মায়ের পেটে গুলিবিদ্ধ শিশু: অপরাধী যেই হোক, বিচার হবে -মহিলা প্রতিমন্ত্রী
মাগুরায় গুলিবিদ্ধ মা নাজমা বেগমকে আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে যান মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। তাঁর হাতে তিনি ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। ছবি: সংগৃহীত |
মাগুরায় গুলিবিদ্ধ শিশু ও তাঁর মায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। ব্যক্তি বা দল না দেখে অপরাধীকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ শিশু ও মায়ের সঙ্গে দেখা করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি রাজধানীর উত্তরায় গণধর্ষণের শিকার কর্মজীবী তরুণীর সঙ্গে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে দেখা করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের কথা জানান। মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অপরাধী কোন দলের বা গোত্রের তা বিচার করা হবে না। অপরাধী যেই হোক না কেন, তাঁকে বিচারের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনের গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলো এ বিষয়ক মন্ত্রণালয় দেখবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাঁরা এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছেন, তাঁরা অমানুষ। তাঁরা মানুষের কাতারে পড়েন না।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা স্বীকার করতেই হবে—সরকার অন্যায়কে প্রশ্রয় দিচ্ছে না। এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করার ঘটনাতেই এটা প্রমাণ হয়েছে। যাঁরা অপরাধী, তাঁরা সব সময় তৎপর থাকেন। এ ধরনের ঘটনায় সরকারের পাশাপাশি সক্রিয় ভূমিকা রাখতে জনগণের প্রতিও তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী গুলিবিদ্ধ শিশুটির মায়ের হাতে ৫০ হাজার টাকার একটি চেক তুলে দেন।
মাগুরার গুলিবিদ্ধ শিশুটির অবস্থা সম্পর্কে হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক কানিজ হাসিনা বলেন, শিশুটির উন্নতি হচ্ছে। তবে শঙ্কামুক্ত নয়। গত কয়েক দিন ধরে বিশেষ উপায়ে মায়ের বুকের দুধ এনে শিশুটিকে খাওয়ানো হচ্ছে। খাওয়ার পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। কোনো সংক্রমণ দেখা যায়নি। এখন যেরকম চিকিৎসা দেওয়া দরকার, সেটিই দেওয়া হচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কানিজ হাসিনা বলেন, এই মুহূর্তে শিশুটিকে বিদেশে নেওয়ার দরকার নাই। শিশুটির চোখ নিয়ে পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।
সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে শিশুটির সঙ্গে অন্যদের দেখা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে কানিজ হাসিনা জানান।
প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম ছিলেন।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ শিশু ও মায়ের সঙ্গে দেখা করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি রাজধানীর উত্তরায় গণধর্ষণের শিকার কর্মজীবী তরুণীর সঙ্গে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে দেখা করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের কথা জানান। মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অপরাধী কোন দলের বা গোত্রের তা বিচার করা হবে না। অপরাধী যেই হোক না কেন, তাঁকে বিচারের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনের গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলো এ বিষয়ক মন্ত্রণালয় দেখবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাঁরা এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছেন, তাঁরা অমানুষ। তাঁরা মানুষের কাতারে পড়েন না।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা স্বীকার করতেই হবে—সরকার অন্যায়কে প্রশ্রয় দিচ্ছে না। এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করার ঘটনাতেই এটা প্রমাণ হয়েছে। যাঁরা অপরাধী, তাঁরা সব সময় তৎপর থাকেন। এ ধরনের ঘটনায় সরকারের পাশাপাশি সক্রিয় ভূমিকা রাখতে জনগণের প্রতিও তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী গুলিবিদ্ধ শিশুটির মায়ের হাতে ৫০ হাজার টাকার একটি চেক তুলে দেন।
মাগুরার গুলিবিদ্ধ শিশুটির অবস্থা সম্পর্কে হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক কানিজ হাসিনা বলেন, শিশুটির উন্নতি হচ্ছে। তবে শঙ্কামুক্ত নয়। গত কয়েক দিন ধরে বিশেষ উপায়ে মায়ের বুকের দুধ এনে শিশুটিকে খাওয়ানো হচ্ছে। খাওয়ার পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। কোনো সংক্রমণ দেখা যায়নি। এখন যেরকম চিকিৎসা দেওয়া দরকার, সেটিই দেওয়া হচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কানিজ হাসিনা বলেন, এই মুহূর্তে শিশুটিকে বিদেশে নেওয়ার দরকার নাই। শিশুটির চোখ নিয়ে পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।
সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে শিশুটির সঙ্গে অন্যদের দেখা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে কানিজ হাসিনা জানান।
প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম ছিলেন।
প্রধান আসামির রিমান্ডের শুনানি রোববার
মাগুরায় মায়ের পেটে শিশু গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি সেন সুমনের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। এ নিয়ে আদালত আগামী রোববার (৯ আগস্ট) শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
মঙ্গলবার বেলা ১২টায় সুমনসহ তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইমাউল হক কেবল সুমনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালত এই আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করে আসামিদের জেল-হাজতে পাঠান। জেলা পুলিশ সুপার একেএম এহসান উল্লাহ বলেন, বাকি আসামিদেরও রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে।
মামলার প্রধান আসামি সেন সুমনসহ তিন আসামিকে আজ বেলা ১২টার দিকে আদালতে হাজির করার পর উৎসুক জনতা এবং মিডিয়াকর্মীরা আদালতে ভিড় করেন। কিন্তু পুলিশ মিডিয়ার কাউকে ছবি তুলতেও দেননি।
এর আগে গত রাত ১০টার দিকে এই তিন আসামিকে জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে ছাত্রলীগের হাজারো নেতা কর্মীকে ভিড় করতে দেখা গেছে।
মঙ্গলবার বেলা ১২টায় সুমনসহ তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইমাউল হক কেবল সুমনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালত এই আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করে আসামিদের জেল-হাজতে পাঠান। জেলা পুলিশ সুপার একেএম এহসান উল্লাহ বলেন, বাকি আসামিদেরও রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে।
মামলার প্রধান আসামি সেন সুমনসহ তিন আসামিকে আজ বেলা ১২টার দিকে আদালতে হাজির করার পর উৎসুক জনতা এবং মিডিয়াকর্মীরা আদালতে ভিড় করেন। কিন্তু পুলিশ মিডিয়ার কাউকে ছবি তুলতেও দেননি।
এর আগে গত রাত ১০টার দিকে এই তিন আসামিকে জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে ছাত্রলীগের হাজারো নেতা কর্মীকে ভিড় করতে দেখা গেছে।
No comments