেলার বিষয়ে ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. কুদরতউল্লাহ বলেন, মোহাম্মদপুরের বেশির ভাগ রাস্তায় উন্নয়নকাজ হয়েছে। এটি না হওয়ার কারণ খোঁজা হবে।
ডিএনসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান উন্নয়ন প্রকল্পে এই সড়কটি রয়েছে। আশা করি আগামী বর্ষার আগেই রাস্তাটি ভালো করা সম্ভব হবে।’
গতকাল সোমবার সকালে ওই রাস্তায় গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটির খানাখন্দ আর কাদাপানিতে বেহাল অবস্থা। রাস্তার দুই পাশে শতাধিক দোকান। এই ভাঙা রাস্তা দিয়েই দিনরাতে যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রায় সাড়ে তিন বছর এই রাস্তাটির সংস্কার হয়নি। মাঝে মাঝে ইটের খোয়া দিয়ে গর্ত বন্ধ করে স্থানীয় মানুষদের বুঝ দেওয়া হয় সংস্কার হচ্ছে।
একটি ওষুধের দোকানের কর্মচারী আবদুল আলিম বলেন, প্রতিদিনই এখানে আরোহীরা পড়ে যাচ্ছেন। পথচারীরা পিছলে পড়ে ব্যথা পাচ্ছেন। শনিবার বৃষ্টির পর ভাঙা রাস্তায় পানি জমে যায়। ডুবে যাওয়া ভাঙা রাস্তার গর্তে স্থানীয় নর্থ সাউথ মেডিকেল কলেজে যাওয়ার পথে দুজন ছাত্রী পড়ে আঘাত পান।
এলাকার ব্যবসায়ী রুহুল আমিনসহ কয়েকজন দোকানি ক্ষোভের সঙ্গেই বললেন, বৃষ্টি হলে ভাঙা এই রাস্তায় পানি জমে ডোবায় পরিণত হয়। সেই পানি মাড়ালেই চর্মরোগ। পানি শুকালে হয় কাদা। সেই কাদায় গাড়ির চাকায় ইরি ধানখেতের মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়। আর শুকনা মৌসুমে ভাঙা রাস্তাটি হয় মরণ ফাঁদ। দেখার কেউ নেই।
ওই রাস্তাতেই পাওয়া যায় ভুক্তভোগী অনেককে। স্থানীয় একটি চক্ষুবিষয়ক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী আলমগীর খান বলেন, শ্যামলী প্রধান সড়কে যত লোক চলাচল করেন, তার চেয়ে অনেক বেশি লোক এই পথ ধরে চলেন। চলে প্রচুর যানবাহনও। তারপরও কারও নজর নেই।
শ্যামলী প্রধান সড়কের সঙ্গে লাগোয়া প্রায় ৬০ ফুটের এই রাস্তা ধরে চলাচল করেন এলাকার আশা ইউনিভার্সিটি, নর্থ সাউথ মেডিকেল কলেজ, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। চলাচল করেন স্থানীয় জেবি গার্মেন্টস, গোল্ডস্টার গার্মেন্টসহ কয়েকটি গার্মেন্টসের কর্মীরাও।
নর্থ সাউথ মেডিকেলের শেষ বর্ষের ছাত্রী শারমিন আশা ইউনিভার্সিটির ছাত্র শহীদুল ইসলাম জানান, বৃষ্টিতে এই রাস্তায় চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে। তারপরও চলতে হয়। এখানে বলার লোক থাকলেও শোনার কেউ নেই।
স্থানীয় একটি গার্মেন্টসের কর্মী সালমা ইসলাম জানান, রাতের বেলায় ওই পথে হেঁটে যেতে হয়। বস্তিতে যাওয়ার সহজ পথ আর নেই।
ফার্মেসি, রেস্তোরাঁ, আবাসিক হোটেলসহ শতাধিক দোকান থাকলেও এখানে ব্যবসায়ী বা দোকানিদের কোনো সংগঠন নেই। তাজিন আবাসিক হোটেল, শ্যামলী হল সুপার মার্কেটের ভাই ভাই বিরিয়ানি হাউস, মেহ্জাবিন মেডিসিন কর্নার, জেরিন ফার্মাসহ কিছু দোকানের লোকজনের সঙ্গে কথা বললে সবাই রাস্তার কারণে চরম অসুবিধা ও ব্যবসায়িক ক্ষতির কথা জানান। কিন্তু সংগঠন করার মতো পরিবেশ এখানে নেই বলে তাঁরা মত প্রকাশ করেন।
এলাকাটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অধীন। রাস্তাটির প্রতি এমন অবহেলার বিষয়ে ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. কুদরতউল্লাহ বলেন, মোহাম্মদপুরের বেশির ভাগ রাস্তায় উন্নয়নকাজ হয়েছে। এটি না হওয়ার কারণ খোঁজা হবে।
ডিএনসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান উন্নয়ন প্রকল্পে এই সড়কটি রয়েছে। আশা করি আগামী বর্ষার আগেই রাস্তাটি ভালো করা সম্ভব হবে।’
No comments