বিশ্বব্যাপী খৎনার শিকার ২০ কোটির বেশি নারী -জাতিসংঘ
বিশ্বের
৩০টি দেশের ২০ কোটিরও বেশি নারী খৎনার শিকার হয়ে বেঁচে রয়েছে। গতকাল ‘জিরো
টলারেন্স ফর এফজিএম’ দিবসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে
ইউনিসেফ। প্রতিবেদনটি বলছে, তাদের ধারণার চাইতেও সাত কোটি বেশি নারী এই
নির্মম প্রথার শিকার হয়েছে। এ খবর জানিয়েছে সিএনএন। গতকাল ৬ই ফেব্রুয়ারি
ছিল জিরো টলারেন্স ফর ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন (এফজিএম) দিবস। নারীর
জননাঙ্গ খৎনার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী আন্দোলন জোরদার করতেই এই দিনটি পালন
করা হয়ে থাকে। এই দিনে এসেই ইউনিসেফ তাদের নারী জননাঙ্গের খৎনা বিষয়ক
সর্বশেষ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের ৩০টি
দেশের ২০ কোটিরও বেশি নারী এই নৃশংস প্রথার শিকার। আর এই প্রথার শিকার
নারীদের প্রকৃত সংখ্যা জানা যায়নি বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। সংস্থাটির ডেপুটি
এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর গীতা রাও গুপ্তা বলেন, ‘যেকোনো অর্থেই নারী জননাঙ্গের
খৎনার প্রথা নারী ও শিশু অধিকারের লঙ্ঘন। সরকার, স্বাস্থ্যকর্মী, বিভিন্ন
সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, পরিবার, অভিভাবকÑআমাদের সবাইকেই এই প্রথা উচ্ছেদের
জন্য প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে।’ ইউনিসেফেরে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের
প্রায় ৩০টি দেশে এই প্রথার চর্চা থাকলেও এর প্রকোপ বেশি দেখা যায়
ইন্দোনেশিয়া, মিশর ও ইথিওপিয়াতে। খৎনার শিকার নারীদের সংখ্যার অর্ধেকেরও
বেশি এই তিন দেশের। ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সীদের মধ্যে খৎনার হার সবচেয়ে বেশি
পাওয়া গেছে সোমালিয়া, গিনি ও জিবুতিতে। এর বাইরে বেশিরভাগ দেশেই নারীদের
খৎনা করানো হয়ে থাকে পাঁচ বছরের মধ্যেই। আর বিশ্বব্যাপী হিসাব করলে,
এক-চতুর্থাংশ নারী খৎনাই করানো হয়ে থাকে ১৪ বছরের মধ্যে।
আইভরি কোস্টের একজন খৎনাকারী জোসেফিন আকিসি কোলিবেলি বলেন, ‘কন্যা শিশুদের বয়স তিন মাস হলেই খৎনা করানো যায়। সাধারণত ছোটবেলাতেই এটি করানো হয়ে থাকে। তবে অনেক সময় বিয়ের পরও এটা করানো হয়।’ কন্যা শিশুদের খৎনায় বেশিরভাগ সময়ই প্রচুর রক্তপাত ঘটে থাকে। তাছাড়া এটি তাদের মনে গভীর ভয়ের একটি অনুভূতি তৈরি করে যা অনেকে সারাজীবনের ভুলতে পারে না। শুধু তাই নয়, অনেক ক্ষেত্রেই খৎনা এমন একটি জায়গায় করানো হয়ে থাকে যে জায়গাটি অস্বাস্থ্যকর এবং যেখানে প্রয়োজনীয় ওষুধের জোগান থাকে না। ফলে বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ দেখা দেয় মেয়েদের মধ্যে। অনেক সময় দীর্ঘমেয়াদি অক্ষমতাও দেখা যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে থাকে।
বিশ্বের অনেক দেশেই নারী খৎনা আইনত নিষিদ্ধ হলেও অনেক দেশেই একে নিজেদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। ইউনিসেফের অংশীদার ওআইএস আফ্রিকের ন্যাশনাল ডিরেক্টর মোলাও বোলিসো বলেন, ‘একজন খৎনাকারীকে বিষয়টি বুঝালে সে এতে কর্ণপাত করে না। কারণ এটি তার জীবিকা। তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, নারী খৎনার কারণে ভয়ানক শারীরিক ও মানসিক প্রভাব পড়তে পারে। অনেক মেয়েই খৎনার কারণে প্রবল মানসিক আঘাত পেয়ে থাকে। খৎনার শিকার এবং বর্তমানে এর বিরুদ্ধে কাজ করছেন এমন একজন হলেন ৫১ বছর বয়সী কিওউয়ালা কোন। তিনি বলেন, ‘আমার মধ্যে এখনও ওই ভয় রয়ে গেছে। এই কারণে আমি সবসময় ছেলেদের ভয় পেতাম। এখনও আমার মাথার মধ্যে ওই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা কাজ করে।’
ইউনিসেফ বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর পরিমাণ কমলেও এখনও এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এখনই এর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করতে পারলে আগামী ১৫ বছরে এর পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে সংস্থাটি। ইউনিসেফ আশা করছে সরকার এবং বিভিন্ন সম্প্রদায় ও ধর্মীয় নেতাদের সহায়তায় ২০৩০ সাল নাগাদ বেশিরভাগ দেশকেই এই প্রথা থেকে মুক্ত করা যাবে।
আইভরি কোস্টের একজন খৎনাকারী জোসেফিন আকিসি কোলিবেলি বলেন, ‘কন্যা শিশুদের বয়স তিন মাস হলেই খৎনা করানো যায়। সাধারণত ছোটবেলাতেই এটি করানো হয়ে থাকে। তবে অনেক সময় বিয়ের পরও এটা করানো হয়।’ কন্যা শিশুদের খৎনায় বেশিরভাগ সময়ই প্রচুর রক্তপাত ঘটে থাকে। তাছাড়া এটি তাদের মনে গভীর ভয়ের একটি অনুভূতি তৈরি করে যা অনেকে সারাজীবনের ভুলতে পারে না। শুধু তাই নয়, অনেক ক্ষেত্রেই খৎনা এমন একটি জায়গায় করানো হয়ে থাকে যে জায়গাটি অস্বাস্থ্যকর এবং যেখানে প্রয়োজনীয় ওষুধের জোগান থাকে না। ফলে বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ দেখা দেয় মেয়েদের মধ্যে। অনেক সময় দীর্ঘমেয়াদি অক্ষমতাও দেখা যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে থাকে।
বিশ্বের অনেক দেশেই নারী খৎনা আইনত নিষিদ্ধ হলেও অনেক দেশেই একে নিজেদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। ইউনিসেফের অংশীদার ওআইএস আফ্রিকের ন্যাশনাল ডিরেক্টর মোলাও বোলিসো বলেন, ‘একজন খৎনাকারীকে বিষয়টি বুঝালে সে এতে কর্ণপাত করে না। কারণ এটি তার জীবিকা। তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, নারী খৎনার কারণে ভয়ানক শারীরিক ও মানসিক প্রভাব পড়তে পারে। অনেক মেয়েই খৎনার কারণে প্রবল মানসিক আঘাত পেয়ে থাকে। খৎনার শিকার এবং বর্তমানে এর বিরুদ্ধে কাজ করছেন এমন একজন হলেন ৫১ বছর বয়সী কিওউয়ালা কোন। তিনি বলেন, ‘আমার মধ্যে এখনও ওই ভয় রয়ে গেছে। এই কারণে আমি সবসময় ছেলেদের ভয় পেতাম। এখনও আমার মাথার মধ্যে ওই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা কাজ করে।’
ইউনিসেফ বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর পরিমাণ কমলেও এখনও এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এখনই এর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করতে পারলে আগামী ১৫ বছরে এর পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে সংস্থাটি। ইউনিসেফ আশা করছে সরকার এবং বিভিন্ন সম্প্রদায় ও ধর্মীয় নেতাদের সহায়তায় ২০৩০ সাল নাগাদ বেশিরভাগ দেশকেই এই প্রথা থেকে মুক্ত করা যাবে।
No comments