সৌম্য-মুস্তাফিজকে আবিষ্কারের গল্প হাথুরুসিংহের মুখে
বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখন বিস্ময় জাগানিয়া এক দলের নাম। প্রতিদিনই উপহার দিচ্ছে চমক। আর এ বদলে যাওয়া বাংলাদেশে আসছে নতুন নতুন প্রতিভা। সৌম্য সরকার এবং মুস্তাফিজুর রহমান- এর মধ্যে সবচেয়ে বড় দুটি নাম। ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে মুস্তাফিজ ও সৌম্যকে দলে নিয়ে আসার পেছনের কাহিনী তুলে ধরেছেন টাইগার কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সৌম্য সরকারকে তিনি অভিহিত করেছেন বিশ্বমানের খেলোয়াড় হিসেবে। তিনি বলেন, সৌম্য দলের জন্য একজন ম্যাচ উইনার হিসেবে পরিণত হয়েছেন। আমি শুধু তার ১৩ রানের একটা স্কোর দেখেছিলাম। একদিন আমি একটা প্রস্তুতি ম্যাচ দেখতে মাঠে গিয়েছি। এখানে একটা প্রদর্শনী ম্যাচ চলছিল। আমি মাঠের পাশ দিয়ে হাটছিলাম আর সৌম্য’র ব্যাটিং দেখছিলাম। সেখানে দুটি ঘটনা আমার দৃষ্টি কেড়েছিল। সে পয়েন্ট এবং গালির মাঝ দিয়ে একটি চার মেরেছিল। বোলার ছিল সম্ভবত রুবেল। সে সিøপে একটি ক্যাচও নিয়েছিল। এটাই আমার জন্য যথেষ্ঠ ছিলো। আমি বুজলাম, আমার দেখা অন্য খেলোয়াড়দের তুলনায় সৌম্য কতটা উচ্চতায়। সেদিন থেকেই আমি নির্বাচকদের তার ব্যাপারে বলে আসছিলাম। মূলত ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে জিম্বাবুয়ে পুরো সিরিজের জন্য তাকে নিতে বলেছিলাম। যদিও সে শেষ ম্যাচটা খেলেছিলো। হাথুরুসিংহে বলেন, আমাকে বিচক্ষনাতার সাথে ট্যালেন্ট চিহ্নিত করতে হয়। আমি সৌম্য’র জন্য একটি ভূমিকা নেই। এতো গেলে সৌম্যের কথা। এবার জানা যাবে ১৯ বছরের তরুণ মুস্তাফিজের গায়ে কিভাবে জড়ালো টাইগার-ইউনিফর্ম। হাথুরুসিংহে বলেন, আসলে এটা কোন চিন্তিত সিদ্ধান্ত ছিল না। কিন্তু যখন দেখি কেউ দলে ভিন্নতা তৈরী করতে পারে, তখন সে কতগুলো ম্যাচ খেলেছে সেটা দেখার বিষয় না। আমি শুধু দেখি ভবিষ্যত। পাকিস্তানের তিনজন বাঁ-হাতি বোলার রয়েছে। তাই পাকিস্তান সিরিজের আগে দেশের সকল বাঁ-হাতি বোলারকে আমাদের সামনে বল করতে বলেছিলাম। তাদের মধ্যে মুস্তাফিজও আসে। মুস্তাফিজ দুটি প্র্যাকটিস ম্যাচে বল করেছে। ব্যাটসম্যানরা তার থেকে জয় নিতে পারেনি। জিতলো মুস্তাফিজ। সেখানেই আমরা সিদ্ধান্ত নেই এই তরুণ খেলতে পারবে। এবং আমাদের প্রয়োজন তাকেই।
No comments