বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জিতবে, নয়তো ভারত?
চারিত আসলঙ্কার উত্তরটার পরই সংবাদ সম্মেলন কক্ষে করতালির আওয়াজ! যেন কোনো অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে এসেছেন শ্রীলঙ্কার অনূর্ধ্ব-১৯ অধিনায়ক। দারুণ এক বক্তব্যে তাঁকে করতালির বৃষ্টিতে ভাসাচ্ছেন শ্রোতারা! কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে নিশ্চয় এমনটা আশা করা যায় না।
কিন্তু গতকাল আসলঙ্কা যা বললেন, তাতে আবেগতাড়িত হয়ে কজন সাংবাদিক হাততালি দিয়েই ফেললেন। লঙ্কান অধিনায়ক যে জানালেন, এবারের বিশ্বকাপ জেতার ভালো সুযোগ আছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশ আর ভারতেরই একটিকে তাঁর কাছে মনে হচ্ছে সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন।
গতকাল ভারতের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এরপরই সংবাদ সম্মেলনে এলেন আসলঙ্কা। মুখে সব সময়ই এক চিলতে হাসি। বোঝাই যাচ্ছে, টুর্নামেন্টটা বিশ্বকাপ হলে কী হবে, শ্রীলঙ্কার তরুণেরা এখানে এসেছিল উপভোগের মন্ত্র নিয়ে। সেমিফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারাটাই উপভোগ করছে তারা।
নানা কথার ফাঁকেই প্রশ্নটা উঠল—কে হতে পারে এবারের চ্যাম্পিয়ন। এক গাল হেসে আসলঙ্কা বললেন, ‘আমি আসলে বলতে পারছি না। কঠিন প্রশ্ন। তবে ভারত-বাংলাদেশের ভালো সুযোগ আছে বিশ্বকাপ জেতার।’ আর তখনই করতালির বৃষ্টি।
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেমিফাইনালটাই এখনো হয়নি। তবে টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ যেভাবে খেলছে, আর এই টুর্নামেন্টের ঠিক আগে ক্যারিবীয় যুবাদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা যেভাবে মিরাজের দল জিতেছে, তাতে বাংলাদেশ ফাইনালই দেখতে পাচ্ছে। বাংলাদেশ দল অবশ্য এ নিয়ে সতর্ক। বেশ তৃপ্ত হলে নিজেদের ভুলেরই মাশুল গুনতে হয়। তাই এখনই ফাইনাল নিয়ে ভাবা নয়। আগে আগামীকালের ম্যাচটি হোক। পরে দেখা যাবে।
কিন্তু সেই দায় তো আর শ্রীলঙ্কার নেই। তারা মাথা থেকে বিশ্বকাপই ঝেড়ে ফেলে দিচ্ছে। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী একটি ম্যাচ এখনো খেলতে হবে। কিন্তু টুর্নামেন্টে কে তৃতীয় হলো না হলো, এ নিয়ে কারইবা কী আসে যায়? সবার চোখ থাকে ফাইনালেই। আর শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে বললেন, ১৪ ফেব্রুয়ারির সেই ফাইনালের দুটি দল যেন ঠিকই হয়ে গেছে। বাংলাদেশ আর ভারত।
মাঠের চেয়ে সংবাদ সম্মেলন কম চ্যালেঞ্জিং নয় খেলোয়াড়দের জন্য। কঠিন কঠিন সব প্রশ্ন কখনো বাউন্সার, কখনো গুগলি বা দুসরা হয়ে ধেয়ে যায় খেলোয়াড়দের দিকে। সেই সব প্রশ্নের উত্তরে আর যায় হোক করতালি দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় না। সে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিল আসলঙ্কার গতকালকের সংবাদ সম্মেলনটি। কথাবার্তায় লঙ্কান যুবা অধিনায়ক বেশ আমুদে ও ইতিবাচক মানসিকতার। কথায় কথায় হেসে ওঠেন। আর সেই হাসি ছড়িয়ে পড়ে সবার মধ্যে। কথা বলেনও বেশ গুছিয়ে।
বিজয়ী অধিনায়কও এসেছিলেন। ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ অধিনায়ক ইশান কিষানকে জিজ্ঞেস করা হলো খানিকটা ঘুরিয়ে, ফাইনালে কাকে পেলে খুশি হবেন? আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ভারতীয় যুবা অধিনায়ক জানালেন, ‘কোন দল? যে কোনো দল। কোনো দলকেই ভয় পাই না। আমরা শুধু নিজেদের খেলা নিয়ে ভাবছি। আগের ম্যাচগুলোয় যা করেছি, আমরা তার চেয়েও ভালো করতে পারি। আজ (গতকাল) অবশ্য ফিল্ডিংটা ভালো হয়নি। তবে প্রতিপক্ষ হিসেবে যে দলকে ফাইনালে পাই, আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’
ফাইনাল নিয়ে মেহেদী মিরাজেরও কিছু বলার আছে নিশ্চয়ই। সেটা না হয় আগামীকালের ম্যাচের পরেই শুনবেন!
কিন্তু গতকাল আসলঙ্কা যা বললেন, তাতে আবেগতাড়িত হয়ে কজন সাংবাদিক হাততালি দিয়েই ফেললেন। লঙ্কান অধিনায়ক যে জানালেন, এবারের বিশ্বকাপ জেতার ভালো সুযোগ আছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশ আর ভারতেরই একটিকে তাঁর কাছে মনে হচ্ছে সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন।
গতকাল ভারতের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এরপরই সংবাদ সম্মেলনে এলেন আসলঙ্কা। মুখে সব সময়ই এক চিলতে হাসি। বোঝাই যাচ্ছে, টুর্নামেন্টটা বিশ্বকাপ হলে কী হবে, শ্রীলঙ্কার তরুণেরা এখানে এসেছিল উপভোগের মন্ত্র নিয়ে। সেমিফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারাটাই উপভোগ করছে তারা।
নানা কথার ফাঁকেই প্রশ্নটা উঠল—কে হতে পারে এবারের চ্যাম্পিয়ন। এক গাল হেসে আসলঙ্কা বললেন, ‘আমি আসলে বলতে পারছি না। কঠিন প্রশ্ন। তবে ভারত-বাংলাদেশের ভালো সুযোগ আছে বিশ্বকাপ জেতার।’ আর তখনই করতালির বৃষ্টি।
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেমিফাইনালটাই এখনো হয়নি। তবে টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ যেভাবে খেলছে, আর এই টুর্নামেন্টের ঠিক আগে ক্যারিবীয় যুবাদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা যেভাবে মিরাজের দল জিতেছে, তাতে বাংলাদেশ ফাইনালই দেখতে পাচ্ছে। বাংলাদেশ দল অবশ্য এ নিয়ে সতর্ক। বেশ তৃপ্ত হলে নিজেদের ভুলেরই মাশুল গুনতে হয়। তাই এখনই ফাইনাল নিয়ে ভাবা নয়। আগে আগামীকালের ম্যাচটি হোক। পরে দেখা যাবে।
কিন্তু সেই দায় তো আর শ্রীলঙ্কার নেই। তারা মাথা থেকে বিশ্বকাপই ঝেড়ে ফেলে দিচ্ছে। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী একটি ম্যাচ এখনো খেলতে হবে। কিন্তু টুর্নামেন্টে কে তৃতীয় হলো না হলো, এ নিয়ে কারইবা কী আসে যায়? সবার চোখ থাকে ফাইনালেই। আর শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে বললেন, ১৪ ফেব্রুয়ারির সেই ফাইনালের দুটি দল যেন ঠিকই হয়ে গেছে। বাংলাদেশ আর ভারত।
মাঠের চেয়ে সংবাদ সম্মেলন কম চ্যালেঞ্জিং নয় খেলোয়াড়দের জন্য। কঠিন কঠিন সব প্রশ্ন কখনো বাউন্সার, কখনো গুগলি বা দুসরা হয়ে ধেয়ে যায় খেলোয়াড়দের দিকে। সেই সব প্রশ্নের উত্তরে আর যায় হোক করতালি দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় না। সে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিল আসলঙ্কার গতকালকের সংবাদ সম্মেলনটি। কথাবার্তায় লঙ্কান যুবা অধিনায়ক বেশ আমুদে ও ইতিবাচক মানসিকতার। কথায় কথায় হেসে ওঠেন। আর সেই হাসি ছড়িয়ে পড়ে সবার মধ্যে। কথা বলেনও বেশ গুছিয়ে।
বিজয়ী অধিনায়কও এসেছিলেন। ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ অধিনায়ক ইশান কিষানকে জিজ্ঞেস করা হলো খানিকটা ঘুরিয়ে, ফাইনালে কাকে পেলে খুশি হবেন? আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ভারতীয় যুবা অধিনায়ক জানালেন, ‘কোন দল? যে কোনো দল। কোনো দলকেই ভয় পাই না। আমরা শুধু নিজেদের খেলা নিয়ে ভাবছি। আগের ম্যাচগুলোয় যা করেছি, আমরা তার চেয়েও ভালো করতে পারি। আজ (গতকাল) অবশ্য ফিল্ডিংটা ভালো হয়নি। তবে প্রতিপক্ষ হিসেবে যে দলকে ফাইনালে পাই, আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’
ফাইনাল নিয়ে মেহেদী মিরাজেরও কিছু বলার আছে নিশ্চয়ই। সেটা না হয় আগামীকালের ম্যাচের পরেই শুনবেন!
No comments