নব্বই শতাংশ বই মানসম্মত নয়- বাংলা একাডেমি
বাংলাদেশ
একুশে বইমেলা এখন তুঙ্গে, কিন্তু দোকানগুলোতে থরে থরে সাজানো বইয়ের
কতগুলো মানসম্মত তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মেলার আয়োজক বাংলা একাডেমি।
প্রতিবছর একুশে মেলায় গড়ে তিন হাজারের মতো বই প্রকাশিত হয়।
কিন্তু এসব বইয়ের মধ্যে নব্বই শতাংশেই মানসম্মত নয় বলে মনে করে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, এর একটি বড় কারণ হচ্ছে অধিকাংশ বইয়ের ক্ষেত্রে কোন সম্পাদনা হয়না।
বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পে সম্পাদনার বিষয়টি দিন দিন গুরুত্ব হারাচ্ছে বলে অনেকেই মনে করছেন।
মেলায় প্রতিদিন যেসব বই প্রকাশিত হয় সেগুলোর মধ্যে উপন্যাস, গল্প এবং কবিতার সংখ্যা বেশি। অনেক বইয়ের বিজ্ঞাপন এবং মোড়ক দেখতে বেশ আকর্ষণীয়।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড: বিশ্বজিত ঘোষ বিবিসিকে বলেন, চকচকে মোড়কের আড়ালে অনেক বই ভুলে ভরা। তিনি মনে করেন কোন ধরনের সম্পাদনা ছাড়া বই প্রকাশ হওয়ায় এ ধরনের পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ এই সত্যটাই প্রতিষ্ঠিত হলো না যে বই প্রকাশের জন্য সম্পাদনার প্রয়োজন আছে।
তিনি বলেন অনেক বইয়ের বানান, বাক্য গঠন এবং বিষয় বিন্যাস একেবারেই মানসম্মত নয়। সাধারণত এই কাজটি একজন সম্পাদক করেন।
অধ্যাপক ঘোষ বলেন, আমার সীমাবদ্ধতা আমার চোখে ধরা পড়বে না। সেটি আরেকজনের চোখে ধরা পড়বে। সেজন্য প্রত্যেকের বই সম্পাদিত হওয়া উচিত। কারণ কোন মানুষই নির্ভুল নয়। বই সম্পাদনাকে পেশা হিসেবে নেয়া ব্যক্তির সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। গত এক দশক ধরে এ কাজ করেন রাখাল রাহা। বই সম্পাদনার জন্য তার একটি প্রতিষ্ঠানও আছে।
মি: রাহা বলছেন সম্পাদিত বইয়ের মান ভালো হতে বাধ্য।
মি: রাহা বলেন, পাণ্ডুলিপি হাতে পাওয়ার পরে আমরা দেখার চেষ্টা করি সেটার উন্নতির জায়গা কোথায় আছে। এরপর যে পরামর্শ দেয়া হয় তার ভিত্তিতে লেখক কাজ করেন।
বাংলা একাডেমি বলছে মেলায় প্রতিবছর ৩০০টির মতো প্রকাশনা সংস্থা অংশ নেয়। কিন্তু হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সম্পাদনা পরিষদ আছে।
এ বিষয়ে প্রকাশকদের এতো অনাগ্রহ কেন?
প্রকাশনা সংস্থা জ্যোৎস্না পাবলিশার্সের কর্ণধার স্বপন দত্ত মনে করেন বিষয়টি মূলত আর্থিক সামর্থ্যের উপর নির্ভর করে।
মি: দত্ত বলেন, বেশিরভাগ প্রকাশক কম পুঁজিতে ব্যবসায় নেমেছে। বই সম্পাদকদের বেতন দেবার মতো আর্থিক পুঁজি অনেক প্রকাশকের নেই। বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ মনে করে মেলায় অনেক নিম্নমানের বই যে আসছে সে বিষয়টি তারা অবগত।
একডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন অধিকাংশ প্রকাশনা সংস্থা বই সম্পাদনার গুরুত্ব বুঝতে পারছেনা বলে তিনি মনে করেন।
মি: খান বলেন, অমর্ত্য আমাকে বলেছিলেন তার বই সম্পাদকরা সম্পাদনা করেন। এতো বিখ্যাত লেখকের বই যদি সম্পাদনা হয়, তাহলে এখানকার লেখকের বই কেন সম্পাদনা করা হবেনা।
মহাপরিচালক বলেন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী প্রকাশকদের টাকা দিয়ে বই ছাপায়। এতে করে বইয়ের গুনগত মান আরো নিচে নেমে যাচ্ছে বলে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক বিশ্বজিত ঘোষ মনে করেন বাংলা একাডেমির এমন নিয়ম করা উচিত যাতে সম্পাদনা পরিষদ ছাড়া কোন প্রকাশনা সংস্থা মেলায় আসতে না পারে।
সুত্রঃ বিবিসি
প্রতিবছর একুশে মেলায় গড়ে তিন হাজারের মতো বই প্রকাশিত হয়।
কিন্তু এসব বইয়ের মধ্যে নব্বই শতাংশেই মানসম্মত নয় বলে মনে করে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, এর একটি বড় কারণ হচ্ছে অধিকাংশ বইয়ের ক্ষেত্রে কোন সম্পাদনা হয়না।
বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পে সম্পাদনার বিষয়টি দিন দিন গুরুত্ব হারাচ্ছে বলে অনেকেই মনে করছেন।
মেলায় প্রতিদিন যেসব বই প্রকাশিত হয় সেগুলোর মধ্যে উপন্যাস, গল্প এবং কবিতার সংখ্যা বেশি। অনেক বইয়ের বিজ্ঞাপন এবং মোড়ক দেখতে বেশ আকর্ষণীয়।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড: বিশ্বজিত ঘোষ বিবিসিকে বলেন, চকচকে মোড়কের আড়ালে অনেক বই ভুলে ভরা। তিনি মনে করেন কোন ধরনের সম্পাদনা ছাড়া বই প্রকাশ হওয়ায় এ ধরনের পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ এই সত্যটাই প্রতিষ্ঠিত হলো না যে বই প্রকাশের জন্য সম্পাদনার প্রয়োজন আছে।
তিনি বলেন অনেক বইয়ের বানান, বাক্য গঠন এবং বিষয় বিন্যাস একেবারেই মানসম্মত নয়। সাধারণত এই কাজটি একজন সম্পাদক করেন।
অধ্যাপক ঘোষ বলেন, আমার সীমাবদ্ধতা আমার চোখে ধরা পড়বে না। সেটি আরেকজনের চোখে ধরা পড়বে। সেজন্য প্রত্যেকের বই সম্পাদিত হওয়া উচিত। কারণ কোন মানুষই নির্ভুল নয়। বই সম্পাদনাকে পেশা হিসেবে নেয়া ব্যক্তির সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। গত এক দশক ধরে এ কাজ করেন রাখাল রাহা। বই সম্পাদনার জন্য তার একটি প্রতিষ্ঠানও আছে।
মি: রাহা বলছেন সম্পাদিত বইয়ের মান ভালো হতে বাধ্য।
মি: রাহা বলেন, পাণ্ডুলিপি হাতে পাওয়ার পরে আমরা দেখার চেষ্টা করি সেটার উন্নতির জায়গা কোথায় আছে। এরপর যে পরামর্শ দেয়া হয় তার ভিত্তিতে লেখক কাজ করেন।
বাংলা একাডেমি বলছে মেলায় প্রতিবছর ৩০০টির মতো প্রকাশনা সংস্থা অংশ নেয়। কিন্তু হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সম্পাদনা পরিষদ আছে।
এ বিষয়ে প্রকাশকদের এতো অনাগ্রহ কেন?
প্রকাশনা সংস্থা জ্যোৎস্না পাবলিশার্সের কর্ণধার স্বপন দত্ত মনে করেন বিষয়টি মূলত আর্থিক সামর্থ্যের উপর নির্ভর করে।
মি: দত্ত বলেন, বেশিরভাগ প্রকাশক কম পুঁজিতে ব্যবসায় নেমেছে। বই সম্পাদকদের বেতন দেবার মতো আর্থিক পুঁজি অনেক প্রকাশকের নেই। বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ মনে করে মেলায় অনেক নিম্নমানের বই যে আসছে সে বিষয়টি তারা অবগত।
একডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন অধিকাংশ প্রকাশনা সংস্থা বই সম্পাদনার গুরুত্ব বুঝতে পারছেনা বলে তিনি মনে করেন।
মি: খান বলেন, অমর্ত্য আমাকে বলেছিলেন তার বই সম্পাদকরা সম্পাদনা করেন। এতো বিখ্যাত লেখকের বই যদি সম্পাদনা হয়, তাহলে এখানকার লেখকের বই কেন সম্পাদনা করা হবেনা।
মহাপরিচালক বলেন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী প্রকাশকদের টাকা দিয়ে বই ছাপায়। এতে করে বইয়ের গুনগত মান আরো নিচে নেমে যাচ্ছে বলে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক বিশ্বজিত ঘোষ মনে করেন বাংলা একাডেমির এমন নিয়ম করা উচিত যাতে সম্পাদনা পরিষদ ছাড়া কোন প্রকাশনা সংস্থা মেলায় আসতে না পারে।
সুত্রঃ বিবিসি
No comments