ইন্টারনেট ডেটা থেকে আয় বাড়ছে by আশরাফুল ইসলাম
দেশের মুঠোফোন অপারেটরদের মোট আয়ে ইন্টারনেট ডেটার অবদান ক্রমেই বাড়ছে। তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) টেলিযোগাযোগ সেবা চালুর আগে অপারেটরদের বার্ষিক আয়ে ইন্টারনেট ডেটার অবদান ছিল মাত্র ২ শতাংশ। ২০১৫ সালে এসে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৯ থেকে ১০ শতাংশ। তিন শীর্ষ অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের মোট আয়ে ইন্টারনেট ডেটার অবদানের চিত্র বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
গ্রামীণফোনের ২০১৫ সালের বার্ষিক আয় ছিল ১০ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ইন্টারনেট ডেটা থেকে আয় হয়েছে ৮৫০ কোটি টাকা, যা প্রতিষ্ঠানটির মোট আয়ের সাড়ে ৮ শতাংশ। ২০১৪ সালে ডেটা থেকে গ্রামীণফোনের আয় ছিল ৫৫০ কোটি টাকা, যা ওই বছরের আয়ের ৫ শতাংশ ছিল। আর ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির মোট আয়ে ইন্টারনেট ডেটার অবদান ছিল ৩১৭ কোটি টাকা।
২০১৫ সালের প্রতি প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট ডেটার আয় আগের প্রান্তিককে ছাড়িয়ে গেছে। বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) এ খাত থেকে অপারেটরটি আয় করে ১৬০ কোটি টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে সেটি বৃদ্ধি পেয়ে ২০০ কোটি টাকা, তৃতীয় প্রান্তিকে ২৩০ কোটি আর সর্বশেষ প্রান্তিকে সেটি ২৫০ কোটি টাকা হয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির মোট আয়ের ৯ দশমিক ২ শতাংশ এসেছে ডেটা থেকে।
জানতে চাইলে গ্রামীণফোনের প্রধান করপোরেট অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভয়েস কল আমাদের আয়ের মূল উৎস হলেও ইন্টারনেট ডেটা থেকে আয়ও বাড়ছে। ডিজিটাল জীবনযাত্রার সঙ্গে মানুষের অভ্যস্ততা প্রতিনিয়ত বাড়ছে, যেটা ইন্টারনেটের ব্যবহার ও আয় বৃদ্ধিকে সামনে আরও ত্বরান্বিত করবে।’
২০১৫ সালে আরেক অপারেটর রবি আজিয়াটার মোট আয়ের ১০ শতাংশের জোগান আসছে ইন্টারনেট ডেটা থেকে। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রবির মোট আয় ছিল ৩ হাজার ৮৫১ কোটি টাকা, এর ১০ শতাংশ অর্থাৎ ৩৮৫ কোটি টাকা এসেছে ডেটা থেকে। অথচ থ্রিজি চালুর আগে ২০১৩ সালের রবির মোট আয়ে ইন্টারনেট ডেটার অবদান ছিল নামমাত্র। ওই বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) রবির আয় ছিল ১ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা, যার ২ শতাংশ বা ২২ কোটি টাকা এসেছে ডেটা থেকে। থ্রিজি চালুর পরে ২০১৪ সালের প্রতিটি প্রান্তিকে ইন্টারনেট ডেটা থেকে রবির আয় হয়েছে ৬ থেকে ৮ শতাংশ,২০১৫ সালে যা বেড়ে ১০ শতাংশ হয়েছে।
বাংলালিংকের আয়েও ইন্টারনেট ডেটার অবদান গত দুই বছরে তিন গুণ বেড়েছে। থ্রিজি চালুর আগে ২০১৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইন্টারনেট ডেটা থেকে প্রতিষ্ঠানটি আয় করেছে ২৯ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে এসে এই আয় হয়েছে ৮৯ কোটি টাকা।
খাত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ২০১৫ সালের শেষভাগে এসে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম এক মাসের বেশি সময় বন্ধ না করলে ইন্টারনেট ডেটা থেকে আয় আরও বেশি হতো।
গ্রামীণফোনের ২০১৫ সালের বার্ষিক আয় ছিল ১০ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ইন্টারনেট ডেটা থেকে আয় হয়েছে ৮৫০ কোটি টাকা, যা প্রতিষ্ঠানটির মোট আয়ের সাড়ে ৮ শতাংশ। ২০১৪ সালে ডেটা থেকে গ্রামীণফোনের আয় ছিল ৫৫০ কোটি টাকা, যা ওই বছরের আয়ের ৫ শতাংশ ছিল। আর ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির মোট আয়ে ইন্টারনেট ডেটার অবদান ছিল ৩১৭ কোটি টাকা।
২০১৫ সালের প্রতি প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট ডেটার আয় আগের প্রান্তিককে ছাড়িয়ে গেছে। বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) এ খাত থেকে অপারেটরটি আয় করে ১৬০ কোটি টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে সেটি বৃদ্ধি পেয়ে ২০০ কোটি টাকা, তৃতীয় প্রান্তিকে ২৩০ কোটি আর সর্বশেষ প্রান্তিকে সেটি ২৫০ কোটি টাকা হয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির মোট আয়ের ৯ দশমিক ২ শতাংশ এসেছে ডেটা থেকে।
জানতে চাইলে গ্রামীণফোনের প্রধান করপোরেট অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভয়েস কল আমাদের আয়ের মূল উৎস হলেও ইন্টারনেট ডেটা থেকে আয়ও বাড়ছে। ডিজিটাল জীবনযাত্রার সঙ্গে মানুষের অভ্যস্ততা প্রতিনিয়ত বাড়ছে, যেটা ইন্টারনেটের ব্যবহার ও আয় বৃদ্ধিকে সামনে আরও ত্বরান্বিত করবে।’
২০১৫ সালে আরেক অপারেটর রবি আজিয়াটার মোট আয়ের ১০ শতাংশের জোগান আসছে ইন্টারনেট ডেটা থেকে। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রবির মোট আয় ছিল ৩ হাজার ৮৫১ কোটি টাকা, এর ১০ শতাংশ অর্থাৎ ৩৮৫ কোটি টাকা এসেছে ডেটা থেকে। অথচ থ্রিজি চালুর আগে ২০১৩ সালের রবির মোট আয়ে ইন্টারনেট ডেটার অবদান ছিল নামমাত্র। ওই বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) রবির আয় ছিল ১ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা, যার ২ শতাংশ বা ২২ কোটি টাকা এসেছে ডেটা থেকে। থ্রিজি চালুর পরে ২০১৪ সালের প্রতিটি প্রান্তিকে ইন্টারনেট ডেটা থেকে রবির আয় হয়েছে ৬ থেকে ৮ শতাংশ,২০১৫ সালে যা বেড়ে ১০ শতাংশ হয়েছে।
বাংলালিংকের আয়েও ইন্টারনেট ডেটার অবদান গত দুই বছরে তিন গুণ বেড়েছে। থ্রিজি চালুর আগে ২০১৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইন্টারনেট ডেটা থেকে প্রতিষ্ঠানটি আয় করেছে ২৯ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে এসে এই আয় হয়েছে ৮৯ কোটি টাকা।
খাত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ২০১৫ সালের শেষভাগে এসে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম এক মাসের বেশি সময় বন্ধ না করলে ইন্টারনেট ডেটা থেকে আয় আরও বেশি হতো।
No comments