চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ফের সংঘর্ষ, কার্যক্রম স্থগিত
চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ (ফাইল ছবি) |
চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমর্থকদের মধ্যে
আবার সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কার্যক্রম
অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। সংঘর্ষের ব্যাপারে সভাপতি ও সাধারণ
সম্পাদককে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
পুরোনো বিরোধের জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সভাপতি আলমগীর টিপু ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বীর সমর্থকদের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। আজ বুধবার সকাল ১০টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি শান্ত ছিল। এর আগে গত সোমবারও এই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, গতকাল রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী ছাত্রাবাসের ১১১, ১১৩, ১১৪ ও ১১৫ নম্বর কক্ষে ভাঙচুর হয়। এর পরপরই সোহরাওয়ার্দী ছাত্রাবাসে ও শাহ আমানত ছাত্রাবাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক ‘বিজয়’ গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে ‘সিক্সটি নাইন’ গ্রুপের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে।
সিক্সটি নাইনের নেতৃত্বে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি টিপু। বিজয় গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক রাব্বী।
সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীদের ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা যায়। সংঘর্ষের ঘটনায় কারও হতাহত হওয়ার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
সংঘর্ষের জন্য পরস্পরকে দায়ী করেছে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ।
সভাপতি টিপু প্রথম আলোকে বলেন, ‘সংঘর্ষের কথা শুনেছি। ঘটনার সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না। সংঘর্ষের সঠিক কারণ জানি না।’
সাধারণ সম্পাদক রাব্বীর অভিযোগ, বিনা উসকানিতে সভাপতি পক্ষের নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী ছাত্রাবাসে তাঁর পক্ষের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন।
গতকাল দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে প্রথম আলোকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে শোকজ করা হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে তাঁদের তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সুনির্দিষ্ট জবাব দিতে ব্যর্থ হলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টিপু বলেন, ‘আমার কাছে কেন্দ্র থেকে কোনো খবর আসেনি। আমি লিখিত কোনো কাগজ এখনো পাইনি।’
রাব্বী বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। আমি লিখিত কোনো কাগজও পাইনি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইসমাইল বলেন, সোহরাওয়ার্দী ছাত্রাবাসের চারটি কক্ষে ভাঙচুর হয়েছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হামলাকারীরা হলের পেছন দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
টিপুকে সভাপতি ও রাব্বীকে সাধারণ সম্পাদক করে প্রায় সাত মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখনো হয়নি। এর মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমর্থকদের মধ্যে অন্তত চারবার সংঘর্ষ হয়েছে।
পুরোনো বিরোধের জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সভাপতি আলমগীর টিপু ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বীর সমর্থকদের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। আজ বুধবার সকাল ১০টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি শান্ত ছিল। এর আগে গত সোমবারও এই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, গতকাল রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী ছাত্রাবাসের ১১১, ১১৩, ১১৪ ও ১১৫ নম্বর কক্ষে ভাঙচুর হয়। এর পরপরই সোহরাওয়ার্দী ছাত্রাবাসে ও শাহ আমানত ছাত্রাবাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক ‘বিজয়’ গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে ‘সিক্সটি নাইন’ গ্রুপের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে।
সিক্সটি নাইনের নেতৃত্বে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি টিপু। বিজয় গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক রাব্বী।
সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীদের ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা যায়। সংঘর্ষের ঘটনায় কারও হতাহত হওয়ার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
সংঘর্ষের জন্য পরস্পরকে দায়ী করেছে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ।
সভাপতি টিপু প্রথম আলোকে বলেন, ‘সংঘর্ষের কথা শুনেছি। ঘটনার সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না। সংঘর্ষের সঠিক কারণ জানি না।’
সাধারণ সম্পাদক রাব্বীর অভিযোগ, বিনা উসকানিতে সভাপতি পক্ষের নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী ছাত্রাবাসে তাঁর পক্ষের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন।
গতকাল দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে প্রথম আলোকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে শোকজ করা হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে তাঁদের তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সুনির্দিষ্ট জবাব দিতে ব্যর্থ হলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টিপু বলেন, ‘আমার কাছে কেন্দ্র থেকে কোনো খবর আসেনি। আমি লিখিত কোনো কাগজ এখনো পাইনি।’
রাব্বী বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। আমি লিখিত কোনো কাগজও পাইনি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইসমাইল বলেন, সোহরাওয়ার্দী ছাত্রাবাসের চারটি কক্ষে ভাঙচুর হয়েছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হামলাকারীরা হলের পেছন দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
টিপুকে সভাপতি ও রাব্বীকে সাধারণ সম্পাদক করে প্রায় সাত মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখনো হয়নি। এর মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমর্থকদের মধ্যে অন্তত চারবার সংঘর্ষ হয়েছে।
No comments