বিরতির ‘ক্লান্তি’ ফুরোনোর অপেক্ষা
যুব বিশ্বকাপে প্রথম যে সূচিটি তৈরি করা হয়েছিল, সেটি অনুযায়ী সেমিফাইনালে বাংলাদেশের ম্যাচ হয়ে যাওয়ার কথা গতকালই। কিন্তু টুর্নামেন্টের মাঝপথে ‘ভুল’টা চোখে পড়েছে আইসিসির। এই সেমিফাইনালে খেলা আরেকটি দলের জন্য সূচিটা খুব কঠিন হয়ে যাবে ভেবে পরিবর্তন করা হয়েছে সূচি। সে হিসাবে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল কাল।
কোয়ার্টার ফাইনালের পরের দিনই সেমিফাইনাল খেলতে নেমে যাওয়াটা বাড়াবাড়ি। এ কারণেই পরিবর্তিত সূচিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিরতি পাচ্ছে দুই দিন। এক শহর থেকে আরেক শহরে ভ্রমণের ধকল নেই বলে এই বিরতি যথেষ্ট। কিন্তু বাংলাদেশের সেমিফাইনালের আগে পাঁচ দিনের বিরতি কি একটু বেশি হয়ে গেল না! ৫ ফেব্রুয়ারি নেপালের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের পর ১১ ফেব্রুয়ারি সেমিফাইনাল—এত বড় বিরতি শেষ চারের আর কোনো দলই পায়নি।
টানা খেলার ধকল কাটাতে বিরতির প্রয়োজন আছে। কিন্তু সেটি ‘লম্বা’ হয়ে গেলে মনোযোগ সমানভাবে ধরে রাখা কঠিন। তা ছাড়া এই ধরনের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় দল যখন শেষ চারে ওঠে, নানা মাধ্যম হয়ে খেলোয়াড়দের কানে একটা প্রশ্ন বারবার প্রতিধ্বনিত হয়—‘দল ফাইনালে উঠবে তো?’ আর তাতে অদৃশ্য চাপ তৈরি হওয়া মোটেও অস্বাভাবিক নয়। একই সঙ্গে থাকে অতি নির্ভার হয়ে পড়ার ঝুঁকিও।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ মিজানুর রহমানও মানছেন, বিরতিটা একটু বেশি হয়ে গেছে। তবে এই বাস্তবতা মেনেই খেলায় মনোযোগ দিতে চান তিনি, ‘বিরতিটা একটু বড় হয়ে গেছে। কিন্তু এটা তো আর আমাদের হাতে নেই। এগুলো মেনেই খেলতে হবে।’
খেলোয়াড়দের একঘেয়েমি ও বাইরের চাপ থেকে দূরে রাখতে এই কয়েক দিনের সূচিতে বৈচিত্র্য রাখার চেষ্টা করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। একেক দিন একেক অনুশীলনে জোর দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে ইউনিসেফের কার্যক্রম, টিম ডিনার বা টিম হোটেলের বাইরে বোর্ড সভাপতির দেওয়া নৈশভোজও সময়টাকে বৈচিত্র্যময় করে তুলতে সাহায্য করেছে।
তবে বিরতির দিনগুলোতে খেলোয়াড়দের প্রায় একই ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। প্রশ্নগুলো সেমিফাইনাল-ফাইনাল এবং আগের ম্যাচগুলোর সাফল্য ও ভুলচুক নিয়েই। উত্তরও যে খুব ব্যতিক্রম হচ্ছে, তা নয়। কাল নাজমুল হোসেন যেমন ফাইনাল-সেমিফাইনাল নিয়ে পুরোনো কথারই পুনরাবৃত্তি করলেন, ‘ফাইনাল খেলার লক্ষ্য তো থাকেই। তবে ফাইনাল নিয়ে এখনই ভাবছি না। আমরা আপাতত সেমিফাইনাল নিয়ে চিন্তা করছি।’
ভুল-ত্রুটি ছাপিয়ে টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত দলের যে সাফল্য, তাতে অবশ্য বেশ খুশি স্টুয়ার্ট ল। খেলোয়াড়দের প্রশংসায় ভাসালেন যুব দলের পরামর্শক, ‘গত দুই সপ্তাহে ছেলেদের অনেক উন্নতি হয়েছে। জাতীয় দলের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা দারুণ করছে। ছোটরা চেষ্টা করছে বড়দের মতো দারুণ কিছু করে দেখাতে।’
সেই দারুণ কিছুর অপেক্ষায় এখন গোটা দেশ।
কোয়ার্টার ফাইনালের পরের দিনই সেমিফাইনাল খেলতে নেমে যাওয়াটা বাড়াবাড়ি। এ কারণেই পরিবর্তিত সূচিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিরতি পাচ্ছে দুই দিন। এক শহর থেকে আরেক শহরে ভ্রমণের ধকল নেই বলে এই বিরতি যথেষ্ট। কিন্তু বাংলাদেশের সেমিফাইনালের আগে পাঁচ দিনের বিরতি কি একটু বেশি হয়ে গেল না! ৫ ফেব্রুয়ারি নেপালের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের পর ১১ ফেব্রুয়ারি সেমিফাইনাল—এত বড় বিরতি শেষ চারের আর কোনো দলই পায়নি।
টানা খেলার ধকল কাটাতে বিরতির প্রয়োজন আছে। কিন্তু সেটি ‘লম্বা’ হয়ে গেলে মনোযোগ সমানভাবে ধরে রাখা কঠিন। তা ছাড়া এই ধরনের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় দল যখন শেষ চারে ওঠে, নানা মাধ্যম হয়ে খেলোয়াড়দের কানে একটা প্রশ্ন বারবার প্রতিধ্বনিত হয়—‘দল ফাইনালে উঠবে তো?’ আর তাতে অদৃশ্য চাপ তৈরি হওয়া মোটেও অস্বাভাবিক নয়। একই সঙ্গে থাকে অতি নির্ভার হয়ে পড়ার ঝুঁকিও।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ মিজানুর রহমানও মানছেন, বিরতিটা একটু বেশি হয়ে গেছে। তবে এই বাস্তবতা মেনেই খেলায় মনোযোগ দিতে চান তিনি, ‘বিরতিটা একটু বড় হয়ে গেছে। কিন্তু এটা তো আর আমাদের হাতে নেই। এগুলো মেনেই খেলতে হবে।’
খেলোয়াড়দের একঘেয়েমি ও বাইরের চাপ থেকে দূরে রাখতে এই কয়েক দিনের সূচিতে বৈচিত্র্য রাখার চেষ্টা করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। একেক দিন একেক অনুশীলনে জোর দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে ইউনিসেফের কার্যক্রম, টিম ডিনার বা টিম হোটেলের বাইরে বোর্ড সভাপতির দেওয়া নৈশভোজও সময়টাকে বৈচিত্র্যময় করে তুলতে সাহায্য করেছে।
তবে বিরতির দিনগুলোতে খেলোয়াড়দের প্রায় একই ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। প্রশ্নগুলো সেমিফাইনাল-ফাইনাল এবং আগের ম্যাচগুলোর সাফল্য ও ভুলচুক নিয়েই। উত্তরও যে খুব ব্যতিক্রম হচ্ছে, তা নয়। কাল নাজমুল হোসেন যেমন ফাইনাল-সেমিফাইনাল নিয়ে পুরোনো কথারই পুনরাবৃত্তি করলেন, ‘ফাইনাল খেলার লক্ষ্য তো থাকেই। তবে ফাইনাল নিয়ে এখনই ভাবছি না। আমরা আপাতত সেমিফাইনাল নিয়ে চিন্তা করছি।’
ভুল-ত্রুটি ছাপিয়ে টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত দলের যে সাফল্য, তাতে অবশ্য বেশ খুশি স্টুয়ার্ট ল। খেলোয়াড়দের প্রশংসায় ভাসালেন যুব দলের পরামর্শক, ‘গত দুই সপ্তাহে ছেলেদের অনেক উন্নতি হয়েছে। জাতীয় দলের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা দারুণ করছে। ছোটরা চেষ্টা করছে বড়দের মতো দারুণ কিছু করে দেখাতে।’
সেই দারুণ কিছুর অপেক্ষায় এখন গোটা দেশ।
No comments