বিচারপতি শামসুদ্দিন আদালতকে বির্তকিত করছেন
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীকে উদ্দেশ করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “বিচারবুদ্ধিহীন মন্তব্য করে আপিল বিভাগের সাবেক এই বিচারক উচ্চ আদালতকে বির্তকিত করছেন। তার কথা শুনলে মনে হবে কোনো কসাই কথা বলছে। একজন বোধ, বুদ্ধি, বিচার সম্পন্ন মানুষের কথা এটি নয়।” মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি খালেদা জিয়ার মুখপাত্র—বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর এ বক্তব্যের ব্যাপারে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার এক বছর পূর্তিতে গত ১৭ জানুয়ারি এক বাণীতে বিচারপতি এস কে সিনহা বলেন, অবসরে যাওয়ার পর বিচারকদের রায় লেখাকে সংবিধান পরিপন্থি। - তার এ বক্তব্যে নানামুখি আলোচনার সূত্রপাত হয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ প্রধান বিচারপতির ওই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলেও বিএনপি নেতারা তাতে জোর সমর্থন দিয়ে বলে আসছেন, বিচারকের অবসরের পরে লেখা হওয়ায় তত্ত্বাবধায়ক বাতিলের রায়ও অবৈধ প্রমাণিত হয়েছে। এরমই মধ্যে বিচারপতি শামসুদ্দিন তার অবসরের পর লেখা রায় ও আদেশ জমা দিতে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে যান। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরা রায় লিখতে পারবে না- এই কথা বহু আগে খালেদা জিয়া বলেছিলেন। উনি (প্রধান বিচারপতি) খালেদা জিয়ার মুখপাত্র হয়ে বিএনপির এজেন্ডা চরিতার্থ করার জন্য এটা বলেছেন। উনার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে।” সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, “এই দেশে বৃটিশ আমল থেকে উচ্চতর আদালত এতো বিতর্কিত ও অশ্রেদ্ধয় হয়ে পড়েনি আর কখনো। একে বিতর্কিত করেছেন শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও খায়রুল হকরা। আজ যখন তার নোংরা অপকর্মগুলো উদ্ভাসিত হচ্ছে, আজকে যখন মাননীয় প্রধান বিচারপতি আইনের পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে, আইনের শাসনের পক্ষে কথা বলছেন, তখন তিনি সহ্য করতে পারছেন না। পারছেন না বলেই এসব কথা বলছেন।” তিনি বলেন, “বিচারপতি শামসুদ্দিনের মতো ব্যক্তিরা অসহায় মানুষের শেষ ভরসার স্থান আদালতকে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর কর্মসূচি বাস্তবায়নের কেন্দ্রে পরিণত করতে চান। সেটা সম্পূর্ণভাবে করতে পারছেন না, তাই খেদ থেকে এমন বক্তব্য দিচ্ছেন।” রিজভী বলেন, “প্রধান বিচারপতি যদি খালেদা জিয়ার মুখপাত্র হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি (বিচারপতি শামসুদ্দিন) কার মুখপাত্র ছিলেন? আপনি কার মুখপাত্র ছিলেন- এটা তো গোটা দেশবাসী জানে।” সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করীম শাহিন, কাজী আবুল বাশার, বেলাল আহমে, রফিক শিকদার উপস্থিত ছিলেন।
No comments